মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা সদরে একটি রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা উপজেলা শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। ওই রাস্তাটি এই এলাকার ৫টি পরিবার চলাচলের জন্য ব্যবহার করে আসছিল।
কিন্তু সম্প্রতি দেখা যায় ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ করার সময়ে জমি প্রদানকারী আজাদ হাওলাদার ও বাবু হাওলাদারের তাদের প্রদানকৃত জমির অংশ উপজেলার শহরের মূল সড়কের সামনের অংশে চলে গেলে এতে করে রাস্তার সামনের অংশের ওই দুইজন জমি প্রদানকারীদের আজাদ ও বাবুর সঙ্গে রাস্তাটির শেষ অংশের পরিবারদের সাথে দ্বন্ধের জেরের কারণে চলাচলে করতে বাঁধা প্রদান করে আসছে। এ বিষয়টি নিয়ে থানা প্রশাসের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো এখনো কোন সঠিক সমাধান পায়নি।
প্রশাসনের কাছে এখন স্থানীয়রা একটায় দাবি করেন দ্রুত রাস্তায় চলাচলের সমাধানের জন্য।
স্থানীয় উপজেলা শহরের চৌরাস্তায় আয়োজিত মানববন্ধন থেকে বক্তারা বলেন, ডাসার ইউনিয়ন পরিষদে সৈয়দ বেলায়েত হোসেন চেয়ারম্যান থাকাকালে ডাসার উপজেলার শহরের ৮নং ওয়ার্ডে ১৯৯৫ সালে একটি মাটির রাস্তা স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার্থে নির্মাণ করেছিল। এরপর সৈয়দ মনির আহমেদ চেয়ারম্যান থাকাকালে ২০০২ সালে ওই রাস্তায় ইট বসানো হয়েছে। ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে এই এলাকার ৫টি পরিবার চলাচল করে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ করার সময়ে জমি প্রদানকারী আজাদ হাওলাদার ও বাবু হাওলাদারের প্রদানকৃত জমির অংশ উপজেলার শহরের মূল সড়কের সামনের অংশে পড়ে যায়।
এতে রাস্তার সামনের অংশের মালিক আজাদ ও বাবু রাস্তাটির শেষ অংশের পরিবারদের সাথে দ্বন্ধের জেরে চলাচলে করতে বাঁধা প্রদান করে আসছে। বিষয়টি থানা প্রশাসের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোন সমাধান পায়নি। প্রশাসনের কাছে দ্রুত রাস্তায় চলাচলের সমাধানের জন্য দাবি করেন বক্তারা।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বাদল মাতুব্বর, সৈয়দ তাসলিমা খানম, সৈয়দ জাহিদুল করিম, সৈয়দ আকরাম হোসেন, সৈয়দ কামাল হোসেন, কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত আজাদ হাওলাদার বলেন, আমি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য এই মুহুর্তে করব না। যারা মানববন্ধন করছে তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।
তবে, ডাসার থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে রাস্তায় চলাচল নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছিলাম। তখন একজন অফিসার দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এ বিষয় নতুন করে আবার ঝামেলা হয়েছে কি না এখনো তা জানি না। তবে, অভিযোগ পেলে আমরা পরবর্তীতে আবারো পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
মাসুদ রেজা ফিরোজী, সাংবাদিক