কোভিড-১৯(নোভেল করোনা ভাইরাস) এ সচেতন বাংলাদেশ

জাতির উপর কালো ছায়ার মত আকড়ে ধরছে কোভিড-১৯ নোভেল করোনা নামক একটি নতুন ভাইরাস যা আমাদের হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানব জাতির অস্তিত্ব।প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আরেকটি নতুন চ্যালেঞ্জে সম্মুখীন হচ্ছি আমরা এই ভাইরাসের জন্য। এই ভাইরাসের জন্য বিশ্বের সকল দেশে দেশে চলছে লকডাউন, ঘরে বন্দি মানুষ,চারিদিকে হাহাকার।নিস্তব্ধ বড় বড় শহর গুলো।প্রতি মিনিটেই আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েই চলেছে।মরণব্যাধি এই ভাইরাসের কবলে পড়ছে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখেরও বেশীমানুষ।মরণব্যাধি এই ভাইরাসের কবলে পড়ে মৃত্যু সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে প্রায় লাখের কাছে।এই ভাইরাসের কার্যকর কোন ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নাই, নেই কোন প্রতিষেধক।বাসার বাইরে পা দেওয়া আমাদের কাছে অনেক ঝুঁকির হয়ে দাড়িয়েছে,আমরা যেনো মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে আছি।এরি মধ্যে গবেষকরা আশার আলো দিলো,আমাদের গবেষকরা এবার দাবি করলেন,করোনাকে কাবু করার সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছেন অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাস কোভিড১৯ এর প্রতিষেধক ঔষধ।জাপান গবেষকরা গবেষণা করে আমাদের আশার আলো দেখিয়েছেন যা আমাদের কাছে অতি শুখবর,জাপান গবেষক জানিয়েছেন করোনাভাইরাস এর কার্যকর অস্ত্র তারা আবিষ্কার করেন।এই ঔষুধের ফলে আমরা মুক্তি পেতে পারি সর্বগ্রাসী করোনা ভাইরাস থেকে জানিয়েছেন জাপান গবেষক কিন্তু বাংলাদেশের কাছে বড় সুখবর হলো এই মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস এর কার্যকর প্রতিষেধক আমাদের দেশেই আবিষ্কার করছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের গবেষকেরা।জাপান গভেষক জানিয়েছেন ফুজিফিল্ম তয়োমা ফার্মাসিউটিক্যালস লি. তৈরি করেছে ফ্যাভিপিরাভির ‘অ্যাভিগান’ নামক ট্যাবলেট যা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কার্যকরী ঔষধ।কিছু ঔষধ যা সরাসরি করোনাভাইরাস এর জন্য না হলেও অন্য ভাইরাস এর জন্য এই ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছিলো।সেই ঔষধ গুলো যথা ফ্যাভিপিরাভির, রেমডেসিভি, ইন্টারফেরন আলফা টুবি, রিবাভিরিন, ক্লোরোনকুইনিন, লোপিনাভির এবং আরবিডল কভিড-১৯।করোনাভাইরাস এর জন্য প্রতিষেধক তৈরি করছেন জাপানের ফুজি ফিল্ম কোম্পানির সাবসিডিয়ারি ওষুধ কোম্পানি তয়োমা কেমিক্যাল যার জেনেরিক নাম হলো ফ্লাভিপাইরাভির।এই প্রতিষেধকটি বাংলাদেশের বেক্সিমকো ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস তৈরি শুরু করছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।এই ঔষধ টা আগামি (১২ই এফ্রিল) রবিবার স্বাস্থ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করতে চলেছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস।তাছাড়া যেসব হাসপাতালে করোনার ছবলে পড়া রোগি আছে সেসব হাসপাতালে এই ঔষধ পৌছে দিবে।এই মুহুর্তে ফার্মেসিতে সরবরাহ করা হবে না। কোম্পানির প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৪০০ টাকা কিন্তু সুখবর হলো এই প্রতিষেধক আক্রান্ত রোগীর বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হবে।ভুক্তভোগীরা সেই দিনটির অপেক্ষায় আছে।করোনা মহামারী সর্বগ্রাসী বিস্তার ঠেকাতে শহর থেকে প্রত্যান্ত অঞ্চল পর্যন্ত গ্রাম বাংলা জনপদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে।গণ পরিবহন আর জনসমাগম এড়িয়ে ঘরের বাইরে না গিয়ে সুপদমন্ডলে অবস্থান করতে হবে।প্রশ্ন থাকতে পারে দেশের হত দরিদ্র,কামার-কুমার,তাতি-জেলে,দিন মুজুর,রিক্সাচালক,ভ্যানচালক শ্রমিকরা কিভাবে এই করোনা মহামারীতে দুমুঠো খেয়ে বাচবে? এক দিকে করুণ মর্মস্পর্শী মৃত্যু অন্যদিকে দিন এনে দিন খাওয়া হতদরিদ্র মানুষদের করোনা সংকট মোকাবিলায় কিছু দিনের জন্য হলেও সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে এসে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে এবং সরকারীভাবে বিশেষ কোনো সুরক্ষা বা ভাতার ব্যবস্থা করা অথবা ত্রান-সামগ্রি বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সর্বগ্রাসী বিস্তার ঠেকাতে প্রতিরক্ষা মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সর্বস্তরের মানুষের এগিয়ে আসতে হবে এবং করুণ মৃত্যু থেকে রক্ষা পেতে হলে চিকিৎসা সেবার আদর্শ মেনে চলতে হবে।

Related Posts

37 Comments

মন্তব্য করুন