বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।আজকে আমি একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনাদের কাছে হাজির হলাম।
সাধারনত রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হলে এবং শরীর সেটা ভাংতে না পারলে তখনই ডায়াবেটিস হয়। বর্তমানে বিশ্বে ডায়াবেটিস একটা আতঙ্কজনক রোগের নাম। কেননা এখন সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।এর মধ্যে ৬০% রোগী হচ্ছে মধ্যবয়স্ক এবং বাকিরা প্রাপ্তবয়স্ক ও অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়েরা।ডায়াবেটিস দুই রকম হতে পারে ১টা হচ্ছে শরীরের অগ্নাশয় থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন হরমোন প্রোডাকশন না হওয়া অথবা হলেও সেটা ঠিক মত কাজ করে না।আবার আরেকটি হতে পারে যে অগ্নাশয়ের ইনসুলিন উৎপাদনের কোষগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে যে কোন কারণে। এর উপর ভিত্তি করে ডায়াবেটিসকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমনঃ-যখন ইনসুলিন উৎপাদন একেবারে বন্ধ হয়ে যায় সেটা হলো টাইপ ১ ডায়াবেটিস। আক্রান্ত রোগীদের ১০%-১৫% এই প্রকার ডায়াবেটিসের শিকার হয়ে থাকে। আর যখন ইনসুলিন উৎপাদন কম হয় বা হলেও কাজ ঠিকভাবে কাজ করে না সেটা হচ্ছে টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলাইটিস।এটা একবার হলে এটার কোনো পারমানেন্ট কিউর নেই তাই সারাজীবন কিছু নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়।তাই আমাদের সকলের উচিৎ ডায়াবেটিস হওয়ার পর নিয়ম নীতি মেনে জীবন যাপন করার চেয়ে হওয়ার আগে প্রতিরোধ করে তুলা।তবে যেহেতু এটা জিনগত ও বংশগত রোগ সেক্ষেত্রে এর ঝুঁকি যে কোন ব্যক্তির থাকা স্বাভাবিক। এই জন্যে এটা হওয়ার আগে আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে হবে।
এর জন্য যা যা করতে হবেঃ-
১)ব্লাড সুগার লেভেল এর দিকে নজর দিতে হবে। খাবারে আগে থেকেই অল্প মাত্রায় সুগার এড করতে হবে। ভিটামিন -সি জাতীয় খাবার খেয়ে দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে হবে যাতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। মিষ্টি বা চিনি জাতীয় খাবার অল্প পরিমাণে খেলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকলে ডায়াবেটিস থেকে বাঁচা সম্ভব।
২)সুস্থ অবস্থায় নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম ইত্যাদি অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অল্পতে যেন ক্লান্তি না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ডায়াবেটিস রোগের এতি একটি অন্যতম লক্ষণ।শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শারীরিকভাবে ফিট রাখা যেতে পারে।
৩)ফ্যাট জাতীয় খাবারের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। যেসব খাবার শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে এমন খাবার পরিহার করতে হবে। খাদ্যাভাসে কম মেদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার যোগ করতে হবে।মনে রাখতে হবে খাদ্যাভাসে নিয়ন্ত্রণ আনাই ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আজকের আর লিখছি না।আমি যতটুকু জানি আপনাদের কে জানালাম। ভুল হলে ক্ষমা করবেন আর ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহ হাফেজ।