আধুনিক বিশ্বে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে নিজেকে আকর্ষণীয় রাখা বিশেষ দরকার। আর তাই অনেকেই এখন পুস্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিজেদের শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট করে থাকেন।
বর্তমান সময়ে ডায়েট বলতে কেবল না খেয়ে থাকা বোঝায় না। নানান রকম খাবার যাচাই বাছাই করে পরিমিত আকারে তা গ্রহণ করাই হচ্ছে এখনকার ডায়েট। এক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন ধারা গবেষণার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। তেমনই আধুনিক ডায়েটে অন্যতম একটি ধারা হলো, মেটাবলিজম বৃদ্ধি।
সাধারণ কিছু কাজ বা অভ্যাসের মাধ্যমে মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে স্বাস্থ্যকর ডায়েট সম্ভব। নিচে মেটাবলিজম বাড়ানোর উপায়সমূহ বর্ননা করা হলোঃ
(১) প্রতিটা ভারী খাবারে প্রোটিন থাকতে হবে। সেটা ডিম, দুধ, দই, মাছ বা মাংস যেকোন প্রোটিন সোর্স হতে পারে।
(২) পানি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। প্রতিদিন সর্বনিম্ন ২ লিটার পানি পান করা দরকার।
(৩) High Intensity workout মেটাবলিজম বাড়াতে অনেক কার্যকর।ফ্যাট বার্ণ করে মেটাবলিক রেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আবার ওয়েট ট্রেনিং এ ক্যালরি বার্ন বেশি না হলেও এটি মেটাবলিক রেট বাড়তে সক্ষম, এতে করে মাসলের স্ট্রেংথ লেভেল বৃদ্ধি পায়। অন্তত ৩০ মিনিট হিট /ওয়েট ট্রেনিং প্রতিদিনের রুটিনে রাখা আবশ্যক।
(৪) ১ ঘন্টা কাজ করলে এরপরে ২ মিনিট উঠে একটু পায়চারি করে, এরপর আবার কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। এতে করে ব্রেনে বেশি চাপ পড়ে না। একারণেও মেটাবলিজম বাড়ে।
(৫) মশলা জাতীয় খাবার প্রতিদিনের একটা মিলে অবশ্যই রাখা প্রয়োজন। মরিচ, ক্যাপসিকাম, আদা, রসুন, পেয়াজ, দারুচিনি, এলাচ এসব মসলা শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(৬) মেটাবলিজম বাড়ানোর অন্যতম উপায় হলো নিয়মিত ঘুম। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হলেও ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে; কেননা মানুষের শরীরের জন্য ঘুম অনেক জরুরি।
(৭) বিভিন্ন খাদ্য উপাদান,যেমন, ফাইবার, ফ্যাট এসব ব্যালেন্স করে খেতে হবে। বিভিন্ন ফলমূল, বাদাম এসব খাদ্য তালিকায় সপ্তাহে ৫-৬ দিন রাখার চেষ্টা করতে হবে।
ছোট ছোট এই কাজগুলো খুব ধীরে হলেও একজন মানুষকে ফিট করে তুলতে সাহায্য করে। তাই রোগমুক্ত ও সুন্দর থাকার জন্য এসকল কাজ নিয়মিত করা উচিত।