–আচ্ছা ডিভোর্স দেওয়া মানেই কি খারাপ?ডিভোর্স দেওয়া মানেই কি চরিএহীনা?ডিভোর্স দেওয়া মানেই কি মেয়েটা অসতী?
একটা মেয়ে যখন তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়।তখন আমরা খুব সহজেই বলে ফেলি মেয়েটা খারাপ,চরিএহীনা।কিন্তু একটা বার ও কি ভেবে দেখেছেন এই মেয়েটার ডিভোর্স দেওয়ার পিছনে কারনটা কি ছিলো?কেনো এই মেয়েটা আজকে স্বামী সংসার সবকিছু ত্যাগ করলো?কেনো নিজের সুখের সংসারটাকে ভেঙে দিলো?
আমরা উপরের গল্পই শুনি।কিন্ত গল্পের পিছনে যে লুকিয়ে থাকে অজানা কত রহস্য সেটা আমরা কেউই জানার চেষ্টা করি না।বিয়ের সময় একটা মেয়ে কত স্বপ্ন নিয়েই না তার শশুর বাড়ি আসে।তার স্বামী সংসার সবকিছুকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে।কিন্তু কিছু কিছু মেয়েদের সেই স্বপ্ন কখনোই পূরন হয় না।তাকে সহ্য করতে হয় স্বামীর কঠোর নির্যাতন।শুনতে হয় শশুর শাশুড়ির হাজারো কথা।এতো নির্যাতন সহ্য করার পর,মেয়েটা ভাবে হয়তো বাচ্চা হয়ে গেলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।কিন্তু না বাচ্চা হওয়ার পর ও কিচ্ছু ঠিক হলো না।তার উপর নির্যাতন চলতেই থাকে।ঠিক তখনই মেয়েটা এই অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ডিভোর্সের মতো কঠিন পথ বেছে নয়।মেয়েটা হয়তো সবার সামনে মুখে বলে সে ডিভোর্স দিবে।কিন্তু যখন সে কাগজে সাইন করতে যায়,তখন তার বুকটা পুরে ছাড়খার হয়ে যায়।সেই ব্যথা সে কাউকে বলতে পারে না,গলা ফাটিয়ে চিৎকার ও করতে পারে না শুধু নিরবে সহ্য করে যায়।
মেয়েটার তার স্বামীকে নিয়ে কত স্বপ্নই না ছিলো।
চেয়েছিলো তার সাথে সারাটা জীবন এক সাথে থাকতে।জোসনা মাখা রাতে দুজনে মিলে একসাথে গল্প করতে।হাতে হাত রেখে একসাথে চলতে।কিন্তু নির্মম ভাগ্য মেয়েটার স্বপ্ন গুলো পূরন হতে দেয় নি।রোজরাতে ছেলেটা অফিসের নাম করে মেয়েদের সাথে রংতামাসা করে বেড়ায়,মেয়েটা তার জন্য খাবার নিয়ে রাতের পর রাত তার জন্য অপেক্ষা করে।কখনো একটু ভালোভাবে কথা ও বলে না তার সাথে।এতকিছু সহ্য করতে না পেরে,একটা সময় ডিভোর্স দিতে বাধ্য।যখন মেয়েটা ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে যায়।তখন মেয়েটা মনে মনে একটা কথাই বলে আমি আপনার সাথে সংসার করতে চেয়েছিলাম, আপনার সাথে সারা জীবন থাকতে চেয়েছিলাম।কিন্তু আপনি আমাকে থাকতে দেন নি।এভাবেই কতশত মেয়েদের জীবনটা শেষ হয়ে যায়।তাদের সাজানো স্বপ্ন গুলো শেষ হয়ে যায়।তাদের জীবনী নিয়ে কোনো গল্প বা উপন্যাস লেখা হয় না,হয় না কোনো কবিতা লেখা।