বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।
ঢাকার রাস্তায় জনৈক পথচারীকে করা কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (কাল্পনিক) নামক শিরোনামের বিষয় নিচে উপস্থাপন করা হলোঃ
এক্সকিউজ মি, ভাইয়া।
জ্বী বলুন…
আপনাকে কিছু প্রশ্ন করতে পারি?
জ্বী করুন।
চিপস খেয়ে প্যাকেটটা কোথায় ফেলেন?
-রাস্তায়!!! 😥
কোক খেয়ে বোতল কোথায় ফেলেন?
-রাস্তায়!!! 😥
ঝাল মুড়ি খেয়ে ঠোঙ্গাটা কোথায় ফেলেন?
-রাস্তায়!!! 😥
ময়লা আবর্জনা পলিতে করে কোথায় ফেলেন?
-রাস্তায়!!! 😥
ভাঙ্গা প্লাস্টিক, লোহা কোথায় ফেলেন?
-রাস্তায় ও আশেপাশে!!! 😥
আর এইসব ময়লা প্লাস্টিকের বোতলসহ অন্যান্য সব রাস্তা থেকে কোথায় যায়?
-ড্রেন, নালা, নর্দমায়👍।
আমিঃ আপনি জানেন কি…..?
আপনার আমার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দেয়া এই সব ময়লা আবর্জনা, পলিথিন, ডাবের খোসা, প্লাষ্টিকের বোতল একসাথে জমাট হয়ে বন্ধ করে রাখে পয়ঃনিষ্কাশন ও ড্রেনেজের স্বাভাবিক গতি? আর তাই সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপরে পানি জমে যায়। ড্রেনেজ প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে। ড্রেনে পানি যাওয়া বাধাগ্রস্ত হয়। এই গুলা নিশচয় দেশ পরিচায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাক্তিরা করেনা। আর আমরা জনগন নিজের সমালোচনা করিনা। জলাবদ্ধতার ছবি তুলে বা ভিডিও করে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে বাহবা পাওয়ার চেস্টা করি বা পোস্টে সরকারকে যা ইচ্ছে তাই গালাগালি করি। টিটকারি মেরে বলি উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছি, দেশটাকে সিঙ্গাপুর বলে ট্রল করি।
নানান সমালোচনায় অট্ট হাসিতে হাসাহাসি করি। কিন্তু একবারও ভেবে দেখেছেন এর জন্য কিন্তু আপনারাই দায়ি?
না, আপনারা কেন নিজেদের দায়ি ভাববেন। আপনারা তো সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনে ব্যস্ত।
সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক োগা্যোগ মাধ্যম সয়লাভ করছেন। বাজার বন্দর, চায়ের দোকান গরম করছেন। আপনারা সব সময় সরকারকে নিয়ে সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পরছেন কিন্তু দোষটা কার, এর উৎস কোথায় সেটা দেখেন না।
এভাবেই আছি আমরা। আল্লাহ আমাদের দায়িত্ববোধ উদয় করে দিন।