Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

তথ্য ওযোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বা ই-কমার্স।

ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি আজ বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। একটি দেশের অর্থনীতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বেশি ভুমিকা পালন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক সহজ ও লাভজনক হয়েছে। কয়েক দশক আগেও বিশ্বের এক দেশের সাথে অন্যদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো। কিন্তু বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক নতুন নতুন মাত্রা লাভ করেছে এবং অনেক উন্নতিও সাধিত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ছোয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। প্রথাগত ব্যবসার বাইরে ই-কমার্সের প্রচলন ঘটছে।বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের কোনো ক্রেতা ঘরে বসে ই যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো পণ্যের জন্য অর্ডার দিতে পারেন এবং ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পণ্যের মূল্যও পরিশোধ করে ঘরে বসে ই সেই পণ্য পেয়েও যাবেন। এই পণ্যগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ই ক্রেতার নিকট পৌঁছে দেয়া হয় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে। বিশাল পরিমাণ বানিজ্যিক কার্যক্রম এখন অনলাইনের মাধ্যমেই সম্পাদন করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের সমস্ত ক্রেতারা এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে পরস্পর আন্তঃসংযুক্ত হয়ে পড়েছেন। জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে চাইলে এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের বাজার কেবল নিজের দেশের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। আন্তর্জাতিক বাজারে অংশগ্রহণ করতে হবে। তবে ই সৃষ্টি হবে বৈশ্বিক ব্যবসা-বাণিজ্যের। এতে করে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে এবং সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। প্রযুক্তি শেয়ার ও স্থানান্তরের মাধ্যমে উন্নত হবে শিল্প কারখানাগুলো। এ লক্ষ্যে আমাদের দেশেও বিভিন্ন সংস্থা তৈরি হচ্ছে।এখানে তৈরি পণ্য অনেক উন্নত মানের হয়। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্যও ইলেকট্রনিক রূপ লাভ করেছে। ইলেকট্রনিক মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করাকে ই-কমার্স বলা হয়। সাধারণত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক উপায়ে কোনো পণ্য কেনা বেচা করাকে সহজ ভাষায় ই-কমার্স বলা হয়। পণ্য বা সেবার উপাদান,মার্কেটিং, ডেলিভারি, সার্ভিসিং, মূল্য পরিশোধের অনলাইন প্রক্রিয়াসমূহ সামগ্রিকভাবে ই-কমার্সের অন্তর্ভুক্ত। ১৯৬০ সালে ডাটা ইন্টারচেঞ্জ এর মাধ্যমে ই-কমার্সের যাত্রা শুরু হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে ই-কমার্সের দ্রুত প্রসার ঘটছে। আর ই-কমার্সের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে দিন দিন অনেক। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে ই-কমার্সের ব্যপক প্রসার ঘটে। বিশেষ করে ১৯৯৫ সালে কিছু নতুন ওয়েবসাইট আবিস্কারের ফলে ই-কমার্সের নতুন যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে কোনো পণ্যের বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে পন্যের অর্ডার গ্রহণ এবং পণ্যের বিল পরিশোধ এবং পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া সব কিছুতেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে।বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের কথা কল্পনাও করা যায় না।দেশের ধনীরা সহ মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরাও এখন ই-কমার্সের মাধ্যমে পণ্য কেনা বেচায় আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। অনলাইনের মাধ্যমে কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করা হলে তাকে অনলাইন শপিং ও বলা হয়ে থাকে। ইংল্যান্ডের সাসেক্সে মাইকেল অল্ডরিচ ১৯৭৯ সালে অনলাইন শপিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। এর মাধ্যমে ক্রেতা ঘরে বসে ই যেকোনো পণ্য পছন্দ করে সেই পণ্যের অর্ডার দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমেই সেই পণ্যের বিল পরিশোধ করতে পারেন। এই পদ্ধতি অনেক নিরাপদ এবং সময় সাশ্রয়ী। এর ফলে ক্রেতাকে ঘরের বাইরে যেতে হয় না যার ফলে তার প্রয়োজনীয় পরিবহন খরচ এবং শক্তির অপচয় হয় না। ফলে ই ই-কমার্স দেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠীর কাছে ই ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ঘরে বসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কেনাবেচা অনেক সুবিধাজনক ও লাভজনক।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালিত হওয়ার ফলে তা ই-কমার্সকে ব্যবসা-বাণিজ্যের আধুনিক পদ্ধতি নামে অভিহিত করা হয়। ফলে এক দেশের মানুষ সহজেই অন্য দেশের পণ্য ক্রয় করতে পারছেন এবং অনেক আগ্রহও বাড়ছে। এজন্য ই-কমার্সকে বিশ্বগ্রামের অন্যতম সুফল হিসেবে অভিহিত করা হয়।
আবার মোবাইলের মাধ্যমে যে কোনো স্থানে থেকে তারবিহীন সুবিধার মাধ্যমে অর্থাৎ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয় করার ধারণাটিকে মোবাইল কমার্স নামে অভিহিত করা হচ্ছে। মোবাইল কমার্স কর্তৃক পণ্য বা সেবার মধ্যে রয়েছে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার বা মোবাইল মানি ট্রান্সফার, মোবাইল দ্বারা এটিএম থেকে টাকা উত্তলন করা,মোবাইলের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করা বা অন্যান্য সকল পণ্য ও ক্রয় করা ইত্যাদি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ফলে বর্তমানে সকল কার্যক্রমের মত ব্যবসা-বাণিজ্যও অনেক উন্নতি লাভ করছে এবং ভবিষ্যতে আরী বেশি উন্নতি লাভ হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বত্র। দেশের সকল কার্যক্রমেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির উপর বর্তামান বিশ্বের সকল মানুষ সকল কার্যক্রমের জন্য নির্ভর করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করার ফলে পণ্যের গুণগত মান অনেক বৃদ্ধি পায়,সহজেই প্রয়োজনীয় পণ্য খুজে পাওয়া যায়,বাহ্যিক সেটআপ ছাড়াই ব্যবসা করা যায়,ক্রেতা দৈহিকভাবে উপস্থিত না থেকেও পণ্যের গুণগত মান যাচাই করে পণ্য পছন্দ করতে পারেন,কম খরচে উন্নত মানের সেবা গ্রহণ করা যায় ইত্যাদি। ই-কমার্সের সুবিধা অনেক যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।

Related Posts

12 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No