আমাদের প্রত্যহিক ব্যবহারিক জীবনের সাথে ইন্টারনেট আজ এতপ্রোতভাবে জড়িতে আছে । আপনি টেলিভিশনের সুইচ দিয়ে রিমোট কন্ট্রোল হাতে মূহূর্তের মধ্যে এক দেশের অনুষ্টান থেকে অন্য দেশের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারছেন । আপনি কি জানেন ? আপনার সামনে পরিবেশিত এইসব অনুষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে । পৃথিবীর অন্য পান্তে কী ঘটছে তা ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূহূর্তে মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে এই প্রান্তের কম্পিউটারে ।
এমনকি শুধু পৃথীবীর মাটিতেই নয় । মহাকাছে , মহাসাগরের যেখানে যা কিছু ঘটছে -তার তথ্যাদি , ভিডিও চিএ মূহূর্তের মধ্যে সম্প্রচার কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে এই ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ।
আপনি ছাএ, গৃহিনী কিংবা চাকুরীজীবী যাই হোক না কেন , ইন্টারনেট পরিবারের সদস্য হওয়ার মাএ পুরো বিশ্ব যেন চলে আসবে আপনার সামনে রাখা কম্পিউটারের মনিটরে । আপনার হাতের ডগায় । কী-বোর্ড আঙ্গর সামান্য ছোয়ায় আপনি পুরো বিশ্ব ঘুরে আসতে পারবেন মূহূর্তের মধ্যে ।তাহলে আসুন জেনে নিই -কেন আপনাকে ইন্টারনেট পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে বা এই পদ্ধতি সম্পর্কে পরিপূন জ্ঞান অর্জন করতে হবে ।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ও হাইপারলিংক
হাইপার লিংকের সাহায্যে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যেমে ওয়েব পেইজ দেখা যায় , যা টেক্সট , চিএ ও অন্যান্য মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ হতে পারে ।
ইন্টারনেটের মধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার পক্রিয়ার ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত , ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা সংক্ষিপ্তরুপ হলো দি ওয়েব । যাকে বলা হয় ইন্টারনেট দিয়ে দার্শনযোগ্য আন্তসংযোগকৃত তথ্যদির একটি ভান্ডার । একটি ওয়েব ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে একজন দর্শন ওয়েব পাতা বা ওয়েব পেজ দেখতে পারে এবং সংযোগ বা হাইপার লিংক ব্যবহার করে নির্দশনা গ্রহন ও প্রদান করতে পারে ।
১৯৮৯ সালে মার্চে ইংরেজ টিম বার্নাস লী, বর্তমানে যিনি ওয়ার্ল্ড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডাইরেক্টর । পরবর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারনা নিয়ে, যে প্রস্তাবানা লেখেন তা হতেই উতপাত্তি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের । পরবর্তীতে একাজে বার্নাস লি-এর সাথে যোগ দেন বেলজিয়াম বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াটি ।এসময় তারা উভয়েই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কর্মরত ছিলেন । ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে তাদের প্রকাশিত এক প্রস্তাবনার তারা বলেন । হাইপারটেক্সটে লিংক ও ওয়েব হতে নানবিধ তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম নিসাবে ব্যবহার করে একজন ব্যাবহারকারী তার মার্জমাফিক ওয়েব পরিভ্রমন করতে পারবেন। বাস্তবিকপক্ষে তাই ঘটছে ।
বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে অন্যান্য যে সব ওয়ব সাইট তৈরি হয়েছে -তাতে সারা বিশ্বব্যাপি ডোমেইন এর নাম ও এইচটএমল এর ক্ষেত্তে আন্তর্জাতিক মান স্থাপিত হয়েছে । তখন থেকেই বার্নাস লী ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করে ।যেমন ওয়েব পেজ তৈরিতে কোন মার্কাআপ ভাষা ব্যবহার করা হবে। সাম্প্রতিক কালে তিনি আওয়াজ তুলছেন স্যাম্যান্টিক ওয়েব এর ব্যাপারে । ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল প্রক্রিয়ার ইন্টারনেটের মধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে । আর এইভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন । অনেক সময় সাধারন এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেরট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয় । ওয়বে হলো মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একটি আপস
ওয়েব পদ্ধতি যেভাবে কাজ করে
১৯৮৯ সালে সুইজাল্যান্ডের জেনেভায় কর্মরত অবস্থায় স্যার টিম বার্নাস লী ওয়াইর্লড ওয়াইড ওয়েব তৈরি করেন । সেটা শুরু করে ওয়েবের উন্নতি সাধনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করছেন । উদাহরন স্বরুপ , তিনি মার্কআপ ল্যাঙ্গয়েজ তৈরিতে ভূমিকা রাখেন যার মধ্যমে ওয়েব পেজে অলংকরন বা কম্পোজ করা হয় । সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সেমান্টিক ওয়েব তৈরিতে ও উতসাহ প্রদান করছেন ।
ওয়েব পেজ দেখার প্রক্রিয়া সাধারন কোন ব্রাউজারে ইউয়ারএল টাইপ করা যা কোন পাতা হতে হাইপার লিংক অনুসরনের মধ্যেম শুয়ে হয়ে থাকে । এরপর ওয়েব ব্রাউজার যোগাযোগ স্থাপ্নের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কিছু বার্তা প্রদান শুরু করে । এর ফলশ্রুতিতে পরিশেষে পাতাটি দর্শনযোগ্য হয়ে ওঠে ।
প্রথমেই ইউআরএল এর সার্ভার নামে অংশটি আইপি অ্যাড্রেস ধারন করে । এইজন্য এটি একটি বিশ্বজনীন ইন্টারনেট ডাটাবেস বা তথভান্ডার ব্যবহার করা যা ডোমেইন নেমে সিস্টেম নামে পরিচিত । এই আইপি ঠিকানাটি ওয়েব সার্ভারে ডাটা প্যাকেট প্রেরনের জন্য জুরুলী
। এর পর ব্রাউজার নির্দষ্ট ঠিকানাটি কে একটি এইচটিপির আবেদন জানায় ওয়েব সার্ভারের কাছে । সাধারন কোন ওয়েব পেজের বেলায় , পাতাটির এইচটিএমএল লেখার জন্য শুরুতে আবেদন জানানো হয় । এরপর ওয়েব ব্রাউজারটি ছবিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ফাইল জন্য আবেদন পৌছে দেয় । ওয়েব সার্ভার থেকে আবেদনকৃত ফাইলসমূহ পাবার পর ওয়েব ব্রাউজারটি এইচটিএমএল , সিএসএস ও অন্যান্য ল্যাঙ্গয়েজ অনুযায়ী পাতাটি স্ক্রীনে সাজিয়ে ফেলে । অধিংশ ওয়েব পাতাগুলোতে নিজস্ব হাইপারলিংক থাকে যাতে এই সম্পর্কিত অন্যান্য পাতা এবং ডাউনলোড সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্য নির্দেশইত থেকে । এই প্রয়োজনীয় ও পরস্পর সংযুক্ত হাইপারলিংকেগুলোর সমষ্টিই ওয়েব নামে পরিচিত ।