চট্টগ্রামে চলমান বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছিলো তিন উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান। এখনো ২১৮ রান এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ওপেনার দুইজনসহ প্রথম তিনজনই ভালো শুরু করতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে বেশ সাবলীল মমিনুল হক এবং দিনের শেষেও তিনি উইকেটে ছিলেন। মুশফিকুর রহিম এবং মুমিনুল হক মিলে দিন শেষ করেছেন। পাঁচদিনের টেস্টে এখনো আরও দুইদিন বাকি। তবুও এত তাড়াহুড়ো কেন করলো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তা এখনো স্পষ্ট নয়। এর জন্য সমালোচিত হচ্ছেন তারা।এছাড়া প্রথম ইনিংসে ভালো রানের সংগ্রহ থাকলেও বাজে আউট হবার জন্য সমালোচিত হয়েছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা।
এদিকে তৃতীয় দিনের ম্যাচের শুরুতেই বেশ চাপে ছিলো সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। গতকালকেই ৭৫ রান করে দুই উইকেট হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। ৩৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর দিনের শুরুতেই তাইজুল আরেকটি উইকেট তুলে নেন। অর্ধশতক পার করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নাইম হাসান পরের উইকেটটি নেন। দুপুরের বিরতিতে যাবার আগে ৫ উইকেট হারিয়েছিলো সফরকারীরা। পরের উইকেটটি নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১৭১ রানে পিছিয়ে থাকে। এই ম্যাচে মেহেদী মিরাজ সেন্ঞ্চুরি করেছেন প্রথম ইনিংসে এবং পরে চারটি উইকেট নেন। এছাড়া নাইম দুইটি, তাইজুল দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন। আর সাকিব উইকেট শূন্য থাকলেও মুস্তাফিজুর রহমান গতকালকেই দুইটি উইকেট নিয়েছেন। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের দুইজন ব্যাটসম্যান অর্ধশতকের বেশি রান করেছেন তবে সেঞ্চুরির দেখা পাননি কেউই।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ১ রান তুলতেই তামিম এবং শান্ত দুইজনেই শূন্য রানে আউট হন। তখন ১৫ রানে দুই উইকেট না থাকায় বাংলাদেশ দল চাপে পড়ে যায়। এরপর সাদমান ৫ রান করেই আউট হন।তারপর কিছুটা চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুমিনুল এবং মুশফিক। পরবর্তীতে দলীয় ৪৭ রানে দিনের খেলা শেষ করেন অপরাজিত মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম।
আজ বাংলাদেশ ২১৮ রানে এগিয়ে থেকে খেলা শুরু করবে। এছাড়া এই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজ অলরাউন্ডার পারফর্মেন্স দেখিয়েছেন। সেন্ঞ্চুরি করেছেন এবং চারটি উইকেটও নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে চারশো পেরোনো ইনিংসে সবাই কম বেশি অবদান রেখেছিলেন। আজকে সকালে একই ভেন্যুতে তথা চট্টগ্রামে খেলা হবে এবং বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম ম্যাচ শুরু করবেন। বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য থাকবে প্রতিপক্ষের সামনে বড় অঙ্কের একটা রানের টার্গেট দিতে। আর সফরকারীরা চাইবে তাড়াতাড়ি উইকেট তুলে নিতে। সেইক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ধৈর্য্য ধরে খেলতে হবে। তাড়াতাড়ি উইকেট হারানো চলবে না। সিরিজের শেষ টেস্টটি শুরু হবে ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায়।