Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

তৃতীয় সপ্তাহের সপ্তম শ্রেনির কৃ্ষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি।

এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আমি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সপ্তম শ্রেণির তৃতীয় সপ্তাহের কৃষিশিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

#কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট

(১)বাংলাদেশের মানুষকে কেন মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়?
উত্তরঃমাছে ভাতে বাঙালি কথাটি প্রকৃত অর্থেই সঠিক।মাছে ভাতের সাথে বাঙালিদের সম্পর্ক বহুকাল আগের।আদিমকাল থেকে মাছ খেতো বাঙালি। মাছের সাথে ভাতের সম্পর্ক নিবিড় হওয়ায় কারনটি হলো বাঙালির মূখ্য খাদ্য ভাত
এবং দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রধান পদ মাছ।আরেকটা কারণ হলো বাংলাদেশ ননদীমাতৃক দেশ।ধান এবং মাছ দুটোই খুব সহজলভ্য আমাদের দেশে।আর খাদ্য উপাদানের সহজলভ্যতা কোন অঞ্চলের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি তৈরি করে।যে অঞ্চলে খাবার উপাদান যতটা সহজলভ্য সেই অঞ্চলের খাবার উপাদানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে সেই অঞ্চলের পরষ্পর খাদ্য সমূহ।এর ফলে ভাত ও মাছ বাঙালির প্রধান খাদ্য হয়ে ঊঠে।আর সেই জন্য সমস্ত বাঙলি জাতির সাথে মাছে ভাতে বাঙা্লি কথাটি ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছে।

(খ)একটি সমাজ গঠন করতে কৃষি কিভাবে ভূমিকা পালন করে?
উত্তরঃসমাজ গঠনে কৃষি প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি কাজের মূল চালক হলো কৃষক।কৃষক মাঠে ফসল ফলায়, মাঠ থেকে ফসল সংগ্রহ করে বাড়ি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বাড়িতে সেই ফসল যত্ন করে সংরক্ষন করে রাখা হয়।তাছাড়া পুরুষের পাশাপাশি বাড়ির মহিলারাও হাঁস মুরগী পালন করে। এভাবেই মানুষের মাঝে শ্রম বিভাজন হয়। এতে করে একটি ঐক্যবদ্ধতা গড়ে ঊঠে।
প্রথমে যদিও সেই ঐক্যবদ্ধতা পরিবারের মাঝে গড়ে উঠে পরবর্তীতে সেই ঐক্যবদ্ধতা সামাজিক বন্ধনে রুপ নেয়।এই সামাজিক ঐক্যবদ্ধতা সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সভ্যতার গোড়ার দিকে মানুষ যখন গুহায় বসবাস শুরু করলো।পরবর্তীতে গুহা ছেড়ে মাটির ঘর বাড়ি তৈরি করলো ঠিক সেই সময়ে ঘর থেকে আসতে আসতে গ্রামের পান্ডন শুরু হলো। মানুষ তার বুদ্ধি এবং শ্রম দিয়ে কৃষিকে করেছে উন্নর থেকে উন্নতকর।ফলে কৃষি ক্ষেত্রে বেড়েছে উৎপাদন এবং সেই সাথে মানুষের মাঝে আস্থা ও মূল্যবোধ তৈরি হয়েছে।এভাবে সমাজ গঠনে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(গ) কিভাবে সেচের পানি অপচয় হয়?
উত্তরঃ
যেভাবে সেচের পানি অপচয় হয়ঃ
পানি সেচ কৃষিকাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি।এটির ঘাটতি হয় ফসল ঊৎপাদন অসম্ভব হয়।কিন্তু সেচে পানি অপচয় হয়।বিভিন্নভাবে সেচে পানি অপচয় হতে পারে।
১.বাষ্পীকরণ
২.পানি অভিস্রাবন
৩.পানি চুয়ানো
ফলগাছের গোড়া এবং শাক সবজিতে কোন পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়ঃ

ফল গাছের গোড়ার সেচ পদ্ধতিঃ
ফল গাছের গোড়ায় বৃত্তাকার সেচ পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়।এই পদ্ধতিতে সমস্ত জমিকে সেচ না দিয়ে শুধুমাত্র উপযুক্ত স্থানে সেচ দেওয়া হয়।বৃত্তাকার সেচ পদ্ধতিতে ফল বাগানের একদম মাঝ বরাবর একটি নালা কাটা হয় এবং তা প্রধান নালার সাথে সংযোগ দেওয়া হয়।বৃত্তাকার সেচ পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় না এবং সেই সাথে পানি নিয়ন্ত্রন করাও বেশ সহজ।

শাকসবজি জমিতে সেচ পদ্ধতিঃ
শাকসবজির ক্ষেত্রে ফোয়ারা পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হয়।এ পদ্ধতিতে ফসলের জমিতে বৃষ্টির মত সেচ দেওয়া হয়।আমাদের দেশে ঝাঝড়ি দিয়ে বীজতলায় কিংবা চারা গাছে ফোয়ারা সেচ দেওয়া হয়।

রুট স্টক ও সায়ন বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃরুট স্টক ও সায়নের জোড়া লাগানোর পদ্ধতিকে বলা হয় জোড়া কলম।জোড়া কলম প্রধানত দুই ধরণের হয়।যেমনঃযুক্ত জোড়া কলম এবং বিযুক্ত জোড়া কলম।জোড়া কলমের মাধ্যমে বর্তমানে আম,সফেদা,তেজপাতা প্রভৃতি গাছের বংশবিস্তার হচ্ছে।জোড়া কলমের প্রধান দুটি অংশ হলোঃ১.রুট স্টকঃঅনুন্নত যে গাছের জোড়া লাগানো হবে তাকে রুট স্টক বলে।২.সায়নঃযে অঙ্গে উন্নত গাছের স্টকের সাথে লাগানো হয় তাকে সায়ান বলা হয়।

(ঘ)দুটি সবুজ সারের নাম লিখ।
উত্তরঃকৃষিকাজের সবুজ সার তৈরি হয় উপড়ে ফেলা বা বপন করা ফসলের পরিত্যাক্ত অংশগুলো দিয়ে।
দুইটি সবুজ সারের নাম হলোঃ
১.জৈব সার বা কম্পোস্ট সারঃগোবর,কমপোস্ট আবর্জনা, খরকুটা,আগাছা পচিয়ে জৈব সার তৈরি করা হয়।
২.রাসায়নিক সারঃএই ধরনের সারে নাইট্রোজেন, ফসফরাস,পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম থাকে।

২(ক) সিয়ামের টবে কোন পুষ্টি উপাদানের ঘাতটি লেগেছে?
উত্তরঃসিয়ামের টবে মরিচের গাছগুলো আয়রনের অভাবে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি লেগেছে। কারণ গাছ এ আয়রনের অভাব হলে গাছের পাতার সবুজ রঙ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং পরে সমগ্র পাতায় ছড়িয়ে পড়ে।
আয়রণ ও লৌহ গাছের সবুজ কণিকা ক্লোরোফিল গঠন করে বীজ উৎপাদনে এর ফলে গুনগত মান বাড়ায় শিকড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

(খ) সিয়ামের চাচার পরামর্শ মূল্যায়ন কর।
উত্তরঃসিয়ামের মরিচ গাছগুলোর অবস্থা দেখে তার চাচার সঠিক মাত্রায় সার প্রদান করা পরামর্শটি একদম যৌক্তিক।কারণ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য গৌণ পুষ্টি উপাদান আয়রণ বা লৌহ,তামা দস্তা, বোরন অল্প মাত্রায় প্রয়োজন।তাই গাছের পরিপূর্ণ বৃদ্ধিতে সার প্রদান করা উচিত।

ধন্যবাদ সবাইকে
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

3 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No