বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়।
বন্ধরা প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে আমি একটি Time hack নিয়ে আলোচনা করব যা আজকেী প্রজন্মের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি পড়ে নিজেদের উপকারে আসবে।
বন্ধুরা, Time hack শব্দটি আপনারা এর আগে শুনেছেন কিনা জানি না। কিন্তু অনেকেই হয়তো ভাবছেন Time hack কি বা এটা কিভাবে করব। কিন্তু Time hack করা সম্ভব। তবে এটা সম্পূর্ণ নিজের উপর। বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি কিভাবে Time hack করতে হয় সে নিয়ে আলোচনা করব। কেননা বর্তমান সনয়ের যে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি সেটি হলে বর্তমান প্রজন্ম এতো বেশি কাজে ব্যস্ত থাকে যে, প্রায়শই দেখা যায় কোনো না কোনো দরকারি কাজ করার জন্য সময় জোগাড় করে উঠতে পারে না। এতে ডেডলাইন মিস হওয়ার পাশাপাশি অনকেরই মনে জমা হয় আক্ষেপ। তবে আজকের আলোচনায় খুবই সাধারণ একটি বিষয় Time hack যার মাধ্যমে যে কেউই সাধারণ এ পদ্ধতিটা অবলম্বন করে কিন্তু সময়ের কাজ সময়ে করে ডেডলাইন পার করতে আর অসুবিধা হবে না।
Time hack করতে যে কয়েকটি বিষয় অনুধাবন করা দরকার তার নধয়ে উল্লেখযোগ্য হলো—
১. সারাদিনে আপনি যা কাজ করবেন সে কাজের একটা লিস্ট আপনাকে করতে হবে। যেটি করতে হবে আগের দিনের রাতে। এতে নতুন কাজ যোগ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
২. দিনের শুরু থেকেই লিস্টের কাজ অনুযায়ী প্রতিটি কাজ আপনাকে ধাপে ধাপে শেষ করতে হবে।
৩. লিস্টের কাজ হয়ে গেলে বিনোদনের জন্য আপনি ইউটিউব দেখতে পারেন, অথবা ফেসবুকিং করতে। তবে অবশ্যই আপনাকে লিস্টের কাজ প্রথমে শেষ করতে হবে।
৪. লিস্টে যে কাজ গুলো থাকবে, সেগুলো এক একটা শেষ করে কলম দিয়ে মার্ক করে কেটে দিতে হবে বা ছিঁড়ে ফেলতে হবে। কেননা এরকমভাবে প্রতিটি কাজ শেষে আপনি যে বিজয়ের আনন্দ পাবেন, তা আর কোথাও পাবেন না।
৫. দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও আপনাকে লিস্টের কাজের গুরুত্ব দিতে হবে সবচেয়ে বেশি। কেননা ব্যস্ততা থাকতেই পারে, তাই বলে লিস্টের কাজ ভুলে গেলে হবে না!
৬.স্বাভাবিকভাবপ যদি লিস্টের কাজ শেষ না হয়, তাহলে উপায়? কারণ এটা অতি কমন ব্যাপার বিভিন্ন বিচিত্র কারণে আপনার লিস্টের কাজ আটকে গেল! যাহোক, যেদিন লিস্টের কাজ শেষ হবে না কিন্তু দিন শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো আপনি পরের দিনের লিস্টের কাজে এড করে নিবেন।
৭. সারাদিন আপনি কি কি কাজ করলেন সেগুলো আবার রাতে একটি লিস্ট করলে এক্ষেত্রে আপনি একটি উপকার পাবেন। প্রতিদিনের লিস্টের কাজগুলো সব করা হয়েছে কিনা, সেটা চেক করতে পারবেন এর মাধ্যমে।
উল্লেখ্যঃ মানুষের ব্যস্ততা সব সময় একই রকম থাকে না। জীবনে এমন সময়ও আসতে পারে, যখন আপনি হয়তো দেখবেন যে কাজের চাপ এতো বেশি বড় হবে যে লিস্ট করেও কুলিয়ে উঠতে পারবেন না। এরকম সময়ে কিন্তু আপনার লিস্ট বাড়িয়ে ফেলতে হবে।
★★★সময়কে হার মানানো বা সময়কে Hack করা বড় কঠিন কাজ নয় যদি আপনি নিয়মিত একটা সময় ধরে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিনই করেন।
আজকে এ পর্যন্তই। সামনে নতুন একটি আর্টিকেলে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।