Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

দুঃখ কিনে বাঁচতে চাই!!

মাঝে মাঝে মনে হয় বেঁচে থাকাটা বোধহয় অন‍্যায়।কিন্তু কেউ বা প্রথম কথায় পৃথিবীতে জন্ম নিতে চেয়েছিল!!আর কেই বা বাঁচতে চেয়েছিল।মৃত‍্যু কঠিন বলেই বোধহয় মানুষ মৃত‍্যুকে আলিঙ্গন করতে ভয় পায়।নাহলে হয়তো অদূরে তাকিয়ে মানুষ অনেক আগেই আত্মহুতি দিত-সমাজের মানুষের অকট‍্য ভাষার গালাগাল আর জবাবদিহিতা থেকে বাঁচতে।তো এত দুঃখ কিসের?কিসের ই বা এত কষ্ট!!এত ভয় কেন মানুষকে?একটা সময় ছিল যখন মানুষ কুকুর বিড়ালকে ভয় পেত,পেত ভূতের ভয়।এখন মানুষ শুধু মানুষকে ভয় পায়।ভূতের ভয় পুরোনো হয়ে গেছে।পুরোনো হয়ে গেছে মামদো ভূত আর রাক্ষস খোক্কোসের গল্প।এখন শুধু ভয় মানুষের সমলচনার,মানুষের ছাড়া বিষবাস্পের!!

রাত জাগতে ভয়!ঘুমোতে ভয়!কাপড় পরতে ভয়!কিছু করতে ভয়!দেখতে ভয়!ভয়ে ভয়ে ভয়াকার!এসব ভয়কে কি জয় করার উপায় নেই?মানুষের মুখের উপর কথা বলার সাহস নেই?মানুষকে দূরে ঠেলে যদি জঙ্গলে বাস করতে পারতো রুহানা কতই না ভালো হত তার জগৎ টা।এত কথার বিষবাস্পের ঝাপ্টায় তাকে আঁছড়ে পড়তে হতো না।

রুহানাকে প্রায় শুনতে হয় এসব।চাকরি করে নিজের পরে নিজের খেয়ে পরকে মর্যাদা কেন এত দেয় সে,নিজেও জানে না।কিছু হলেই সমাজের দোহায় দেওয়া টা অভ‍্যাস মানুষের।অথচ খুধার সময় দুমুঠো অন্ন দানের কোনো সংস্থান এ সমাজ ব‍্যবস্থা করতে পারে না।কালে কালে অন‍্যায় অবিচারে প‍ৃথিবীর এই ডুবে থাকা..অসস্থি তৈরী করলেও ঢেউ আসার জন‍্য যে আলোড়ণ প্রয়োজন তা তৈরী করতে পারেই না।কোথায় সামান‍্যতম বিপদের আশঙ্কায় মানুষগুলো দৌড়ে পালাবে।দূর থেকে দেখতে সবকিছু আপন আর সহজ মনে হতে পারে কিন্তু কাছে গেলে হয়তো তা জরাজীর্ণ রক্তবর্ণ।অথচ মানুষ তা বোঝে না।রুহানার সংসার ভাঙার কারণ হিসাবে তাকেই দোষারোপ করা হয় এখনো।কিন্তু কেউ কখনো সেই মদ‍্যপ মানুষটার পৈশাচিকতা নিয়ে কথা বলে না।কেন বলে না?কারণ মানুষের তাতে রয়েছে বিপদের শঙ্কা।

হ‍্যা মানুষের জীবনে দুঃখের কোনো শেষ নেই।না চাইলেই প্রচুর দুঃখ এসে ভিড় করে।আরও দুঃখ তৈরী করে দেয় সমাজ।দুঃখ আর তোমার মাঝে সমাজ সেতু হিসেবে কাজ করে।তাই রুহানা চায় দুঃখ কিনতে।যাতে সমাজের মানুষের এত কষ্ট করা না লাগে।দুঃখ নিজে থেকেই তাদের কাছ থেকে নিয়ে আসবে সে।যাতে দেরি না হয়।ভালো থাকুক আমার ষকল দুঃখেরা!!

Related Posts

7 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No