একটা বিষাক্ত সাপ আপনার সামনে, কি করবেন? হয় সাপটিকে মেরে ফেলবেন।নয়তো আপনি পালিয়ে জীবন বাঁচাবেন।কিন্তু মৃদুবিষধর সাপের মত দুশ্চিন্তা প্রতিনিয়ত আপনাকে দংশন করে যাচ্ছে।ওত বিষধর নয় ভেবে আপনি এটাকে হেলাফেলা করে যাচ্ছেন।কিন্তু মৃদুবিষধর সাপের ন্যায় দুশ্চিন্তা অবিরত আপনাকে দংশন করে বিষাক্ত সাপকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।সে সম্পর্কে আপনার কি কোনো ধারণা আছে?
যদি দুশ্চিন্তার আগাছাগুলোকে গোড়া থেকে ছেটে ফেলতে চান।তবে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য।
দুশ্চিন্তা শব্দটির সাথে পরিচিতি নেই এমন মানুষ খোঁজে পাওয়াই দুষ্কর। প্রাত্যহিক জীবনে আমরা কম বেশি দুশ্চিন্তার মুখোমুখি হয়ে থাকে।কিন্তু হেলাফেলা করার কারণেই সেটা অতি বিপজ্জনক রুপ ধারণ করে।
তো চলুন দেখা যাক,কিভাবে দুশ্চিন্তাকে সম্পূর্ণরূপে দূর করবেনঃ
১।কাগজে লিখুন:
আপনার দুশ্চিন্তার কারণ গুলো কী কী তা একটি কাগজে লিখে ফেলুন।চিন্তা করুন,এ দুশ্চিন্তাগুলো থেকে বের হয়ে আসার উপায় কী।এবার, দুশ্চিন্তা দূরীকরণে প্রতিবন্ধক কারণগুলো সনাক্ত করে, সেগুলোকে কিভাবে প্রতিহত করা যায় ভাবুন।দেখবেন অতি সহজে আপনি আপনার দুশ্চিন্তাকে পরাজিত করতে পারবেন।
২।মেডিটেশন করুন:
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে,অতিরিক্ত মানুসিক চাপ দূর করতে মেডিটেশনের বিকল্প নেই।আপনি একটি জলন্ত মোমবাতি সামনে রেখে তার উজ্জ্বল শিখার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকুন।আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ শিখার উপর রাখুন।এভাবে দুই-তিন মিনিট তাকিয়ে থাকলে আপনার দুশ্চিন্তা অতিদ্রুত চলে যাবে।আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
৩।শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন:
দুশ্চিন্তা দূর করতে রিলাক্সেশন ব্যায়াম উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে।মাত্রাতিরিক্ত মানুসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে আপনি ধীরে ধীরে দম নিয়ে ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন।এভাবে ৫-৭মিনিট করলে আপনি নিজেই পরিবর্তনটা বুঝতে পারবেন।
৪।আত্ম-সম্মোহন করুন:
দুশ্চিন্তা দূর করার সবচেয়ে উপযোগি কাজ হচ্ছে আপনার মনকে অন্যদিকে ঘুরানো।অতিরিক্ত চিন্তা ক্রমান্বয়ে মানসিক চাপ বাড়াতে থাকে।তাই মনকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সম্মোহন।
আপনি নির্দিষ্ট বস্তুর উপর আপনার দৃষ্টি স্থাপন করুন।এবার ১-১০০ উল্টো দিক থেকে গনণা করার চেষ্টা করুন।যখন দেখবেন বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকাতে আপনার চোখে জল চলে আসছে।তখন চোখ বন্ধ করে ফেলুন।কল্পনায় ঐ বস্তুর দিকেই তাকিয়ে থাকুন।
৫।ব্যায়াম করুন:
অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আমাদের শরীরের মাংসপেশি গুলো সংকুচিত হতে থাকে।যার ফলে পেশিগুলোতে ব্যথার উদ্ভব ঘটে।ব্যায়ামের ফলে পেশিগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে এবং মানসিক চাপ অনেকটাই লাঘব হয়।