আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমরা অনেকেই কাজে সফল হতে পারি না শুধু অতিরিক্ত চিন্তা এবং দুশ্চিন্তার কারনে।দুশ্চিন্তার ফলে না পারি কোনো কাজ শুরু করতে আর যদি শুরু করি ও না পারি সেই কাজটা ঠিকভাবে করতে।তাই আমাদের উচিত দুশ্চিন্তা না করা।এখন এমন একজন মানুষকে ও হয়তো পাওয়া যাবে না যে কিনা দুশ্চিন্তা করে না।এই দুশ্চিন্তা ছোট কাজ থেকে জন্ম নেয় হতে পারে অতিতের কোনো কাজ থেকেও হতে পারে কিন্তু এর ফলে আমাদের উচ্চরক্তচাপ বা স্ট্রোকের মতো মরনব্যাধি ভয়াবহ রোগ প্রযন্ত হতে পারে।তাই এই দুশ্চিন্তার থেকে আমাদের মুক্তি পাওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।আজকে আমি -আপনাদেরকে ৪ টি টিপ্স দেবো যেগুলো মানলে আপনি আর দুশ্চিন্তায় ভুগবেন না।
১.নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।আপনি যখন নিজেকে কোনো কাজে ব্যস্ত রাখবেন তখন আপনি আর দুশ্চিন্তা করার সময় পাবেন না।আপনি হতে পরে পড়াশোনায়,খেলাধুলায় বা যেকোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।সবসময় কোনো না কোনো কাজের মধ্যে থাকুন।আর অবশ্যই যেই কাজটি করবেন সেটার মধ্যে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে করুন।তাহলে দুশ্চিন্তা আর কখনো আসবে না।
২.প্রতিদিন মেডিটেশন করুন।দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য মেডিটেশনের উপকারীতা অপরিসিম।মেডিটেশন করলে যেমন দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাবেন তাছাড়া আরো কিছু উপকারীতা পাবেন।তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫-১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন।তাহলে ছোট ছোট সমস্যা যেমনঃ হঠাৎ রেগে যাওয়া,মাথা ব্যাথা করা,শরির ব্যাথা,সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব এইসব সমস্যা থেকে আপনি মুক্তি পাবেন।
৩.অতিত নিয়ে একেবারে কম চিন্তা করুন।আর অতিতের কোনো ব্যর্থতার কথা মনে না এনে তা শিক্ষনীয় হিদেবে নিবেন।দুশ্চিন্তার জন্ম নেয় সাধারণত অতিতের কাজ থেকেই।তাই আমরা যদি অতিতের কোনো কিছু ভুল করি তাহলে আমাদের উচিত সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহন করে এগিয়ে যাওয়া।যদি আমরা শুধু অতিত নিয়েই পড়ে থাকি তাহলে বর্তমানে আমরা আর কোনো কাজ করতে পারবো না।তাই আমাদের উচিত অতীতকে নিয়ে চিন্তা না করে।
৪.মানুষের সাথে হাসিখুশিভাবে কথা বলুন।আপনি যখন কোনো কাজের কথা মানুষের সাথে না বলে নিজের মনেই রেখে দেন তাহলে তা থেকে দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হবে।কিন্তু আপনি যখন মানুষের সাথে শেয়ার করবেন তাহলে আপনার মন অনেক হালকা হবে।হতে পারে আপনি কোনো সাহায্য ও পাবেন।
এই ৪ টি উপায়ে দুশ্চিন্তা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন,যদি এমন কিছু মাথায় আসে যার ফলে মানুষের উপকার হবে তাহলে সেটাই করুন।যতই চিন্তা করবেন ততই কাজটি না করার অভ্যাস হবে।তাই পরেরবার থেকে কোনো৷ কাজে আর দুশ্চিন্তা নয়।ভালো থাকবেন সবাই,ধন্যবাদ।