মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে একে ওপরের সাথে মিলেমিশে বাস করার নামই সমাজ। জীবনে চলার ক্ষেত্রে মানুষকে নানাবিদ বাধা ,বিপত্তি ,বিপদ -আপদ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় বা পরে যায়। মানুষ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আঘাতে জর্জরিত হয়ে দিশাহারা হয়ে যায় এবং একে অপরের সাহায্য সহযোগিতা পেতে চায়। যখন মানুষ দিশাহারা হয়ে যায় তখন ভালো মন্দ চিন্তা -চেতনা তার মধ্যে কাজ করেনা।👶 একটা সমাজে ভালো -মন্দ সবশ্রেণীর লোকই বসবাস করে। ভালো মনের মানুষগুলো মানুষের কোনো ক্ষতি করার চিন্তা মাথায় কখনো ও রাখেন। পারলে উপকার করে না পারলে কোনো ক্ষতি করার চিন্তা করে না।
✔✌ কিন্তু কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ বিপদ কালীন সময়ে মানুষের সরলতা কাজে লাগিয়ে তাকে সর্বনাশ করে দেয়। এসমস্ত মানুষ হতে পারে উচ্চ বিত্তের একজন নামকরা লোক। বাস্তবে না পড়লে তাকে চেনা জন্য না। মানুষের যত বিপদই আসুক ভালো মন্দ বিচার বিশ্লেষণ না করে কারো কাছে সাহায্য সহযোগিতার জন্য যাওয়া উচিত নয়। মানুষের ভিতর এক আর বাহিরটা অন্য রকম। বিপদে পড়লে উপরওয়ালার কাছেই সাহায্য চাও ,তিনিই পারেন বিপদ থেকে মুক্তি দিতে অন্য কেউ নয়। তাই সর্বশেষে বলবো দুষ্ট লোকের মিষ্টি কোথায় বিশ্বাস করে জীবনের সর্বনাশ ডেকে আনা উচিত নয়।মানুষকে চেনা খুব কস্টকর। মানুষ বহুরূপ ধারণ করে। বিপদে পড়লে সহজে মানুষ চেনা যায়। যে কে আপন কে পর। যে মানুষকে বিপদে পড়লে সহজেই কাছে পাওয়া যায় সেই সত্যিকারের মানুষ। বিপদ আল্লাহ তায়ালা কতৃক নেয়ামতই বলা যায়। মানুষের ভুল-ত্রূটি শোধরানোর জন্য আল্লাহপাক মাঝে মাঝে বিপদ আপদ দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকেন।যে কে আমার খাঁটি মোমিন বান্দা। বিপদে কার কত ধৈর্য আছে তা আল্লাহ তায়ালা পরীক্ষা করেন। যে প্রকৃত মোমিন বান্দা সে কখনও ধৈর্য্য হারা হয়না ,সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা রাখে।
কিন্তু এখন এই বর্তমানে করোনা ভাইরাস এর কারণে অনেক আপন আপন জনও পর হয়ে যাচ্ছে। করোও সামান্য সর্দি ,কাশি ও জ্বর হলে তার সাথে কথা বলাই বন্ধ করে দেয়। অথচ সেই লোকটির আসলে কিছুই হয় নি। পাশের মানুষই তখন তাকে বিপদে ফেলতে একফোঁটা দ্বিধাবোধ করে না। বাস্তব হচ্ছে এটাই।
হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় আরও করুন অবস্থা। নানাভাবে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় রুগীকে।