আগের দিন আলোচনা করেছিলাম ছাত্র অবস্থায় কি কি সুবিধা পাবেন সুইডেন এ | আজকে আলোচনা করবো ওয়ার্কপারমিট পেলে কি কি সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে | কথা গুলো ফরহাদ ভাইয়ার থেকে শুনা | আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যারা সুইডেন যাওয়ার কথা ভাবছেন সেটেল হওয়ার জন্য
ওয়ার্কপারমিট পেলে সুইডেন এ কি কি সুবিধা পাবেন দেখে নিন :
১. দৈনিক সর্বোচ্চ গড়ে ৮ ঘন্টা চাকরি করবেন ও সপ্তাহে ২ দিন ছুটি পাবেন।
২. প্রতি বছরে ১ মাস পেইড ছুটি পাবেন।
৩. বাচ্চা হলে সর্বোচ্চ ৪৮০ দিন পর্যন্ত ৮০% পেইড ছুটি পাবেন।
৪. বাচ্চা বা আপনি অসুস্থ হলে ডাক্তারি সার্টিফিকেটে দেখিয়ে আনলিমিটেড পেইড ছুটি পাবেন। ডাক্তারি সার্টিফিকেট না দেখালে সর্বোচ্চ ৭ দিন পর্যন্ত ৮০% পেইড ছুটি পাবেন।
৫. চাকরি দাতা বেতন দিতে বা ছুটি দিতে বাধ্য ,,,তা না হলে আপনি লেবার ইউনিয়ন সহ নানা জায়গাতে অভিযোগ করে তাদের ১২ টা বাজায়ে দিতে পারবেন।
৬. সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত ,,তাই এর কম কেউ বেতন দিতে পারবে না। এক এক চাকরিতে বেতন এক এক রকম।
৭. চাকরি যে কোনো সময় পরিবর্তন করতে পারবেন ,,,তবে শর্ত হলো ,,ওয়ার্কপারমিট হিসাব আবার নতুন করে শুরু হবে।
৮. আপনার বেতন বিবেচনা সাপেক্ষে ,,,ব্যাংক থেকে প্রচুর ঋণ বা ক্রেডিট কার্ড নিতে পারবেন। বাসা কিনতে পারবেন।
৯. চাকরি থেকে কোনো ট্রেনিং বা সেমিনারে গেলে চাকরি দাতা সকল খরচ দিতে বাধ্য। সরকারি চাকরি বা একটু ভালো কোম্পানি হলেই প্লেনে ফার্স্ট ক্লাসের টিকিট দেয় |
১০. কাগজে কলমে ৪ বছর বাস্তবে ৫ থেকে ৭ বছর সফলভাবে চাকরি করার পর পেতে পারেন স্বপ্নের পি আর বা স্থায়ীভাবে সুইডেনে বসবাসের সুযোগ।