১. ১৮ বছরের থেকে কম এবং ৬০ বছরের থেকে বেশি বয়স হলে কোন ব্যক্তি রক্ত দান করবেন না।
২. কুকুরের কামড়ের ইনজেকশন যারা নিয়েছেন, তারা ইনজেকশন-এর কোর্স শেষ হওয়ার পর এক বছর রক্ত দান করবেন না।
৩. বড় অপারেশন যাদের হয়েছে তারা ১ বছর পর্যন্ত রক্তদান করবেন না। ছোট অপারেশন হলে ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান অনুচিত।
৪. কোনো কারণে যদি কেউ রক্ত গ্রহণ করে থাকে, তবে তিনিও ১ বছর পর্যন্ত রক্তদান করতে পারবেন না। ১ বছর অবজারভেশনের পর সুস্থ থাকলে রক্তদান করা যেতে পারে।
৫.জন্ডিস ম্যালেরিয়া বা টাইফয়েড রোগ হলে সুস্থ হওয়ার পর আরও ৬ মাস রক্তদান করবেন না।
৬. যারা শরীর সুচালো/ধারালো কিছু দিয়ে উল্কি/ট্যাটু করিয়েছেন তারাও ৬ মাস রক্ত দানে অক্ষম। ৬ মাস অবজারভেশনের পর সুস্থ থাকলে রক্তদান করা যেতে পারে।
৭. গত ৬ মাসের মধ্যে যে মহিলার গর্ভপাত হয়েছে বা যিনি বর্তমানে সন্তান-সম্ভাবা তিনিও রক্তদান করতে পারবেন না।
৮. যে মহিলার সন্তান এখনো মাতৃদুগ্ধ পান করে, তিনি রক্তদান করবেন না।
৯. যে মহিলা বর্তমানে ঋতুচক্রের মধ্যে আছেন (মাসের নির্দিষ্ট ৩-৭ দিন) তিনি রক্তদান করবেন না।
১০. যার কোন জীবাণু ঘটিত চর্মরোগ ও যৌনরোগ আছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরও ৬ মাস পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।
১১. যে ব্যক্তি বর্তমানে কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাচ্ছেন, তিনি কোর্স শেষ না হওয়া পর্যন্ত রক্তদান করবেন না।
১২.যিনি গত ১২ ঘণ্টার মধ্যে নেশা/সুরাপান করেছেন তিনি রক্তদান করবেন না। কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সুরাপানে বা নেশা সেবনে অভ্যস্ত হন, তাহলে তার কাছ থেকে রক্ত গহন না করাই উচিৎ।
১৩.যে ব্যক্তি একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে অভ্যস্ত, তার কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ অনুচিত।
১৪. পতিতা পল্লীর লোকজন, জেলের কয়েদী বা দূরগামী ট্রাকের ড্রাইভারদের কাছ থেকে কখনও রক্ত সংগ্রহ করতে নেই বা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
১৫. মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্থ ব্যক্তি বা মানসিক রোগীদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহন করা উচিত নয়।
১৬. একবার রক্তদান করে ১২০ দিনের (কমপক্ষে ৯০ দিন) মধ্যে আবার রক্তদান করা অনুচিত।