খোলা আকাশের নিচে ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য সাধারণত শহরের বাইরে বা শহরতলীতে যে বড় ময়দান ব্যবহৃত হয় তাই ঈদগাহ নামে পরিচিত। বর্তমানে দেশেশর বৃহত্তম ও আলোচিত দুই ঈদগাহ হলো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ও দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ।
১৮২৮ সালে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার সাহেব বাড়ির পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহম্মদ তার নিজ জমিতে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাত আয়োজন করেন। তখন থেকে এর নাম হয় সোয়ালখিয়া, যা উচ্চারণ বিবর্তনে আজ শোলাকিয়া নামে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯৫০ সালে জমিদার দেওয়ান মান্নান দাঁদ খান শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন। বর্তমানে এর আয়তন প্রায় সাত একর। ২০১৭ সালের পূর্ব পর্যন্ত এটিই ছিল বৃহত্তম ঈদগাহ।
২০১৭ সালের ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানের। প্রথম বছরেই এতে মুসল্লির সংখ্যা হয় প্রায় ২ লাখ। পরের পর এ সংখ্যা হয় ৫ লাখ। এ ঈদগাহে একসাথে প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
মোগল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি ২২ একরের দৃষ্টিনন্দন এ ঈদগাহের মিনারে রয়েছে ৫২ টি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজের সামনে ৪৭ ফুট উঁচু মেহরাব রয়েছে। যেখানে ইমাম দাঁড়ান।
অতএব, বর্তমানে দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানটিই হচ্ছে দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান।
তথ্যসূত্র: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স।