নিম প্রকৃতির দেওয়া এক অনন্য আর্শীবাদ।
যার মাধ্যমে মানব শরীরের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা সমাধান হয়। কারন এই নিমে রয়েছে বিভিন্ন প্রকৃতিক গুন কিন্তু এটি খুবই সাধারণ একটি উপাদান। যা সব সময় থাকে আমাদের হাতে নাগালে। এই নিম অনেক প্রচীন কাল থেকেই আমাদের উপমহাদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যাবহার করা হয়েছে।
এই নিমের মধ্যে এমন কিছু গুনাগুন আছে।
এর ম্যাধমে মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পায়, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায়, বিভিন্ন রোগের উপসম ঘটাতে সাহায় করে, চর্ম রোগ কমায়। নিম বা নিম পাতা প্রকৃতির দেওয়া একটা অনন্য উপহার।
১) বিভিন্ন রোগে উপসমঃ নিমের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক গুনাবলি। এই নিম জীবানু ধংসের কাজে অতি উপকারী। তাই নিম বা নিম পাতার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভাব। এর জন্য প্রতিদিন সকালে কিছু পরিমান নিম পাতা নিতে কাচা খেতে হবে যদিও এটা খেতে তিতা কিন্তু এর উপকার অনেক বেশি।
২) রোগ প্রতিরোগ ক্ষমা বৃদ্ধি করেঃ নিতে বা নিম পাতার মধ্যে র রয়েছে এমন সব উপাদান যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক। এর জন্য নিম পাতার রস খাওয়া যেতে পারে প্রতিন। এর মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি পায়।
৩) সৌন্দর্য বৃদ্ধির করেঃ নিম যে কোন মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি তে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।নিম তকের বিভিন্ন সমস্য তকের গোড়া থেকে সমাধান করে। নিমের সাহায্য রুপ চর্চা আমাদের দেশের মেয়েয়া অনেক প্রাচীনকাল থেকেই করে আসছে। নিমের মধ্যে যেহেতু জীবানু ধংশ করাএ শক্তি থাকে তাই নিম যে কোন প্রকার সংক্রমণ থেকে তককে সহজের রক্ষা করতে পারে।
বর্তমানে আমার বিভিন্ন প্রাকার দামী নামী ক্রিম এবং প্রসাধনী তে ত নিম বা নিম পাতার ব্যবহার লক্ষ করি।
মুখের ব্রনের সমস্যায় নিম খুবই উপকারী একটা উপাদান। যার নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে তকের ব্রন দূর হয়৷ এর জন্য নিম পাতার পেষ্ট বানিয়ে সেটা ভালো করে তকের যে যে অংশে ব্রন আছে সেখানে ভালো করে লাগিয়ে রাখতে হবে ১ ঘন্টা তার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কিছু দিনের মধ্যেই ব্রন দূর হবে।
এছাড়াও নিম পাতা তক গভীর থেকে পরিষ্কার করে আনে যার ফলে তকে হয়ে উঠে উজ্জল। তকের ময়লা গভীর থেকে পরিষ্কার হওয়ায় তকের অন্য সব সমস্যা ও অনেক টা ভালো হতে পারে।
তকের উজ্জ্বল বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহে দুবার নিপ পাতার সাথে হলুদ এবং লেবুর রস মিসিয়ে লাগালে তকের উজ্জ্বলতা দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায়।
৪)চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিঃ
নিম পাতা চুল ভালো করতে ও সাহায্য করে। নিম পাতা রয়েছে বিভিন্ন উপকারী গুনাগুন যা জীবনু এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
চুলের সুস্থ থাকা অনেক অংশে নিরভর করে মাথার তকে সুস্থ থাকার উপর।
অনেক সময় দেখা যায় মাথার তকে বিভিন্ন সংক্রমণ যেমনঃ ব্রন, চুলানি ইত্যাদি বের হয় এর ফলে ও অনেক সময় চুল ঝরে যেতে পারে।
নিম পাতা এসব থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। মাথার তক পপরিষ্কার করে এবং ব্রন চুলকারি কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে মাথা তক সুস্থ থাকে এবং চুল ভালো থাকে।
এর জন্য নিম তেল সপ্তাহে দুদিন মাথায় লাগিয়ে ১/২ ঘন্টা অপেক্ষা করে ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে উপকার পাওয়া যাবে।
৫)চর্ম রোগ প্রতিরোধঃ নিম পাতা চর্ম রোগ প্রতিরোধে খুবই সহায়ক।
নিম পাতা বিভিন্ন ক্ষেত্রে চর্ম রোগের উপর ভিষণ কর্যকার্যকরী। আল্যার্জির জন্য নিম পাতা খুবই উপকারী । এর জন্য নিম পাতার পেষ্ট লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এর মাধ্যমে চর্ম রোগের অনেক টাই উপসম হবে।
এই ছিল আজ নিম পাতার গুন নিয়ে আমার কিছু সংক্ষিপ্ত কথা। আশা করি সবার এগুলো ভালো লাগবে।