নবম-দশম শ্রেণীর পড়লেখা : রসায়ন।
এসএসসি 2021 সালের শিক্ষার্থীসহ নবম-দশম শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের উপযোগী এমসিকিউ এর জন্য শর্ট প্রশ্ন ও উত্তর।
বিষয় : রসায়ন।
তৃতীয় অধ্যায়, পদার্থের গঠন থেকে,
প্রশ্ন : পৃথিবীর সকল পদার্থ কি দিয়ে তৈরি?
উত্তর : অতি ক্ষুদ্র ক্ষণিকা।
প্রশ্ন : পরমাণু কিসের নাম?
উত্তর : মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম ক্ষণিকার নাম।
প্রশ্ন : যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম ক্ষণিকার নাম কি?
উত্তর : অণু।
প্রশ্ন : পরমাণুর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর : এদের নিজ নিজ পারমাণবিক সংখ্যা রয়েছে।
প্রশ্ন : পরমাণু ও অণু উভয়ের কি রয়েছে?
উত্তর : আপেক্ষিক এবং প্রকৃত ভর।
প্রশ্ন : পরমাণুর প্রধান কণিকা কোনগুলো?
উত্তর : প্রোটন, ইলেকট্রন এবং নিউট্রন।
প্রশ্ন : পরমাণুর কেন্দ্রে কি থাকে?
উত্তর : নিউক্লিয়াস।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়াস কি দিয়ে গঠিত?
উত্তর : প্রোটন ও নিউট্রন।
প্রশ্ন : পরমাণুর ভর কে বহন করে?
উত্তর : নিউক্লিয়াসই পরমাণুর প্রায় সকল ভর বহন করে।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়াসের চারদিকে কি রয়েছে?
উত্তর : কক্ষপথ।
প্রশ্ন : কক্ষপথে কি ঘুরে বেড়ায়?
উত্তর : ইলেক্ট্রন।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়াসের চারদিকে বিভিন্ন কক্ষপথে কি ঘুরে বেড়ায়?
উত্তর : প্রোটনের সমান সংখ্যক ইলেকট্রন।
প্রশ্ন : আইসোটোপ কি?
উত্তর : একই মৌলের একাধিক ভরসংখ্যা বিশিষ্ট পরমাণু।
প্রশ্ন : রসায়নে প্রতিটি মৌলের পরমাণুকে কিসের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর : একটি প্রতীক ( Symbol ) এর সাহায্যে।
প্রশ্ন : মৌলের প্রতীককে কিভাবে প্রকাশ করা হয়?
উত্তর : ইংরেজি বর্ণমালার একটি বর্ণ বা দুটি বর্ণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয।
প্রশ্ন : দুটি বর্ণ দ্বারা প্রতীক লিখলে কিভাবে লিখতে হয়?
উত্তর : মৌলের ইংরেজি নামের প্রথম বর্ণ এবং উচ্চারণের সময় পরবর্তী যে বর্ণটি বেশি উচ্চারিত হয় তাকে পাশাপাশি লিখে প্রতীক লেখা হয়।
প্রশ্ন : কয়েকটি প্রথম বর্ণের প্রতীকের পরমাণুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : H, B, C, N, O, F, P, S, K, V, I, U.
প্রশ্ন : কয়েকটি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণের প্রতীকের পরমাণুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : Al, Co, Br, Ni, He, Li, Be, Ne, Si, Ar ইত্যাদি।
প্রশ্ন : প্রথম ও তৃতীয় বর্ণের কিছু প্রতীকের পরমাণুর উদাহরণ দাও।
উত্তর : Zn, Mn, Mg ইত্যাদি।
প্রশ্ন : Natrium কোন পরমাণুর ল্যাটিন নাম?
উত্তর : Sodium এর।
প্রশ্ন : Copper এর ল্যাটিন নাম কি?
উত্তর : Cuprum.
প্রশ্ন : Potassium এর ল্যাটিন নাম কি?
উত্তর : Kalium.
প্রশ্ন : Plumbum কোন পরমাণুর ল্যাটিন নাম?
উত্তর : Lead ( লেড ) এর।
প্রশ্ন : পদার্থে কোন কোন কণিকা বিদ্যমান থাকে?
উত্তর : প্রোটন, ইলেকট্রন ও নিউট্রনসহ বিভিন্ন কণিকা থাকে।
প্রশ্ন : পরমাণুর স্থায়ী কণিকা কয়টি?
উত্তর : তিনটি।
প্রশ্ন : স্থায়ী কণিকাগুলোর নাম বল ।
উত্তর : ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।
প্রশ্ন : স্বাভাবিক অবস্থায় পরমাণুর কোন কণিকাগুলোর সংখ্যা সমান থাকে?
উত্তর : প্রোটন ও ইলেকট্রন সংখ্যা।
প্রশ্ন : কোন দুটির আপেক্ষিক ভর সমান?
উত্তর : প্রোটন ও নিউট্রনের।
প্রশ্ন : ইলেকট্রনের আপেক্ষিক ভর কেমন?
উত্তর : 1টি প্রোটন বা 1টি নিউট্রনের 1/1840 ভাগের সমান অর্থাৎ এত কম যে নাই বললেও চলে।
প্রশ্ন : প্রতিটি কণিকার কি রয়েছে?
উত্তর : প্রকৃত ভর।
প্রশ্ন : প্রোটনের প্রতীক কি?
উত্তর : ইংরেজি ছোট হাতের p ( পি)।
প্রশ্ন : নিউট্রনের প্রতীক কি?
উত্তর : ইংরেজি ছোট হাতের n ( এন )।
প্রশ্ন : ইলেকট্রনের প্রতীক কি?
উত্তর : ইংরেজি ছোট হাতের e ( ই )।
প্রশ্ন : প্রোটনের প্রকৃত ভর কত?
উত্তর : 1.67×10^-24 গ্রাম।
প্রশ্ন : প্রোটনের প্রকৃত আধান কত?
উত্তর : 1.60×10^-19 কুলম্ব।
প্রশ্ন : কোনটির আধান ধনাত্মক?
উত্তর : প্রোটনের।
প্রশ্ন : কোনটির আধান নেই?
উত্তর : নিউট্রনের।
প্রশ্ন : নিউট্রনের প্রকৃত ভর কত?
উত্তর : 1.675×10^-24 গ্রাম।
প্রশ্ন : ইলেকট্রনের আধান কেমন?
উত্তর : ঋণাত্মক।
প্রশ্ন : ইলেকট্রনের প্রকৃত ভর কত?
উত্তর : 9.11×10^-28 গ্রাম।
প্রশ্ন : ইলেকট্রনের প্রকৃত আধান কত?
উত্তর : -1.60×10^-19 কুলম্ব।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়ন সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর : নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার সমষ্টিকে নিউক্লিয়ন সংখ্যা বলে।
প্রশ্ন : ভরসংখ্যার অপর নাম কি?
উত্তর : নিউক্লিয়ন সংখ্যা।
প্রশ্ন : পরমাণুর প্রোটন সংখ্যাকে কি বলা হয়?
উত্তর : পারমাণবিক সংখ্যা।
প্রশ্ন : একটি পরমাণুর নিজস্ব সত্তা বা পরিচয় কোনটি?
উত্তর : পারমাণবিক সংখ্যা।
প্রশ্ন : প্রোটন সংখ্যা বা পারমাণবিক সংখ্যাকে কি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়?
উত্তর : Z দ্বারা।
প্রশ্ন : ভরসংখ্যাকে কি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়?
উত্তর : A দিয়ে।
প্রশ্ন : Al এর প্রোটন সংখ্যা 13 এবং নিউক্লিয়ন সংখ্যা 27 হলে, নিউট্রন সংখ্যা কত?
উত্তর : 27(A) – 13 (Z) = 14
প্রশ্ন : হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপের নাম বল।
উত্তর : হাইড্রোজেন বা প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।
প্রশ্ন : হাইড্রোজেনের কয়টি আইসোটোপ আছে?
উত্তর : সাতটি।
প্রশ্ন : হাইড্রোজেনের কয়টি আইসোটোপ প্রকৃতিতে পাওয়া যায়?
উত্তর : তিনটি।
প্রশ্ন : হাইড্রোজেনের কয়টি আইসোটোপ গবেষণাগারে সংশ্লেষণ করা হয়?
উত্তর : প্রকৃতিতে প্রাপ্ত তিনটি বাদে বাকি চারটি।
প্রশ্ন : আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তর : বিভিন্ন ভরসংখ্যাবিশিষ্ট একই মৌলের পরমাণুকে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।
প্রশ্ন : হাইড্রোজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কী?
উত্তর : হাইড্রোজেনের তিন ধরণের আইসোটোপের শতকরা পর্যাপ্ততার পরিমাণকে গড় করলে এর ভর পাওয়া যায় 1.008 একে আমরা বলতে পারি আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর।
প্রশ্ন : ক্লোরিনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত?
উত্তর : 35.5
প্রশ্ন : কোনো মৌলের একাধিক আইসোটোপ প্রকৃতিতে থাকলে, তাদের নিজ নিজ শতকরা পরিমাণ ও ভরের গুণফলের সমষ্টিকে কত দ্বারা ভাগ করলে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর পাওয়া যায়?
উত্তর : 100 দ্বারা।
প্রশ্ন : কোনো মৌলের একটি পরমাণুর ভর হাইড্রোজেনের একটি পরমাণুর ভরের তুলনায় যতগুণ ভারি, তাকে ঐ মৌলের কি বলে?
উত্তর : আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর।
প্রশ্ন : অক্সিজেনের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কত?
উত্তর : 16
প্রশ্ন : আধুনিক সংজ্ঞানুসারে মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নির্ণয়ের সূত্র লিখ।
উত্তর :
আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর =
( মৌলের একটি পরমাণুর ভর )/( একটি কার্বন 12 আইসোটোপের ভরের 1/12 অংশ )
প্রশ্ন : পর্যায় সারণিতে পরমাণুসমূহের যে ভর দেয়া হয়েছে তার সবগুলো কিরকম ভর?
উত্তর : আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর।
প্রশ্ন : কার্বন 12 আইসোটোপের ভরের 1/12 অংশের ভর কত?
উত্তর : 1.66×10^-24 গ্রাম।
প্রশ্ন : একটি অক্সিজেন অণুর আপেক্ষিক আণবিক ভর কত?
উত্তর : 32
প্রশ্ন : প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপায়ে তৈরি আইসোটোপের সংখ্যা কত?
উত্তর : 1300’র উপরে।
প্রশ্ন : অস্থিত আইসোটোপগুলো কি বিকিরণ করে?
উত্তর : বিভিন্ন ধরণের রশ্মি যেমন- আলফা, বিটা, গামা রশ্মি বিকিরণ করে।
প্রশ্ন : অস্থিত আইসোটোপগুলো বিভিন্ন ধরণের রশ্মি বিকিরণ করে কিসে পরিণত হয়?
উত্তর : একই মৌলের অন্য আইসোটোপ অথবা অন্য মৌলের আইসোটোপে পরিণত হয়।
প্রশ্ন : অস্থিত আইসোটোপগুলো বিভিন্ন রশ্মি বিকিরণ করে একই মৌলের অন্য আইসোটোপ অথবা অন্য মৌলের আইসোটোপে পরিণত হয়। মৌলের পরমাণুর এই ধর্মকে কি বলে?
উত্তর : তেজস্ক্রিয়তা।
প্রশ্ন : নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটলে সে প্রক্রিয়াকে কি বলে?
উত্তর : নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া।
প্রশ্ন : কোন রশ্মিসমূহ অধিক গতিসম্পন্ন?
উত্তর : পরমাণু থেকে নির্গত রশ্মিসমূহ।
প্রশ্ন : কোন রশ্মি জীবন্ত কোষের ক্ষতিসাধন করে?
উত্তর : গামা রশ্মি।
প্রশ্ন : তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তর : নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ার মাধ্যমে।
প্রশ্ন : চিকিৎসাক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের কয় ধরণের ব্যবহার রয়েছে?
উত্তর : দু’ধরণের।
প্রশ্ন : চিকিৎসাক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : কোনো রোগ বা রোগাক্রান্ত স্থান নির্ণয় এবং রোগ নিরাময়ে।
প্রশ্ন : দেহের হাড় বেড়ে যাওয়া এবং কোথায় কেন ব্যথা হচ্ছে তা নির্ণয়ের জন্য কোন আইসোটোপ ব্যবহার হয়?
উত্তর : Tc-99m (Isotope of Technetium).
প্রশ্ন : কোন ইঞ্জেকশন দিলে বেশ কিছু সময় পরে পর্দায় দেখা যায় হাড়ের কোথায় কি ধরণের সমস্যা আছে?
উত্তর : Isotope of Technetium বা সংক্ষেপে Tc-99m.
প্রশ্ন : Tc-99m থেকে কোন রশ্মি নির্গত হয়?
উত্তর : গামা রশ্মি।
প্রশ্ন : ভরসংখ্যার পরে m দ্বারা আইসোটোপের কোন অবস্থা প্রকাশ করে?
উত্তর : Metastable ( মেটাস্ট্যাবল )।
প্রশ্ন : হাড়ের ব্যথার চিকিৎসায় কোন আইসোটোপ ব্যবহার হয়?
উত্তর : 153Sm অথবা 89Sr.
প্রশ্ন : 99m-Tc থেকে গামা রশ্মি নির্গত হওয়ার পর কোন ভরবিশিষ্ট আইসোটোপ উৎপন্ন হয়?
উত্তর :99Tc ভরবিশিষ্ট আইসোটোপ।
প্রশ্ন : টিউমারের উপস্থিতি নির্ণয় ও তা নিরাময়ে কি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ।
প্রশ্ন : টিউমার নিরাময়ের জন্য কোনটি ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : 60Co
প্রশ্ন : ক্যান্সার কোষকলাকে কিভাবে ধ্বংস করা হয়?
উত্তর : 60Co থেকে নির্গত গামা রশ্মি নিক্ষেপ করে।
প্রশ্ন : কোনটি থাইরয়েড গ্রন্থির কোষ-কলা বৃদ্ধি প্রতিহত করে?
উত্তর : 131 I (131 Iodine).
প্রশ্ন : রক্তের লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায় কি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর :32P এর ফসফেট।
প্রশ্ন : 238Pu চিকিৎসাক্ষেত্রের কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর : হার্টে পেইসমেকার বসাতে।
প্রশ্ন : তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার ক্ষেত্রের নাম লিখ ।
উত্তর : চিকিৎসাক্ষেত্র, কৃষিক্ষেত্র, খাদ্য সংরক্ষণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ইত্যাদি।
প্রশ্ন : বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার নিরাময়ে ব্যবহার হয় এমন কয়েকটি আইসোটোপের নাম লিখ।
উত্তর : 131Cs, 192Ir, 125I, 103pd, 106Ru