আসসালামু আলাইকুম,,
বরাবরের মতো আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে একটি নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে আমি আমার এই পোষ্টে আপনাদেরকে নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টে এর প্রশ্ন ও আপনাদের সুবিধার্থে একটি নমুনা উত্তর লিখে দিব।
তো আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক –
প্রথমেই একনজরে প্রশ্নটিই দেখে নেওয়া যাক-
এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-
বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল দশটার সময় জাপান, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় করো। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতু গত পার্থক্য কারণ লিখ।
উত্তর –
পৃথিবীর সময় ও স্থান নির্ণয়ের জন্য দ্রাঘিমা রেখার প্রয়োজন হয়। পুরো পৃথিবীর ৩৬০’ এর অন্তর্ভুক্ত। এই ৩৬০’ কে কেন্দ্র করে গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০’ ধরে ১৯৮০ সালে সমগ্র পৃথিবীর জন্য একটি আন্তর্জাতিক সময় নির্ধারণ করা হয়। এই ৩৬০’ থেকে কোন দেশের দ্রাঘিমা জেনে সে দেশের সময় নির্ধারণ করা যায়। তেমনি ভাবে কোন দেশের জি.এম.টি সময় জেনে দ্রাঘিমার সাহায্যে সে দেশ কোথায় অবস্থিত তা জানা যায়। তাই বলা যায় সময়ের পার্থক্য এর ক্ষেত্রে বা সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্রাগিমা রেখার গুরুত্ব অপরিসীম।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও কানাডার স্থানীয় সময় নির্ধারণ-
কোন দেশের সময়ের পার্থক্য জন্য দ্রাঘিমারেখা অথবা আন্তর্জাতিক প্রমাণ সময় প্রয়োজন হয়। আর পৃথিবীতে একটি স্বীকৃত প্রমাণ সময় হল জি.এম.টি অর্থাৎ গ্রিনিচ মান মন্দির কে ০’ধরে সময় নির্ধারণ করা হয়। নিচে উল্লিখিত দেশগুলোর দ্রাঘিমা রেখার সাহায্যে তাদের সময় বের করা হলো।
আমরা জানি,
বাংলাদেশ ৯০’ দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
যুক্তরাষ্ট্রে ৬০’ দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
কানাডার ৬০’ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
জাপান ১৩৫’ ডিগ্রি দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত
সুতারাং, উল্লিখিত ডিগ্রী দ্রাঘিমা থেকে জিএমটি সময় বের করলে আমরা জানতে পারব বাংলাদেশ যখন দশটা বাজে তখন অন্য দেশগুলোর সময় কত।
যুক্তরাষ্ট্র =৬০’
আমরা জানি,
১’=৪ মিনিট
সুতরাং, ৬০’=৬০৪
বা, ২৪০ মিনিট
জাপান=১৩৫’
১৩৫✖৪=৫৪০ মিনিট
আবার,৫৪০÷৬০✖৯
অর্থাৎ জাপান জি.এম.টি অনুযায়ী ৯ ঘন্টা এগিয়ে।
যেহুতু, বাংলাদেশ জি.এম.টি থেকে ৬ ঘণ্টা এগিয়ে অর্থাৎ জাপান বাংলাদেশ থেকে তিন ঘণ্টা এগিয়ে, তাই বাংলাদেশে যখন জুলাই মাসে সকাল দশটা তখন জাপানের সময় দুপুর ২ টা।
আবার,
২৪০÷৬০✖৪ ঘন্টা
সুতরাং, যুক্তরাষ্ট্র জি.এম.টি-৪ ঘন্টা পিছিয়ে (যেহুতু-৬০ ছিল,তাই-মাইনাস হবে)
বাংলাদেশ=৬০’
৬০✖৪=৩৬০’
আবার,
৩৬০÷৬০=৯
অর্থাৎ বাংলাদেশ জি.এম.টি. ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
সুতরাং,জি.এম.টি ঘড়ি অনুযায়ী বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩ ঘণ্টা আগে।
তাই এটা প্রমাণিত যে, বাংলাদেশে জুলাই মাসে যখন সকাল দশটা বাজে তখন যুক্তরাষ্ট্রের রাত বারোটা বাজে।
কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্রাগিমা রেখা সমান হওয়ায় কানাডায়ও রাত বারোটা বাজে।
ঋতু পার্থক্যের কারণ-
দিন-রাতের পার্থক্য যেমন আহিক গতির কারণে হয়ে থাকে। তেমনই ঋতুর পার্থক্য এর কারণ হলো বার্ষিক গতি। পৃথিবীর নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারপাশে একবার পরীক্ষণ করার নামই বার্ষিক গতি।
বিভিন্ন দেশের ঋতুর পার্থক্য হওয়ার কারণ তুলে ধরা হলো-
দিবাভাগের পরিমাণ রাতের পরিমাণ হতে দীর্ঘ হলে, সেই স্থানে অধিকতর উষ্ম থাকে। যার ফলে ভূপৃষ্ঠে সর্বত্র তাপ এর তারতম্য হয় ও পরিবর্তন ঘটে। সূর্যকে পরিক্রমণ কালে পৃথিবী সবসময় ৬৬.৫’ ডিগ্রি কোণে থাকে যার কারণে বিভিন্ন স্থানে সূর্য রশ্মির পতনের তারতম্য ঘটে এবং ঋতু পরিবর্তন হয়। সূর্য ও পৃথিবীর দূরত্ব অনুসারে সূর্যের তাপে তারতম্য ও ঋতু পরিবর্তনের ঘটে। এই সকল কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ঝতুর মধ্যে পার্থক্য দেখা যায়।
স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কারণ –
পৃথিবীটা গোল আকার হওয়ার কারণে সূর্যের আলো পৃথিবীর চারপাশে সমানভাবে পড়ে না। যার ফলে পৃথিবীর কোন জায়গায় সকাল হয়, আবার কোন জায়গায় রাত আবার কোথাও ভোর হলে অন্য পাশে তার সন্ধ্যা হয়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ গুলোতে এক দেশে পাঁচটা হলে অন্য দেশের সন্ধ্যা ছয়টা আবার এক দেশে সকাল আটটা হলে আরেক দেশে সন্ধ্যা নেমে আসছে। আর পৃথিবীর এই রাতদিন হওয়ার কারণ হল আহ্নিক গতি। যদি পৃথিবীর আহ্নিক গতি না থাকতো তাহলে দেখা যেত পৃথিবী এক পাশে সবসময় দিন আরেক পাশে থাকতো রাত। তাই বলা যায় আহ্নিক গতির কারণে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয় পৃথিবীতে বহু দেশ রয়েছে এই দেশগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে রয়েছে এবং এদের সময়ও এর ভিন্নতা রয়েছে পাশাপাশি সকল দেশের ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে কোথায় বা বর্ষাকাল আবার কোথাও বা একদমই বৃষ্টি হয় না আবার নাতিশীতোষ্ণ হয় আবার কোথায় বরফ শীতল হয়ে থাকে।
সকল ধরণের এ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন পেতে grathor.com এর সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।