আমাদের মধ্যে বয়সে ছোট কিংবা বড় এমন অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত অবহেলার ফলে নিঃশ্বাসের মারাত্মক দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা তৈরি হয়। এদের মধ্যে বিশেষ করে ধূমপান, দাঁতের মাড়ির ইনফেকশন, দাঁতের গোঁড়া থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সাধারনত এসব সমস্যার কারণে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে পারে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আবার মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার রাখার পরও এই সমস্যা বাসা বাঁধে। তখন আমরা নানা মহলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যাই। তাই যে কোন পরিবেশে এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে এমন কিছু কাজ করা উচিত যাতে আমাদেট নিঃশ্বাসে সতেজতা বজায় থাকে।
তাই আর দেরি না করেই এখনি জেনে নিন নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখার কিছু সহজ ও সাধারণ উপায়ঃ
প্রচুর পানি পানঃ
সাধারনত মুখের ভেতরের লালা বার বার শুকিয়ে গেলে মুখে নতুন স্যালিভার উৎপাদন কমে যায়। কমে গেলে তখন আমাদের মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। এর কারণেই মূলত মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই মুখের ভেতরের ভেজা ভাব বজায় রাখার জনঢ় উচিত প্রচুর পানি পান করা। এতে বেশি সময় ধরে নিঃশ্বাসে সতেজতা ধরে রাখা যায়।
নিয়মিত জিহ্বা পরিষ্কারঃ
দাঁত পরিষ্কার করার পাশাপাশি জিহ্বা পরিষ্কার রাখাটাও জরুরি। প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ও রাতে নিয়ম করে দুবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে। এসময় জিহ্বাটাও পরিষ্কার করতে হবে। এভাবে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
চুইনগামঃ
খাওয়ার সময় ও পরে অনেক্ক্ষণ মুখের ভেতরের স্যালিভারের পরিমান বেশি থাকে। স্যালিভারের পরিমান বেশি থাকলে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কিন্তু এটা সবাই জানি, সর্বক্ষণ খাবার খাওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায় হলো চুইনগাম চিবানো। তবে অবশ্যই সেটা হতে হবে চিনিমুক্ত চুইংগাম। নতুবা দাঁতে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত চা/কফি পান করা এড়িয়ে চলাঃ
চা/কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের দেহের পানির পরিমান কমিয়ে দেয়। যার ফলে স্যালিভার উৎপাদন কমে যায়। আর ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই, মুখের সতেজ নিঃশ্বাস ধরে রাখতে অতিরিক্ত চা/কফিও এড়িয়ে চলাই ভালো।
ধুমপানকে না বলুনঃ
সিগারেটে থাকা মাত্রাতিরিক্ত নিকোটিন মুখের স্যালিভার উৎপাদন কমিয়ে ফেলে। স্যালিভার উৎপাদনের ক্ষমতাও নষ্ট করে। এতে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। আর তখনই নিঃশ্বাসের সাথে শুরু দুর্গন্ধ। মুখ পরিষ্কার রাখলেও তা আর বন্ধ করা যায় না।কাজেই সতেজ নিঃশ্বাস পেতে এখনি ধুমপান ছাড়ুন।
নিয়মিত মেডিকেল চেকআপঃ
দাঁত কিংবা দাঁতের মাড়ির যে কোন সমস্যা সমাধান করতে একজন অভিজ্ঞ দন্ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। কারণ নিয়মিত চেকআপ করার মাধ্যমে দাঁতের মাড়ি ও দাঁতের সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। আর নিঃশ্বাসের সতেজতা বজায় রাখা সহজ হয়।