জিনিস পাওয়া থেকে সেই জিনিসটাকে তার পরিপূর্ণ মূল্য দেওয়া বেশি কষ্টকর। প্রথমেই উদাহরণ দি মা -বাবাকে নিয়ে।মা -বাবা আমাদের জন্য সব করে দেয়। নিজের সুখ শান্তি সব ত্যাগ করে, নিজের পছন্দ সব বিলিয়ে দেয় আামাদে উপর।কিন্তু আমরা তাদের ভালোবাসাকে তুচ্ছ ভাবি।তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করি। একটুও ভেবে দেখি না যে মা-বাবা আছেই বলে আমরে বেঁচে আছি। এই যে চোখ দিয়ে দেখছি,হাত দিয়ে লেখছি মা-বাবা আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। যেদিন মা-বাবা কাছে থাকবে না সেদিন বুঝব কী হারেয়েছি।আচ্ছা আমরা এমন কেন! যা কাছে থাকে,যা পেয়েছি তা নিয়েই কেন সুখী হতে পারিনা। কী চাই আমাদের মন! চাওয়া আর না পাওয়ার মধ্যে কী আমাদের জীবন শেষ হওয়ে যাবে।সারাজীবন কী অপূর্ণতা বিরাজ করবে আমাদের মনে। যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে কবে শিখবো আমরা! সঠিক সময়ে মূল্য দিতে আমরা হয়তো কেনদিন শিখব না।ম্যৃতুর দুয়ারে দাড়িয়ে থেকেও শুধু না পাওয়া গুলো হিসাব করব।অপূর্ণতার প্রথম কারণ হলো হীনমন্যতা। হীনমন্যতা হল একধরনের রোগ।আগে নিজকে তো বিচার কর তারপর অন্যের দোষ দেখ।কেন অন্যের জীবনে উপর নিজের মন আটকে রেখেছ! তুমি নিজের কী কিছু না।অন্যের পাওয়া না পাওয়ার কথা না ভেবে নিজে কী পেয়েছ তা দেখ। নিজের পাওয়া গুলোর উপর দাম দেওয়া শুরু কর।কদিনের বা জীবন। একটু তো নিজেকে পরিতৃপ্ত অনুভব কর।আগে মা-বাবাকে মূল্য দিতে শিখ।তাদের ভালোবাসার পরিপূর্ণ ভাবে সম্মান কর। ছোটবেলায় তোমার কান্না থামানোর জন্য কী না করতো।এখন তুমি করো, এমন কাজ কর যাতে তাদের হাসি বন্ধ না হয়। চাওয়া থেকে পাওয়া গুলোর বেশি দাম দাও। তুমিই যদি পরিতৃপ্তি না পাও সফলতা কেও বুঝতে পরবে না। তোমার জীবনে ভালোবাসা থাকলে তাকে আগলে রেখ।পৃথিবীতা অনেক নিষ্ঠুর। মা-বাবাকে বাদে অন্য কেউ যদি তোমায় নিস্বার্থ ভাবে ভালোবাসে তাকে কখনও যেতে দিও না।ভালোবাসা একবার চলে গেলে আর ফিরে আসে না। সবার একটি দাম তাকে। সঠিক দাম দিতে শিখো। শোনো অন্যের সুখ দেখে হিঃসা করোনা এতে তোমার নিজের সুখ কমে যাবে। মনকে স্থীর কর, মুখে রখো হাসি আর মনে থাকবে অন্যের জন্য ভালোবাসা। মা-বাবার ভালোবাসা, প্রিয়জনের সবসময় কাছে তাকা এইতো পরিপূর্ণ হলো তোমার জীবন।
খুঁজে নাও যা পেয়েছো।ভালো রেখ তোমার মা-বাবাকে।