আসসালামুআলাইকুম ,আশা করি প্রিয় পাঠকগন ভালো আছেন। ভালো থাকা, নিজেকে ভালো রাখা এই দুইটি জিনিস আমাদের জীবনে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে ভালো রাখার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করাই উত্তম। নিজেকে ভালো রাখতে পারলেই তবেই এই সুন্দর পৃথিবীর মহিমা আমরা বুঝতে পারবো। পৃথিবীর এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারব।
এই জীবনে ভালো থাকতে খুব বেশী কিছুর প্রয়োজন হয় না। তবে যে জিনিস গুলো প্রয়োজন হয় সেগুলো আমরা আমাদেরকে সঠিকভাবে দিতে পারিনা। তবে নিজেকে ভালো রাখতে না পারার প্রধান দায় নিজেরই। ইচ্ছা করলেই নিজেকে ভালো রাখা যায়, নিজেকে খুশি রাখা যায়।
নিজেকে ভালো রাখার কিছু উপায়:
নিজেকে ব্যস্ত রাখা: ভালো থাকতে হলে বা নিজেকে ভালো রাখতে হলে সর্বপ্রথম কাজ হবে নিজেকে সব সময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখা। নিজেকে সবসময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখতে পারলে তবেই দেখা যাবে যে খুব ভালো থাকা যাবে এবং মন খুব ভালো থাকবে। আমরা জানি যে একটা প্রবাদ আছে “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।”এই কারণে আমরা যখন অবসর জীবন যাপন করি তখন আমাদের নিজেদের কাছে নিজেদেরকে অনেক বেশি অসুখী মনে হয়। সে কারণে নিজেকে ভালো রাখতে হলে নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা: চিন্তা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। চিন্তার দুইটি বিভাগ রয়েছে। একটা হল দুশ্চিন্তা আর একটা হল ভালো চিন্তা। একটা ভালো চিন্তা আমাদের নিজেদেরকে ভালো কিছু করার উদ্ভাবনী শক্তি যোগায় বা ভাল কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। অপরদিকে দুশ্চিন্তা আমাদের জীবনটকে অনেক বেশি দুর্বিষহ করে তোলে। দুশ্চিন্তার ফলে সৃষ্টি হয় নানান রোগ ব্যাধি। এর ফলে নিজেকে ভালো রাখার সম্ভব হয় না। এ কারণে সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।
মানসিক অস্থিরতা দূর: মস্তিষ্ক ঠিক থাকলে আমাদের মন ঠিক থাকবে। সে কারণে আমাদের মস্তিষ্ক তাতে কোনো কারণে ক্ষিপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য আমাদের নিজেদেরকে রাখতে হবে অর্থাৎ মানসিক ভাবে অস্থির হয়ে ওঠা চলবে না। সব সময় নিজের মানসিক শক্তি কে স্থিতিশীল করে তুলতে হবে। অল্পতেই কোন কিছুতে অস্থির হয়ে উঠল চলবে না।
নিজেকে ভালোবাসা: ভালো থাকতে হলে প্রয়োজন ভালোবাসার। তাই নিজেকে ভালো রাখতে হলে অবশ্যই নিজেকে ভালবাসতে হবে। নিজের ওপর সবসময় যত্ন, খেয়াল রাখতে হবে। নিজেকে কোনভাবেই কষ্ট দেওয়া যাবে না। যেখানে নিজের কষ্ট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে সেই সব দিক থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
নিজেকে চেনা: আমি নিজে কি চাই, এটাই সবার আগে ভাবতে হবে। নিজের মন যেটা চাই সেটা ভালো কি খারাপ যাচাই-বাছাই করে তবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নিজেকে খোঁজা: নিজেকে খোঁজার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনকে আরো আনন্দময় করে তুলতে পারি। মন যদি চাই নিজেকে ডক্টর হিসেবে দেখতে কিন্তু অন্যরা যদি চাই ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে ,তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের মন যেটা চাই সেটা কেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
এই সাধারণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই এবং এগুলো মেনে চললেই নিজেকে ভালো রাখার সম্ভব। নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্বটা নিজেকেই নিতে হবে অন্য কেউই এই দায়িত্ব নেবে না।
আর্টিকেল টা ভালো লাগলে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। ভাল থাকবেন সবাই।
আল্লাহ হাফেজ।