নিসঙ্গ আমি
শাহরিয়ার জাহিদ
নির্জন- নিরিবিলি প্রতি নিশিরাত
ঘুমহীন জ্বালাময়ী চোখে উপভোগ করি সুন্দরতম প্রভাত।
কেটে যায় বেলা অবসাদে
টিকটিকির মত বিছানায় পড়ে থাকি বিষন্ন মনে।
স্মৃতির সাগরে ভেসে জ্ঞাপন করি শোক
ঝাপসা চোখে ভাসে কাজলের শুভ দাগ আঁকা সজল দুচোখ।
স্মৃতিরা রোমন্থন হলে শোঁ শোঁ করে ওঠে বুকের পাজর
দুঃখগুলো নিমিষেই করে ফেলে কাতর।
বিচ্ছেদের অনলে পুড়ে হয় ভস্ম
চোখের নোনাজল হয় বাষ্প।
অনুভূতিগুলো মরিয়া করে কেবল হাহাকার
বিরহের সাঁকো দিলাম আজ পারাপার।
পাখিরা প্রভাতে বেরিয়ে পেটপুড়ে স্নান সেরে
পালক শুকায় বিকেলে আরাম করে।
সাঝের বেলা ফিরে নীড়ে
আমি পাখির রাত কেটে যায় পথে পথে ঘুরে
একাকী নিসঙ্গ হয়ে
একমাত্র সঙ্গী নিজ ছায়াকে নিয়ে
সুদর্শন কৃষ্ণচূড়া দর্শন করি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
যে কৃষ্ণচূড়ায় তোমার হাসি আছে লুকিয়ে।
তার সাথে ভাব করি নিরবে-নিভৃতে।