দীর্ঘ এক বছর আগেও শোনা গিয়েছিল বার্সেলোনায় থাকবেন না মেসি। তিনি বলছিলেন যদি তার সাবেক সতীর্থ নেইমারকে বার্সেলোনায় ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে তিনিও বেশিদিন বাসায় থাকবেন না। আর চ্যাম্পিয়ন লিগে ব্রায়ান মিউনিখের কাছে ৮-২গোলে হারার পর মেসি হঠাৎ জানালেন আর বার্সায় থাকছেন না তিনি যদিও এই নিয়ে বোর্ড যথেষ্ট চেষ্টা করছেন তাকে বার্সায় রাখতে। কিন্তু বোর্ডের সাথে মতের মিল না থাকায় এবং বিভিন্ন সময়ে দলের স্বার্থকে বড় করে না দেখে বোর্ড সভাপতি নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নেইমারের সঙ্গে দারুণ এক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে মেসির। কিন্তু ২০১৭ সালের শেষ দিকে কাতালান ক্লাব ছেড়ে নেইমার ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে যোগদান করেন।
এক বছরের মধ্যেই তিনি তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে আবার বাসায় ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
বন্ধুকে ওইটা মেসি কাতালোনিয়ায় আবার ফিরিয়ে আনার কথাও দিয়েছিলেন।
মেসি কে সন্তুষ্ট করার জন্য বার্সেলোনা টাকা না দিয়ে শুধু খেলোয়ার পরিবর্তনের মাধ্যমে নেইমারকে ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন কিন্তু এত দাম দিয়ে নেইমারকে কিনে কোনভাবেই বিনা লাভে দিতে রাজি হয়নি পিএসজি। আর তখনই বাসায় ফেরার স্বপ্ন পূরণ হয়নি নেইমারের তখন থেকেই অসন্তুষ্ট মেসি।
নেইমারকে ফেরাতে পর্যাপ্ত চেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ করেছিলেন মেসি। এ নিয়ে স্প্যানিশ গণমাধ্যমে অনেক তথ্য উঠে আসে।
২০১৮ সালে নাপারলেও ২০১৯ সালে চাইলেই নেইমারকে ফেরাতে পারত বার্সা।কিন্তু অ্যাসিটিক মাদ্রিদ থেকে আন্তোনিও গ্রিজম্যান কে কিনে আর্থিক সংকটে পড়ে বার্সেলোনা যা পরবর্তীতে নেইমার ফিরিয়ে আনার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেইসাথে গ্রিজম্যানের বিবর্ণ পারফরম্যান্স মেসিকে অসন্তুষ্ট করে তোলে।
এছাড়াও মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার পেছনে আর যে কারণ গুলো রয়েছে সেগুলো হলো।
১: সঙ্গে কোমানের দুর্ব্যবহার।
২: ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুয়ারেজকে বিদায় জানিয়ে দেওয়া।
৩: বোর্ড সভাপতি বার্তামেও ইস্যু।
৪: ভালভার্দেকে দেখে বরখাস্ত করা।
৫: আবিদালকে বোর্ডের সমর্থন।
সূত্র:সময় টিভি।