Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

নেতৃত্বে ব্যর্থতার ১০টি কারণ

নেতৃত্বে ব্যর্থতার ১০টি কারণ
১. সংগঠিত করার ব্যর্থতা: দক্ষ নেতৃত্বের জন্য সংগঠিত করার গুণ থাকতে হবে নইলে নেতা ব্যর্থ হবেন। কোনাে মানুষ, সে নেতা হােক বা অনুসারী, যদি বলে যে সে তার পরিকল্পনা পরিবর্তন কিংবা কোনাে ইমার্জেন্সিতে তেমন মনােযােগ দিতে পারেনি অন্য কাজে খুব বেশি ব্যস্ততার কারণে, তাহলে কিন্তু সে পক্ষান্তরে নিজের অদক্ষতাকেই তুলে ধরল ।একজন সফল নেতাকে অবশ্যই তিনি যে অবস্থাতে আছেন তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ-খবর রাখতে হবে। এর মানে অনুসারীদের সঙ্গে তাঁর সার্বক্ষণিক যােগাযােগ থাকবে।

২. কাজ করতে অনীহা করেন না। ব্যর্থ নেতারাই কাজ করতে চায় না। আশা করে। লােকে তাদেরকেই কিছু দেয় যে নেতারা তাদের জন্য কাজ করে। কাজ না করে বসে থাকা নেতাদের লােকে প্রত্যাখ্যান করে। |প্রকৃত নেতারা কদাপি কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেনা।
৩.অনুসারীদের সঙ্গে প্রতিযােগিতার ভয় যে নেতা সবসময় ভয়ে থাকে এই বুঝি তার কোনাে অনুসারী তার জায়গা দখল করে বসল, সে ব্যর্থ নেতা। ৪. তারা যা জানে সে জন্য কাজ না করে বরং তারা যা জানে’ সেজন্য প্রাপ্তির আশা করে। লােকে তাদেরকেই কিছু দেয় যে নেতারা তাদের জন্য কাজ করে। কাজ না করে বসে থাকা নেতাদের লােকে প্রত্যাখ্যান করে।
৫. কল্পনা শক্তির অভাব কল্পনা শক্তির অভাব থাকলে একজন নেতা জরুরি অবস্থার সময় কিছুই করতে পারে না, সে তার অনুসারীদের জন্য পরিকল্পনা জানে’ সেজন্য প্রাপ্তির তৈরিতে ব্যর্থ হয়।
৬. স্বার্থপরতা যে নেতা তার কর্মীদের কাজের ক্রেডিট নিজে নেয় তাকে কেউ পছন্দ করে না। প্রকৃত নেতারা কখনাে কোনাে কাজের জন্য নিজে ক্রেডিট নেন না। তিনি বরং তাঁর অনুসারীদেরকে এ সম্মান দিতে পছন্দ করেন। ৭. অমিতাচারী একজন অমিতাচারী নেতাকে তার অনুসারীরা সম্মান করে । বরং কেউ অসংযমী এবং অমিতাচারী হলে নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে।
৮. অবিশ্বস্ততা এটি আসলে তালিকার শীর্ষে থাকা উচিত। যে নেতা তার কর্মীদের প্রতি অবিশ্বস্ত সে বেশিদিন নেতা হিসেবে টিকে থাকতে পারবে না । জীবনের পথে চলতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণও কিন্তু এই অবিশ্বস্ততা। | ৯. নেতৃত্বের কর্তৃত্বের ওপর জোর প্রদান: একজন দক্ষ নেতা তার অনুসারীদেরকে পরিচালনা করবেন উৎসাহ নিয়ে, তাদের ভেতরে ভীতির সঞ্চার করে নয়। যে নেতা তার অনুসারীদের ওপর সবসময় কর্তৃত্ব ফলায় সে গায়ের জোরের নেতার ক্যাটাগরিতে পড়ে যায়। একজন প্রকৃত নেতা সহানুভূতি, সদাচরণ, অপরকে বুঝবার ক্ষমতা ইত্যাদি গুণ দিয়েই অনুসারীদের ওপর কর্তৃত্ব চালিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য তার কখনাে গায়ের জোর ফলানাের প্রয়ােজন হয় না।

১০. পদবীর ওপর গুরুত্ব প্রদান একজন যােগ্য নেতার তাঁর অনুসারীদের সম্মান লাভ করার জন্য কোনাে পদবীর প্রয়ােজন হয় না। যে লােক নিজের পদবীটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় সে অপরের হাসির পাত্রে পরিণত হয়। প্রকৃত নেতার দরজা সবসময় সবার জন্য খােলা থাকে এবং তিনি কোনাে ফরমালিটিরও ধার ধারেন না।

Related Posts

5 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No