তড়িৎ বা যন্ত্র প্রকৌশল বা ইলেক্ট্রিকাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় বিষয়। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের অন্যতম চাহিদা সম্পন্ন বিষয় এটি। এই ইইই তে অধ্যয়নরত শিক্ষাথীদের রয়েছে বিরাট সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।
অনেক শিক্ষার্থী কোনো বিষয় সম্পর্কে আগে থেকে না জেনে ভর্তি হয়ে থাকে পরে হিমশিম খেতে হয়। তাই আজ এইখানে ইইই সম্পর্কে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
তড়িৎ বা যন্ত্রকৌশল এর নাম শুনলে অনেকে ঘাবড়ে যান ভাবতে পারেন এই বিষয়ের অলোচ্চ বিষয় সমূহ আসলে কি ?
এই বিষয়টি মূলত গণিত বা পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক। তাই যারা গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান এ ভালো দক্ষতা রাখো তারা কক্ষ বন্ধ করে ভর্তি হয়ে যেতে পারো ইইইতে।
ইলেক্ট্রিকালের প্রায় প্রতিটি বিষয়ে গণিত রয়েছে। ইইই এর চার বছরে শুধু গণিত বা পদার্থবিজ্ঞান পড়তে হবে তা কিন্তু নয়। সাথে সাথে পড়তে হবে রসায়ন ,মেশিন ,প্রোগ্রামিং ,সিভিল ড্রয়িং এর মতো বেসিক সাবজেক্ট ও অবশ্যই পড়তে হবে।
চাকরির বাজারে এই এর শিক্ষার্থীদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বলা হয়ে থাকে ইইই হলো একটি এভারলাস্টিং সাবজেক্ট। পৃথিবীর অস্তিত্ব যতদিন আছে ততদিন এই এর চাহিদা কমবেনা। যদি আপনার মেধা ও যোগ্যতা থাকে তাহলে আপনার সফলতা কেউ আটকে রাখতে পারবেনা। মোবাইল অপারেটর সহ দেশের প্রায় সকল ইন্ডাস্ট্রিতে ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়াররা চাকরি করে থাকে।
তড়িৎ প্রকৌশলীদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় হলো দৃঢ় গাণিতিক দক্ষতা ,কম্পিউটার জ্ঞান ,তড়িৎ প্রকৌশলের সাথে সম্পর্কিত ভাষা ,ধারণা এবং আত্মস্থ করার ক্ষমতা। আপনার যদি থাকে উদ্ভাবনী ক্ষমতা আর লেগে থাকার ইচ্ছা আপনি তবেই ইইই পরে অনেক বড় কিছু করে দেখতে পারবেন। কোনো কিছু আবিষ্কর করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা হতে পারে তড়িৎ এবং যন্ত্র প্রকৌশল।
আমার আগের পোস্ট: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অথবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স