“আসসালামু আলাইকুম পাঠক ও পাঠিকাগন” ভালো থাকেন আর সুস্থ থাকেন এই কামনা করি, আমাদের পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট আর সেই ক্রিকেট খেলা কিছু কিছু মানুষের কাছে একটা নেশার মত । যা জীবনের কাছে সমস্ত সত্তা জুড়ে, জ্ঞান আর ধ্যাণ । এখানে বিশাল গোলাকার বৃত্তের মাঝে দর্শকদের যে আনন্দ,উৎসব ও মন–মাতানো দৃশ্য ফোঁটান ক্রিকেটরা কিন্তু সেই ক্রিকেটরা বিশাল গোলাকার বৃত্তের মাঝে দর্শকদের মত আনন্দ,উৎসব ও মন-মাতানো দৃষ্টিভঙ্গি কি তাদের মাঝে ছিল । তাদের মাঝে কি এই আনন্দ, উৎসব ও মন–মাতানো ভঙ্গিকার ছিল ।হয়তো বলবেন না,ঠিকি ছিল না ! । আজ এমন একজনের ক্রিকেটারের গল্প জানব ,যিনি জ্যামাইকার এক বস্তিতে থাকতেন ।সেখান থেকে তিনি উঠে এসে গোঠা পৃথিবী ভয়ানক বলারদের তাণ্ডব চালিয়েছেন আর চালাচ্ছেন এখনোও । ১৯৭৯ সালে ২১ সেপ্তম্বর মাসে জ্যামাইকার কিংস্টনের গ্রামে তার জন্ম ৬ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ৫ম । তার বাবা পেশায় ছিলেন একজন সাধারণ পুলিশ কর্মকর্তা যা আয় ছিল খুবই অতি সামান্য । তার আয় এতটা অতি সামান্য ছিল যে সংসার চালাতে তার মাকে পর্যন্ত পার্কে পার্কে ঘুরে বাদাম বিক্রি করতে হতো । পরিবারের এমন দুর্দশা মধ্যেও তিনি যে একদিন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার হবে সেটা কারো কাছে জানা ছিল না ,পরিবারের সবাই মনে করতেন তিনি বড় হয় সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরবেন অথবা মদের ব্যবসা করবেন কিংবা শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাবেন । কিন্তু তার ভাগ্য যে এমন অন্যরকম হবে তা কেও ভাবেনিই ,সত্যি বলতে সৃষ্টিকর্তা যা লিখে-রাখেন তা কি কখনোও পরিবর্তন করা যায় । তাইতো তিনি এখন বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারের তালিকার নাম লেখিয়েছেন । তিনি যেমন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ছিলেন, তেমনি ছোটবেলা থেকে ছিলেন এক দুরন্তবান শিশু । দরিদ্রতার কারণে তিনি ঠিকমতো তিন বেলা খাবার খেতে না পেলেও,ঠিকমতো তিন বেলা নিয়ম-মাপিক ভাবে পরিবার কাছ থেকে মার খেতেন । সবচেয়ে বেশি মার খেতে হতো মায়ের কাছ থেকে,তার মার খাওয়ার কারণ-বসতো গুলো ছিল বেশ অন্যভাবে ছোটবেলা তিনি স্কুল পালাতো ,আর সারাদিন এখানে-ওখানে ঘুড়ে বেড়াত এমনকি মাঝে মাঝে সমবয়সীদের সাথে মার–পিট করতেন । তিনি এসবের প্রতিনিয়ত কর্মকাণ্ড ওস্তাদ ছিলে
ন, তাহলে তিনি এসবের মধ্যে কিভাবে ক্রিকেটার হয়ে উঠলেন । এই জন্য তো তিনি সর্বদা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকেন লোকাস ক্রিকেট ক্লাবটিকে এই ক্লাবটি তার প্রতিভা দেখে তাকে সামনের দিকে উঠে আস্তে সাহায্য করে । লোকাস ক্রিকেট ক্লাবে খেলার সময় থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করতেন তিনি,একটা সময় তার ব্যাটিং নজরে পরে জ্যামাইকার র্নিবাচকদের চোখে । তখন তারা উইণ্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে চিঠি পাটান তারা জ্যামাইকার থেকে নতুন এক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান পাটাচ্ছেন । উইণ্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড তার ব্যাটিং দেখে থাকে অর্নুধ্ব
-১৯ দলের জন্য নির্বাচন করেন । সেখানেও তিনি রিতিমত চমক দেখান তার ব্যাটিং ,সেই পারফর্মের ফলে ১৯৯৯ সালে সুযোগ পেয়ে যান জাতীয় দলে। এরপর থেকে তিনি একের পর এক রেকর্ড করতে থাকেন ক্রিকেটের ইতিহাসে ,বর্তমানে সেই ক্রিকেটার নাম হচ্ছে গ্রিস-গেইল ব্যাক্তিটি ।যার সূচনা শুধু এখন কেবল ব্যাট হাতে নিয়ে তার শাসন প্রভাব। ২০০৬ সালে টি-২০ খেলার পর থেকে গত ১৪ বছর ঘরোয়া আর্ন্তজাতিক সব ধরনে টি-২০ মিলিয়ে রেকর্ড করেছেন ২২ টি সেচ্ঞূরী । তাছারা তার ফর্ম্যাটে রয়েছে সর্বোচ্ছ ব্যাক্তিগত রানরেট,বাউন্ডারি,দ্রতগম সেচ্ঞূরী সবকিছুই রেকর্ড এখন তার দখলে । তার পাগলামি ব্যাটিং এর জন্য তো ভক্তরা ডাকেন-দ্যা কিং অফ টি-২০ নামে । কোঠর প্ররিশ্রমের ফলে আজ তিনি সাফল্য চুড়ায় এসেছেন,যিনি অর্থের কারণে ঠিকমত খাবার খেতে পেত না আজ তিনি ৪০ মিলিয়ন ডলারের সম্পতির মালিক । এখনও সেই অভাবের দিন গুলোর কথা ভুলে যাননিই,এখনও সেই সৃতিগুলো মনে করেন তিনি । তাইতো তিনি নিজস্ব অর্থায়নে তার উদ্দেগে ইংল্যান্ডে ও ওয়েষ্ট-ইণ্ডিজে দ্ররিদ কিশোর–কিশোরীদের জন্য দ্যা গ্রিস-গেইল একাডেমি তৈরি করেন। তার সপ্ন এই একাডেমি থেকে সব দরিদ্রতা মোকাবেলা করে নতুন কেউ আসবে যা তার রেকর্ডকে ভেঙ্গে দিয়ে চুরমার করে বিশাল–বিশাল রেকর্ড গড়বে । আপনিই পারবেন গ্রিস -গেইল এর মত সাফল্য হতে ,যদি আপনার ভিতরে জেগে থাকা মনোবলকে জাগিয়ে তুলেন। আজ এই পর্যন্ত শেষ করলাম আরো নতুন নতুন টপিক নিয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসব, আমাদের সাথে থাকুন পাঠক ও পাঠিকাগন । ধন্যবাদ সবাইকে……. । আল্লাহ হাফেজ …….।