বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
জীবন তো একটাই। এই জীবন একবার হারালে সেকেন্ড কোনো চান্স পাবেন না এই জীবনের স্বপ্ন পূরণের। Do or Die বলার দিনশেষ। যা করার তা আপনাকে জীবিত অবস্থায় করে যেতে হবে। তাই আমি রাজ কঠিন ইস্পাতের মত দাঁড়িয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বলি Do before Die। কিছু করতে হলে আজই করুন, এখনই করুন। কাউকে ভালোবাসতে ইচ্ছে হলে আজই তাকে ভালোবাসার কথা বলে দিন। আজ আপনার বলতে দেরি হলে কাল হয়তো তাকে অন্য কেউ বলে দিবে। আপনার দেখা স্বপ্নগুলো তখন অন্যঘরে পূরণ হবে, আর আপনি আফসোসের জীবন নিয়ে তাদের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। কিংবা বলতে থাকবেন – আমার ভাগ্যটাই খারাপ।
সফল ব্যক্তিগুলো সব সময় পাশের বাড়িতে জন্মায় কেন? এসপি, ম্যাজিস্ট্রেট, বিসিএস ক্যাডার, ম্যানেজার এরা সবাই পাশের বাড়ির মানুষ হয় কেন? কেন সেটা আপনি হতে পারেন না? স্বপ্ন তো আপনিও দেখেন, তাহলে আপনার স্বপ্নগুলো কেন অন্যের ঘরে পূরণ হয়? কারণ আপনি স্বপ্ন দেখেন কিন্তু একশানে যান না। বস, একবার চ্যালেঞ্জ নিন। জেদটা ঠিক জায়গায় রাখুন। আমার কাছে সফলতার সূত্র একটাই- আগে শূন্য থেকে উঠে এসে সবার মত হব, এরপর ইস্পাত কঠিন মনোবলে সবাইকে ছাড়িয়ে যাব। কে বললো “তুমি পারবে না ” আর কে বললো “তোমাকে দিয়ে হবে না! এসব ভাবনার টাইম নেই বস। স্বপ্ন দেখুন, প্ল্যান করুন, একশানে নামুন। দেখিয়ে দিন – You are not average, You are the Boss. You are Unique
“আরেকটু চেষ্টা করলেই কাজটা হয়ে যেত “- এটা বলে আফসোস করার চেয়ে, সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করে ফেললেই তো হয়ে যায়। কোনো কাজে ব্যর্থ হওয়ার পর “আমার ভাগ্যটাই খারাপ ” এটা বলার আগে আমি অন্তত একশবার নিজের দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি, আমি কি আসলেই সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছিলাম? যে কাজটা আপনি পারেননি, সে কাজটা কিন্তু কেউ না কেউ ঠিকই পেরেছে। আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, আমি বিশ্বাসের সাথে স্বীকার করি- আমার না পারা কাজটা যিনি পেরেছেন তিনি আমার চেয়ে অন্তত এক বিন্দু হলেও বেশি যোগ্য, বেশি পরিশ্রমী।
১০০ মিটার দৌঁড়ে উসাইন বোল্টের চ্যাম্পিয়ান হওয়া দেখে আপনি কেন এটা ভাবছেন, তিনি শুধু ১০০ মিটারই দৌঁড়ালেন। ১০০ মিটার দৌঁড়ে চ্যাম্পিয়ান হওয়ার জন্য তিনি কয়েকহাজার মিটার দৌঁড় কয়েক বছর ধরে প্র্যাকটিস করেছেন। সে হিসেবটা কে করবে?
জীবনটা তো আপনার। আপনার হাত কেটে গেলে, রক্ত আপনার হাত থেকেই পড়ে, ব্যাথাটাও আপনি পান। হাত কাটবেন আপনি আর ব্যাথা পাবে অন্য কেউ এমনতো হয়নি কখনো। আপনি ব্যর্থ হওয়ার পর হাজারটা অজুহাত দিলে লক্ষজনে শুনবে, কিন্তু কেউ আপনাকে সফল করে দিবেনা। আল্টিমেটলি আপনি ব্যর্থই থাকবেন। আপনি কী পারবেন আর কী পারবেন না, তা কেবল আপনিই দেখিয়ে দিতে পারেন। নিজে নিজে শ্বাস নিয়েই আপনাকে বাঁচতে হয়। আপনার সবচেয়ে প্রিয়জনের ও সাধ্য নেই নিজে একটু বেশি শ্বাস নিয়ে আপনাকে দুই দিন বেশি বাঁচিয়ে রাখতে। আপনার জীবনের সব কিছু আপনাকেই করতে হবে। অতএব কারো নেগেটিভ ভবিষ্যৎ বাণীতে হতাশ হবেন না। Your STORY will be the best HISTORY. ইতিহাস আপনাকে রচনা করতে হবেনা। বরং আপনাকে নিয়েই ইতিহাস রচিত হবে।
বস, জীবনটা যদি আপনার হয়, সফলতা ব্যর্থতা সবই যদি আপনার হয়; তবে আপনি পারবেন কি পারবেন না তার নির্ধারক কেন অন্য কেউ হবে? দৌঁড়াতে হলে নিজের পায়ের জোর লাগে, অন্যের পা কতটা শক্তিশালী তা দিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌঁছানো যাবেনা। স্বপ্ন যদি ভুল করেও একবার দেখে ফেলেন, তবে তা পূরণ করেই ছাড়বেন। প্রয়োজনে স্ট্র্যাটেজি পাল্টাবেন, চিন্তা পাল্টাবেন, পথ পাল্টাবেন, যা যা পাল্টানোর সবই পাল্টাবেন কিন্তু ভুলেও স্বপ্নটা পাল্টাবেন না, টার্গেট পাল্টাবেন না। গতবার যিনি চ্যাম্পিয়ান হয়েছেন এবার যদি আপনি তার চেয়ে একটু বেশি শ্রম দিতে পারেন, তবে আগামীবারের চ্যাম্পিয়ান এওয়ার্ড তো আপনার হাতেই উঠবে। জীবনের হিসেবটা এখানে খুবই সহজ।