পার্ট-১
লেখক-ইখলাছুল মুহিম মিলন
আমরা ছিলাম পাঁচজন।রাসেল,রাকিব,আইয়ান,মারু ভাই ও আমি।আমাদের মধ্যে আমি ও আইয়ান পরীক্ষাতে বরাবর ১ম ও ২য় হতাম।আমাদের মারু ভাই বয়সে ক্লাসের সবচেয়ে বড় বলে বরাবর আমাদেরকে শাসন করতেন আবার মারামারিতে সে ছিল একেবারে ওস্তাদ।আর তার কারণেই তাকে আমরা মারু ভাই নাম দিয়েছি।আবার রাকিবটা ছিলো ভিতু।
আমরা পাঁচজন সবসময় একসাথেই থাকতাম।মারু কিন্তু পড়াতে একেবারেই কাঁচা।গনেশ স্যারতো তার পেপার না দেখেই তাকে ডবল জিরো দিয়ে দিতেন।আর পরদিন স্যার এসে তাকে ভালো করে জব্দ করতেন।আমাকে ও আইয়ানকে কাছে ডেকে স্যার মারুকে ভালো করে শাস্তি দিতেন।আমরাও অনিচ্ছায়ই তার কান মলে দিতাম।তবে যেমন করে মারু সবার উপর রেগে ওঠে আমাদের দুজনের উপর তেমন রেগে ওঠে না।কারণ আমি ও আইয়ান ক্লাসের সবচেয়ে ভালো স্টুডেন্ট ছিলাম।
আমাদের স্কুলের গনেশ স্যারটা একটু রাগি।পড়া আদায় না করলে স্যার কঠোর শাস্তি দিতেন।
তবে…
প্রত্যেক বুধবার স্যার ছাত্রদের যা করাতেন তাতে ছাত্ররা একেবারে অসহ্য ছিল।
প্রত্যেক বুধবার স্যার সবাইকে মাঠে নিয়ে ব্যায়াম করার নামে কুস্তি খেলা আরম্ভ করে দিতেন।যারা এই খেলাটিতে হেরে যায় তাদেরকে স্যার সীমা ছাড়া লজ্জা দিতেন।আর অন্য সেকশনের মেয়েরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দাত বের করে হাসতো।আর তার কারণেই আমি,আইয়ান ও রাকিব প্রত্যেকদিন লজ্জা পেতাম আর মারু বাহবা পেতো ঠিকই।আমরা ৩জন চিন্তা করতে লাগলাম কী করে এটাকে নির্মূল করা যায়।
তারপর আমাদের ক্লাসের বুদ্ধি শেয়াল আইয়ান ক্লাসের সব ছেলেদের গোপন মিটিং ডেকে তাদেরকে একটা প্লান বলল।তারা অনেকেই মন্তব্য করলো যে অনেকদিন ধরে তারা নির্যাতিত হচ্ছিল কিন্তু কেউ সেটা বলছে না।
আবার এদিকে মারু গাট্টি মেরে বসলো।আমাদের পরিকল্পনা গুড়েবালির মূল নায়ক ছিলো দুজন রাকিব ও মারু।তবে সবেমাত্র আমরা মারুকে অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে কোনমতে ঠান্ডা করেছি।
হঠাৎ গনেশ স্যার হুংকার ছেড়ে আসতে আসতে আমাদের গোপন মিটিং দেখে ফেললেন।আমরা সবাই হুড়মুড় করে ইচ্ছেমতো একজনের আসনে আরেকজন বসে পড়লাম।আমি ছিলাম এ সভার গোপন বুদ্ধি শেয়াল,শুধু শুধু আইয়ানকে বাতাস দিতে দিতে ফুলিয়েছি।এখন যদি আইয়ান সবকিছু বলে দেয় তাহলে কী হবে?এ নিয়ে আমার বুক ধড়ফড় করছে।
এদিকে আমি তাড়াহুড়ো করে বসে গিয়েছিলাম মন্টুর আসনে।আর আইয়ান মারুর আসনে।
স্যারের বাড়ির কাজ ছিলো।
তো আমরা আর কী করবো,মন্টু বাড়ির কাজ করেনি,মারু ও করেনি।ফলে আমরা দুজন মন্টু ও মারুর খাতা দেখিয়ে মার খেতে হবে বলে মুখ শুকিয়ে গেল।অন্যদিকে ইকবাল ও রাসেলের মনটা যেন খুশির নদী।তারা আমাদের ব্যাগ নিজস্ব করে বসে পড়েছিল।
আবার মারুকে আমরা ভালোভাবে মানাতে পারিনি কী জানি সে গোপন কথা ফাঁস করে দিবে কী না।
টেনশন আর টেনশন।
বেশি টেনশন আমার কারণ আমি গোপন বুদ্ধি চেলা।স্যার এসে হুংকার ছাড়লেন-
“কী?বাড়ির কাজ হয়েছে?”
ইকবাল ও রাসেল উচ্চস্বরে বললো-“জ্বি স্যার”
আমার ও আইয়ানের গা জ্বালা করতে লাগলো।আমার সামনেই আইয়ান বসা ছিল।হঠাৎ সে দাঁড়িয়ে কী যেন বলতে গেলো আর দাঁড়াবার সাথে সাথেই আমি তার প্যান্ট ধরে হেচকা টান দিয়ে বসিয়ে দিলাম।আর সাথে সাথেই প্যান্ট ছিড়ে গেলো খানিকটা।
তবে ভাগ্য ভালো কারণ ভেতরে ও একটি প্যান্ট ছিলো।
স্যার আবার হুংকার ছাড়লেন-
“বল,তোমরা কী সভা করেছিলে
grathor.com এ “পাঁচ তারার অভিযান ” এর পরবর্তী অংশগুলো চলবে….