পাখি মানুষকে অনেক আপন করে নেয়। সেলিম ভাইয়ের পাখির ডেরায় একদিন-
পর্ব-১:
সেই ২০১৭ সালের কথা। পাখির প্রতি আমার যথেষ্ট দূর্বলতা আছে। একদিন ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে সামনে আসে সেলিম ভাইয়ের ফেসবুক পেইজ, সারুমা এভিয়ারি। ওনার পেইজে ঢুকেতো আমার মাথাই পুরা ন। এমন কোন পাখি নাই যে উনি সংগ্রেহে না রেখেছে।
আমি আগেই বলেছিলাম, পাখির প্রতি আমার যথেষ্ট দূর্বলতা আছে। আর তাই তখনই আমি সেলিম ভাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাই। কিছুদেনের ভেতরে উনি এক্সেপ্ট করেন। তবে তেমন কোন কথাই হয় নি। মাঝে একদিন ওনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, উনিও আমাকে রিপ্লাই দেন। কিন্তু এর পরে হঠাৎ করেই আমাকে আমার জন্মদিনে উইশ করেন। আমার অনেক ভালো লাগে ব্যাপার।
যা’হোক, এবার আসি আসল টপিক্সে…….
আমার খুব ইচ্ছা ওনার পাখির খামারে একদিন বেড়াতে যা। কিন্তু পেশাগত কারনে আর দূরত্ব থাকায় যাবো-যাবো করে এক বছরের বেশি কেটে গেছে। হঠাৎ একদিন তাকে ম্যাসেজ করলাম, তার ফেসবুকের ইনবক্সে। “লিখলাম, ভাইয়া আমি আপনার খামারে ভিজিট করতে চাই।”
উনি বললেন,আসতে পারেন, কিন্তু একটা শর্ত আছে। আমি ভাবলাম, হয়তো ওনার খামারের ভিজিটিংয়ে কোন নিওম কানুন হয়তো হবে। যে কারো খামারেই তো অনেক রেস্ট্রিকশন থাকে, ওনার ও হয়তো এমন কিছুই থাকবে।
আমি কথা না বাড়িয়ে বললাম ঠিক আছে।
উনি বললেন আপনারা কতজন আসবেন।
আমি বললাম ৩/৪ জনের মতন। বলল, ঠিক আছে। আমি পরোক্ষনে বললাম আপ্নার মোবাইল নম্বরটা পাওয়া গেলে ভালো হ, ডিটেইলস আলাপ করা যেতো। উনি ইনবক্সে নম্বর দিলেন।
আমি কিছুক্ষণ পরেই কল করলাম। পরিচয় দিতেই বুঝে ফেললেন। এবার কথা বলতে বলতে ওনাকে প্রস্তাব দিলাম আগামী মংগল বারে যেতে চাই, আপনার কোন সমস্যা আছে? উনি বললেন ওনার ব্যাক্তিগত কিছু কাজ আছে, সময় দিতে পারবেন না। ওহ, বলা হয় নি; আমি যেই দিন কল করেছিলাম সেই দিন ছিলো রবি বার।
চলবে…………