প্রকৃত বন্ধু আয়না স্বরূপ।’একজন বিশ্বাস নির্ভরযোগ্য বন্ধু জীবনের জন্য নিরাপদ ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নিরাপদ প্রতিষ্ঠান এবং আশীর্বাদ স্বরূপ ও বটে।
ফুল ফোটে রূপে ও গুণে। মিত্রের পরিচয় ফোটে সংকট ও নিদানে।আমরা জানি যে, স্বর্ণ করে নিজ রূপে অপরে শোভিত,প্রকৃত বন্ধুত্বের গুণে জীবন হয় মোহিত।মানুষের জীবনে শুভ-অশুভ নানা কুসংস্কার এবং ভালো মন্দের সাথে জড়িয়ে থাকা স্বর্ণের মতো বন্ধুত্বের কাহিনী আমাদের জীবনে জড়িয়ে আছে।
সতত প্রেমের মহৎ ঔদার্যতা এবং সাবলীল হৃদয় স্বতঃস্ফূর্ত বিশেষ এক সম্পর্কের নাম বন্ধুত্ব। যার হৃদয় অহিংস।যে হৃদয় সদয় বিশ্বাস, নির্ভরতা আর ভালোবাসার বাধভাঙ্গা সম্পর্কের মিলনস্থল। যার কাছে অকপটে মন খুলে দেয়া যায়।যার মাঝে লুকানো যায় সমস্ত উষ্ণতা ও নিরবতা। জীবনের মত জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া যেমন সুন্দর জীবনের পরিচায়ক হতে পারে না বন্ধুত্বহীন জীবনও অনুরূপ ভাবে শ্রী সৌন্দর্যের পরিচয় ফুটে উঠে না।তবে কোন এক সময় মানুষ স্বর্ণের খাঁটি ও মেকী নিয়ে আজকালকার দিনের মত মাথা ঘামাতেন না। ক্রেতা ও বিক্রেতা বলতে সকলেই সকলের কাছ বিশ্বস্ততার সাথে স্বর্ণ বেচাকেনা করতো।এবং মানুষ ও মনুষকে বিশ্বাস করত।
কিন্তু, যত দিন যাচ্ছে ততই যেন স্বচ্ছতা ও বিশ্বস্ততা হ্রাস পাচ্ছে! সব কিছুর সাথে সাথে সোনাতে তো ভেজাল মিশেই যাচ্ছে, ভেজাল মিশে যাচ্ছে বন্ধুত্বেও।তাই এখন ক্রেতারা স্বর্ণ কেনার ব্যাপারে যেমন হতাশ থাকেন,বন্ধুত্বের কাহিনী ঠিক তেমনিভাবে হতাশার সৃষ্টি করে। বলা হয়ে থাকে “স্বর্ণের পরিচয় পাথরে ঘষলে মিত্রের পরিচয় সংকটে পড়লে”।প্রকৃত বন্ধু জীবনের জন্য আয়না স্বরূপ যা, জীবনালোকে প্রতিফলিত করার অপূর্ব এক মহিমাময় শ্রীতে প্রস্ফুটিত হয়।অবশ্য কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জীবনে কিছু কিছু বন্ধু থাকে বৃহস্পতির কোকিল সাদৃশ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে।
জীবন বসন্ত এলে কিবা ধন সম্পদ প্রভাব প্রতিপত্তি দেখে তারা ভীর করে।তবে স্বর্ণ খাঁটি নাকি মেকী তা সনাক্ত করার জন্য স্বর্ণকার যেমন কষ্টি পাথরে ঘষে নিশ্চিত হন, ঠিক তেমনিভাবে প্রকৃত বন্ধু বা, মিত্রের পরিচয় সংকটে পড়লে।স্বর্ণ যেমন নিজ রূপে অপরে শোভিত করে বন্ধু ও ঠিক তেমনি খাঁটি সোনা হতে হয়।তবে সোনা মেকি হলে শুধরে নেয়া যায় কর্মকার আছে কিন্তু বন্ধুত্বে নির্ভেজাল না হলে কোন কর্মকার শুধরে দিতে পারে না। রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় স্বর্ণের গহনাকে শোধনের জন্য ঘর্ষণ, পোড়ান এবং ধৌত করার পর স্বর্ণের রঙ ঠিক ঙথাকলে যেমন স্বর্ণকার তা নির্ভেজাল ও খাঁটি মনে করেন, একইভাবে বিপদ ও সংকটের সময় যে নিজের সম্পূর্ণ দরদমাখা হৃদয় থেকে সর্বোচ্চ সেবা শুশ্রূষা ও ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকেন, উদারতা প্রদর্শন করেন এবং হাজার ব্যস্ততার মধ্যে থেকেও ব্যস্তহীন মনে সান্ত্বনা দেয় মনে করতে হবে যে সেই গুণী এবং প্রকৃত বন্ধু।
শিরোনাম: জ্ঞানের শিকারী
মুহা. কবির হোসেন
কলম সৈনিক কলম তোমার
হীরা মণি দেখে দাম,
তামাম জাহান ফলাও ফসল
স্বর্ণ উজ্জ্বল কালির নাম।
যাদুকরী সার হরফ তোমার
বুকের রত্ন ধন মান,
ঊষার পলক সন্ধ্যা তারাও
স্বপ্ন দেখে তনু মন।
শাহান শাহী বীর বাহাদুর
রৌদ্র ঝলক সৌম্য শান,
মহান শক্তি হাতে তোমার
কর আবাদ দো-জাহান।
উপমা তোমার সমানে সমান
গুণী শহীদ গাজী সওদাগর,
জ্ঞানের শিকারী কলম মহান
কলম সৈনিক নাম তোমার।
শেকড় হতে উচ্চ শিখর
অথৈ সীমানা পার হবার,
কলমের সাথে বিশ্ব সবার
প্রাণ সমাচার এপার ওপার।