আজকের এই পাঠে আমরা আলোচনা করবো প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন্য সমস্যা সম্পরকে।এর আগের পাঠে আমরা আলোচনা করে ছিলাম প্রতিবন্ধীতার প্রকারভেদ এবং কারন।চলেন আজকের পাঠ শুরুঅ করি।
প্রতিবন্ধীদের অনেক সমস্যা রয়েছে।তারা আর সবার মতো সমাজে বসবাস করতে পারে না।সমাজের মানুষের কাছে অনেক অবহেলিত হতে হয় এদের।মানুষ তার দেহ বা মনের মাধ্যমে কর্মে ততপর হয় কিন্ত এই দেহ বা মন ভালো না থাকার কারনে তাদের জীবনে নেমে আসে হতাসার অমানিশা।অনেকেই এজন্য প্রতিবন্ধী জীবনকে অভিসপ্ত বলে মনে করেন।কোন সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা তাদের থাকে না।অন্ধ প্রতিবন্ধীদের জীবন আরো করুন তার কারন তারা দেখতে পায় না অন্যের অপর নির্ভর করতে হয়।তারা এই সুন্দর পৃথিবীর কোন রুপ দেখতে পায়না।অন্ধ প্রতিবন্ধীদের মা-বাবা মারা গেলে তারা আরো অসহায় হয়ে পরে। প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে শিক্ষা সবথেকে অবহেলিত বিষয়।শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবেশে তাদের অনেক সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়।ব্যক্তি,সমাজ ও সিক্ষাপ্রতিস্টহানপরিচালোনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অজ্ঞতা নেতিবাচক মনভাবের কারনে প্রতিবন্ধীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে অবহেলিত হচ্ছে।
প্রতিবন্ধীদের পেশা ও কর্মসংস্থানের সুগোগ নেই বললেই চলে যেখানে বা আছে সেখানেও তাদের অবহেলায় রাখে আর সবার মতো বেতন দেয় না। তাছারা যুক্তি সঙ্গত কারন ছারাই তাদের কাজ থেকে ছাতাই করা হয়।প্রতিবন্ধীরা সবসময় সামাজিক ও মানসিক সমস্যায় ভুগতে থাকে।সয়ামজের মানুষেরা এদের অপয়া মনে করে।প্রতিবন্ধীদের মুখ দর্শনকে অশুভ মনে করে।
প্রতিবন্ধী কিশোরী ও মহিলাদের অনেক সমস্যা তাদের সমাজে অনেক ছোট চোখে দেখে । দু-চারজন ধনী মানুষ যারা তাদের মেয়েদের অনেক টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে দেয় বা ঘরজামাই রাখে। বাধা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকায় অনেক সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়।বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী মেয়েদের যৌন নির্যাতনের হার অনেক বেশি।
অনেক সময় প্রতিবন্ধীদের নিজ পরিবারেও অবহেলায় অযত্নে মানুষ হয়। মৌলিক অধিকার ভোগেও এরা বাঞ্চনার শিকার হয়।
আমাদের সবার উচিত এদের সাথে ভালো ব্যাবহার করা। আমারাও তো এমন হতে পারতাম বা হতে পারি।
সবাই ভালো থাকবেন নিজের খিয়াল রাখবেন।