Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব ?

আমাদের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব ? যেহেতু প্রবাসী কল্যান ব্যাংক থেকে অত্যধিক সুবিধার সাথে লোন গ্রহণের সুযোগ আছে তাই প্রত্যেকে এর লোন পদ্ধতির সম্পর্কে জানতে চেয়ে থাকেন। তবে আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিতে হয় সে ব্যাপারে জানতে চেয়ে থাকেন তবে একেবারে সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। আজকের আর্টিকেলে প্রবাসী কল্যান ব্যাংক লোন পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কিভাবে লোন নিব ?

প্রবাসী কল্যান ব্যাংক গ্রাহকদের চার পদ্ধতিতে লোন প্রদান করে থাকে, যথা;

১. অভিবাসী ঋণ

২. পুনর্বাসন ঋণ

৩. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ

৪. বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

নিচে উপরোক্ত চারটি ঋণ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো বিস্তারিতভাবে।

১. অভিবাসী ঋণ

অভিবাসী লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট বা নিয়ম আছে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।

অভিবাসী লোন নেওয়ার যোগ্যতাঃ

১. বাংলাদেশের বৈধ এবং স্থায়ী নাগরিকত্ব (১৮ বছর বা তার উর্ধ্বে হতে হবে)।

২. প্রবাসে চাকুরি এর জন্য বৈধ ভিসা।

৩. মূল গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে ঘনিষ্ট কারো তার ঋণ প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ।

৪. লোন নেওয়ার মতো আর্থিক সচ্ছলতা।

যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজনঃ

১. ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট থেকে লোনের আবেদন ফ্রম গ্রহণ করতে হবে।

২. আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানার কাগজপত্র প্রদান করতে হবে।

৩. আবেদনকারীর ৩ কপি রঙিন ছবি (সদ্য তোলা হতে হবে) এবং এনআইডি (জাতীয় পরিচয় পত্র) এর ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

৪. আবেদনকারীর জামিনদার এর ২ কপি ছবি (সদ্য তোলা) এবং জাতীয় পরিচয়পত্র এর ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।

৫. শারীরিক যোগ্যতা সার্টিফিকেট (Medical Certificate)।

৬. লোন নেওয়ার সময় আবেদনকারীর বীমা সেবা নিতে হবে।

অভিবাসী ঋণ এর ক্ষেত্রে শতকরা সুদের হার ৯ টাকা। অবস্থানরত দেশের ভিসা মেয়াদ অনুযায়ী গ্রহনকৃত ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

২. পুনর্বাসন ঋণ

প্রবাসীদের দেশে ফিরে বেকারত্বের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প বাস্তবায়নের জন্য এই ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়। পুনর্বাসন ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব রিকোয়ারমেন্ট আছে সেগুলো নিচে প্রদান করা হলোঃ

পুনর্বাসন লোন নেওয়ার যোগ্যতাঃ

১. বাংলাদেশের বৈধ এবং স্থায়ী নাগরিকত্ব।

২. বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সকল বৈধ কাগজপত্র (প্রমাণপত্র স্বরূপ)।

৩. আবেদনকারীর সম্পত্তির মালিকানা সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র।

৪. বিদেশ ফেরত আসার ৫ বছরের মধ্যে ঋণ গ্রহণ করতে হবে।

যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজনঃ

১. আবেদনকারীর ৩ কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি এবং এনআইডি কার্ড এর ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।

২. বিদেশ থেকে দেশে ফেরার এবং বিদেশে যে কাজ করেছিলেন সেসব কাজের প্রমাণপত্র।

৩. প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করা জায়গা নিজস্ব যে নিজস্ব মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ভাড়াকৃত হলে সে সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র।

৪. উক্ত প্রকল্পের জামিনদারদের বৈধ সকল কাগজপত্র প্রদান।

৫. যোগাযোগ সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র।

পুনর্বাসন ঋণ এর শতকরা সুদের হার ৯ টাকা। প্রকল্প অনুযায়ী ঋণের সময়সীমা নির্ধারণ হবে।

৩. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ

যেকোনো ব্যবসা বানির্জ্য, কৃষিখাত, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই ঋণ প্রদান করা হয়। আপনি যদি উক্ত ঋণ গ্রহণ করতে চান তবে নিচের দেওয়া লিংক থেকে এই ঋণ এর সকল রিকোয়ারমেন্ট, যোগ্যতা, সুদের হার, সময়সীমা সংক্রান্ত তথ্যাদি পড়ে নিন। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ পদ্ধতি

৪. বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ

বিশেষ পূর্নবাসন ঋণ প্রকল্পটির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পিডিএফ আকারে দিয়ে দেওয়া হলো। আপনারা যারা বিশেষ পূর্নবাসন ঋণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বা ঋণ গ্রহণের আগ্রহী তারা নিয়মগুলো পড়ে নিবেন।  বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ পদ্ধতি

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন আবেদন ফর্ম অনলাইন থেকে ডাউনলোড করুন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় মোবাইল নাম্বার

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ তথ্য এই লিংকে পাবেন: https://probashi.portal.gov.bd/forms/form/feedback

প্রবাসীদের জন্য কল সেন্টার

সর্বশেষ

আজকে আপনাদের প্রবাসী কল্যান ব্যাংক ঋণ পদ্ধতি সম্পর্কে বললাম। এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন। গ্রাথোরের সঙ্গে থাকবেন।

রিলেটেড প্রশ্ন:

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়ম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার নিয়ম

Related Posts

10 Comments

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No