যারা বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকুরির পরীক্ষায় অংশ নিবেন তাদের জন্য বাংলাদেশ বিষয়াবলীর উপর নানারকম প্রশ্ন থাকে। এরমধ্যে প্রাচীন বাংলার শাসন ব্যবস্থাগুলো থেকেও প্রচুর প্রশ্ন থাকে। তাই বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় ভাল নম্বর পেতে সে সময়কার রাজাদের সম্পর্কে আমাদের বিষদ জ্ঞান রাখা উচিৎ। আজকে থাকছে প্রাক সুলতানী আমলের রাজাদের সম্পর্কে। লেখাটিতে খুবই সহজভাবে তথ্য তুলে ধরেছি। এত সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপনা অন্য কোথাও পাবেন না।
প্রাক সুলতানী আমলের রাজা ও তাদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী:
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য
১। সর্ব প্রথম সর্বভারতীয় সম্রাট
২। মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা
৩। ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে গ্রীকদের বিতরণকারী।
সমুদ্রগুপ্ত
১। গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা
২। সমুদ্র গুপ্তকে ভারতীয় নেপোলিয়ন বলা হয়।
আলেকজাণ্ডার
১। ভারত বর্ষে আসেন খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৭ অব্দে
২। আলেকজাণ্ডারের গৃহশিক্ষক ছিলেন অ্যারিস্টোটল।
শশাঙ্ক
১। গৌড় রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা
২। গৌড়ের স্বাধীন নরপতি ছিলেন
৩। গৌড় বংশের শক্তিশালী রাজা
৪। কর্ণসুবর্ণ ছিল শশাঙ্কের রাজধানী
৫। মহাসামন্ত ছিল শশাঙ্কের উপাধি
৬। হিউয়েন সাং শশাঙ্ককে বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী বলেন।
হর্ষবর্ধন
১। শশাঙ্কের পর গৌড় বংশের দায়িত্ব নেন হর্ষবর্ধন।
পাল বংশ (এখানে বেশ কয়েকজন শাসকের নাম পাওয়া যায়। যাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মাত্র ১-২টি করে জানা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এদেরকে বংশ হিসেবে সাজানো হলো:
১। প্রতিষ্ঠাতা হলেন গোপাল
২। শ্রেষ্ঠ রাজা – ধর্মপাল
৩। শেষ রাজা – রামপাল (রামপাল নওগাঁর সোমপুর বিহার নির্মাণ করেন)।
সেন বংশ
প্রতিষ্ঠাতা হলেন হেমন্ত সেন
শ্রেষ্ঠ সম্রাট বিজয় সেন
কৌলিণ্য প্রথার প্রবর্তক বল্লাল সেন
লক্ষণ সেন – সেন বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা, বাংলার শেষ হিন্দু রাজা। তিনি নদীয়ায় রাজধানী স্থাপন করেছিলেন।
বাংলার প্রাচীন ইতিহাসগুলো মনে রাখা খুবই কষ্টকর। কিন্তু এভাবে গুছিয়ে পড়তে পারলে খুবই সহজে মুখস্ত করা যায় ও দীর্ঘদিন মনেও রাখা যায়। এভাবে গুছিয়ে তথ্য পাওয়ার জন্য জিআরঅটোর এর সাথেই থাকুন।