প্রেম ধর্মে আত্ম দর্শন
মুহা. কবির হোসেন
নিশ্চয় -ই পেত বিশ্ববাসী
মানবতার আজ মহা-যুগ,
এ ধুলির ধরাতেই স্বর্গ আশ্বাসী
বিধাতার সাজে না হত বিমুখ।
তিক্ত হলেও সে সত্য সুধাই
কলুষমুক্ত নই প্রেমার্জন ,
ধর্ম-ই যেন বিবাদ সাংঘর্ষিক তাই
শতদা বিভক্তে হারাই ধন।
যুগ জিজ্ঞাসার সে প্রেক্ষাপটে
কি আছে তোমার কর অর্পণ,
মানব হয়ে হীনতার দৃশ্যপট
স্বভাবতই যে মানবতার নির্বাসন!
ভূলুন্ঠিত দেখিত ঐশ্বরিক শান্তি
মানবতার বুকেত রক্ত ক্ষরণ,
সংকিত নইত নির্লজ্জ ভ্রান্তির
অসার কূপে সত্যর,যে মরণ।
চিন্তা জগতের দ্বার বুলন্দ
ভাবিতে বিদ্বেষ কি আত্ম করণ?
জিজ্ঞাসিত হও আপন শুদ্ধ
পাব তার বিশেষত্ব ও ধরণ।
শান্তির পায়রা উড়িয়ে তেপান্তর
লোভিবে বুঝি বিস্ময় বিস্ফোরণ,
ভ্রান্তির যারা পাঁয়তারা সে নিরন্তর
লুটিবে তোমার সেই আস্ফালন।
নশ্বর দেহের অবিনশ্বর আত্মা
জড়পদার্থের কভু নয় আস্তরণ,
উৎকৃষ্টতর এ রত্ন জান হাকিকত
আলমে আমরে-ই যে হয় পূনর্গমন।
নির্দেশিত রত্ন যত্নে পরিশুদ্ধ
চাও পাবে বিধাতার সন্দর্শন,
সৃষ্টিতে তোমার মহত্ত্বের অস্তিত্ব
দাও পেতে সবের সৎদর্শন।
মানব আমি অবিনশ্বর আত্মার
চাই পূত স্বচ্ছতার-ই দর্পণ,
সম্ভব জানি বিশ্ব শান্তির অস্বচ্ছতা
ছাই করে দেব ,স্বচ্ছতা অর্পণ।
ঐশ্বরিক আমি মহা শক্তির
ভূলুন্ঠিত’র তরে নয় জনম,
অসীম শক্তির হয়ে প্রেমাসক্ত
কুণ্ঠাবোধ কিসের নিরাকারে প্রেমার্জন?
কালের নির্ভীক অথৈস্রোতে ধীর
বজ্র তুফানেও অজেয় সন্তরণ,
সেই সে নাবিক প্রেম ধার্মীক
বিস্ফোরণ হয় যার আত্মদর্শন।
বিস্ময়ের বিস্ময় সেই সে বিশ্ব
প্রেম ভ্রাতৃত্ব সাম্যে সহিষ্ণুমন,
নশ্বর আমি অবিনশ্বর আত্মার
প্রেম ধর্মে হবে আত্ম দর্শন।
সংক্ষেপিত —————
স্বর্ণোজ্জ্বল সোনালী স্বপ্ন
এই পৃথিবীর সূর্যরশ্মী আমি দেখেছি ক্ষণকাল
দেখেছি চাঁদ তারা উজ্জ্বল আর শুকতারাটারও হাল।
পেয়েছি আমি জীবন সূর্যই উজ্জ্বল যে সর্বকাল
রামধনুর সাতরঙ অপেক্ষা রঙিন আমার এজীবনকাল
রঞ্জন রশ্মি দেখেছি ছেপে স্বচ্ছ দেহ অভায়ব
মন্ত্রের সুর যেন ছাপে শাহ্নাঈ বাদ্যযন্ত্র তব।
জীবন যন্ত্র লিখে সমস্ত রঙিন স্বপ্ন ও অভাব
দুঃখ কষ্ট সহে যে হাসে রঙিন এ ধরনীর সে রব।
রামধনু তার রঙ হারায় নীলে অম্বরী অতলে
শুকতারাটাও চাই সূর্যের আভাসে ভারী ঝলমলে
মানুষ কেবলই যে তাঁর মনুষ্য চমকায় মহৎউজ্জ্বল
সুখকর অস্তহীন সূর্যে ভাসে অনন্ত আকাশে জ্বলজ্বল।
আকাশ ছোঁয়া বাহারি রঙের স্লোগানে ভরা
সসীম দেহের মাঝে অসীম জাগ্রত মোরা।
সোনারোদের ঝলমলানি শিশিরের মত পান্না হীরা
খসে পড়বে জীবাত্মার সঞ্চালন বলছে মানবাত্মার শিরা উপশিরা।
এই জীবনে রঙের তামাশা তাসের ঘর কাচের
রঙ ফুরাইলে নিরাশা আসে ভাঙবে সুখের ঘর।
রঙ বেরঙের স্বপ্ন আমার নয়নভরা জ্যোতি বলে
স্বর্ণজ্জ্বল সোনালী স্বপ্ন সব গোলাপের মত না ফলে।