ভাই বোনের জন্য কবিতা

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়।

ভাই-বোন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের এবং মধুর সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটি।ভাই জানে বোনের গুরুত্ব কতখানি।সেই ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হওয়া দুইজন এর একসাথে জমে থাকে কতশত স্নৃতি।কখনো তা সুখের,কখনো তা দুঃখের কিংবা কখনো তা মারামারির মতো হয়।কিন্তু তাই বলে তাদের মধ্যকার ভালোবাসা কখনো বিন্ধুমাত্র কমে না।

ভাই-বোন এর দুইজনের থাকে নাড়ির টান, আত্নার সম্পর্কে বাধা দুটি প্রাণ।তাদের মধ্যকার সম্পর্কে কখনো হয়তো ভালোবাসা থাকে,কখনো ফাটল ধরে কিংবা সেই ফাটল কখনো বেশিদিন বজায় থাকেনা। তাদের সম্পর্কটাই এমন কেউ কখনো কারো সাথে বেশিদিন রাগ করে থাকতেই পারে না।

সারাজীবন একসাথে বড় হওয়া দুটি এক সময়্ব আলাদা হয়ে যায়।বোন চলে যায় অন্যের বাড়ি। ভাই সেই কষ্টের স্নৃতিগুলো আকড়ে ধরে বেঁচে থাকে। হঠাৎ বিচ্ছেদে তারা কখনো একজন আরেকজন ভুলে থাকেনা। বরং সেই সুখ দুঃখের খুনসুটিগুলো নিয়ে বেঁচে থাকে।

সেই সকল ভাই-বোনদের উদ্দেশ্য করে আমি আজ একটি কবিতা নিয়ে এসেছি।আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

ভাই-বোনের সম্পর্ক কেমন হয়
তা- আর অজানা নয়
দিনের আলোতে না রাতের আধারে
বোনদের চোখের জল না আর থামে

চারদিন হলো আজ তোদের চোখের জল
না পারি মুছে দিতে না পারি শান্তনা দিতে।

মায়ের মুখের দিকে তাকাইনি সেদিনের পর
যেদিন থেকে মা কান্না চেপে রাখে আচলে
যেদিন থেকে বাবা হাহাকার করে কথা বলে
সেদিনের পর বলিনি কথা বাবার সনে।

শুধু ক্ষমা করো আমায় আমি ছাড়া আরেক ছেলে যে
আছে তোমাদের, ভাই যে আছে তোদের, তাকে নিয়ে থাকবি সুঃখে দুঃখে
আমি না হয় চির দুঃখি কাটাব দুঃখে চিরকাল

আমি যে কান্নার সাগরে থেকে এখন তোদের সামান্য
চোখের জলে ভাঙেনা বুকা আমার, জানি কখনো কাদিসনি এতো তবুও
বলি সাগরের কাছে কয়েক ফোটা জলের অস্তিত্ব বিলীন,
কি করে আমার বুক ভাঙবে,
কি করে আমার অনলের ধাবিত বুকে আঘাত লাগবে?

শান্তনা নেই আমার কিছু থাকিস না মা আমার পিছু থাকিস নে…………

চলে যেতে দে আমায় আমার মত করে
যেখানে সকালের আলো পৌছায় না
চিরকাল থাকে আমনিশার অন্ধকার
যেতে দে আমায়,যেতে দেয়

ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন

Related Posts

46 Comments

মন্তব্য করুন