পুরকৌশল কতটি শুনে অনেকে হয়তো গাবড়ে গেছেন। কথা বলছি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পাশের পর শিক্ষার্থীরা অনেকে বুঝে উঠতে পারেনা যে তিনি কোনো বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন। তাই আজকের আলোচনার বিষয় হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো ডিজাইন ,কনস্ট্রাকশন এবং রক্ষনাবেক্ষন এর প্রকৌশলী বিজ্ঞান। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংকে প্রকৌশলী বিদ্যার মা বলা হয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হলো সবচেয়ে পুরানো ,বড় এবং সকল প্রকৌশলী জ্ঞানের সমন্বয়ে গঠিত। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অনেক ভাগ রয়েছে। নিচে সেই সকল ভাগগুলো দেয়া হলো :
১.মৃত্তিকা প্রকৌশল।
২.স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল
৩.পরিবহন প্রকৌশল
৪.পানি সম্পদ প্রকৌশল
৫.পরিবেশ প্রকৌশল
৬.ভূমিকম্প প্রকৌশল
৭.নগর উন্নয়ন বা নকশা প্রকৌশল
সাধারণত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ হলো পরিকল্পনা ডিজাইন ,গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করা। সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা মাঝে মাঝে জরিপের কাজ ও করে থাকে,প্রতিবেদন আদান প্রদান করে আবার প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের পরিসর বাড়ছে। যার প্রতিফলনে তাদের কর্মক্ষেত্রে নতুন নতুন কর্মপরিসর যুক্ত হচ্ছে।
বর্তমানে শিক্ষার্থীরা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দিকে ঝুঁকছে। দেশে বিদেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়াদের কর্মক্ষেত্রে রয়েছে বিরাট সম্ভাবনার দ্বার। একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেতন ৩০০০০ থেকে ৪০০০০ হাজার থেকে শুরু হয়। অভিজ্ঞতা এবং যোগ্যতা অনুসারে বেতন পরিধি আরো বাড়তে পারে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এর হাতছানি। যত্ন কিছু করে দেখানোর সুযোগ।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হলে অবশ্যই গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞান এ ভালো দক্ষতা থাকতে হয়। তাছাড়া বিভিন্ন কাজে কিছু কিছু নকশা বা ডিজাইন সম্পর্কিত সফটওয়্যার এ দক্ষ হতে হয়। যেমন :
১.অটোক্যাড
২.অটোক্যাড সিভিল ৩ ডি
৩. রেভিট
৪.ইন্ফ্রাওয়ার্ক
৫.স্যাপ ২০০০ ইত্যাদি।
এছাড়াও একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে চাইলে কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি কিছু কিছু দক্ষতাও থাকতে হয়। যেমন :
১.আপনার মাঝে সৃজনশীলতা থাকতে হবে।
২.ড্রয়িং বা আঁকাআঁকিতে পারদর্শী হতে হবে।
৩.আপনার মাঝে কোনো কিছুই ব্যাপক আকারে বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন বলে মনে হয় তাহলে দেরি না করে আজই ভর্তি হতে পারেন পুরকৌশল বা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ।