ফটোগ্রাফি করে অর্থ আয়, অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়, এডিটিং করে অনলাইনে ইনকাম সহ ইত্যাদি বিষয়বস্তু গুলো সম্পর্কে নিশ্চই আপনি আগে থেকে জানেন। আমাদের আজকের আর্টিকেলের টাইটেল দেখে মোটেও এটা ভাববেন না, যে আমরা অনলাইনে কোনো অ্যাপ বা ওয়েবসাইট দ্বারা ছবি সেল করে আয় করার বিষয়ে বলছি।
আজকের আর্টিকেলটা থাকছে একদম ভিন্ন একটি পদ্ধতিতে, যেখানে আমি আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো কিভাবে ফটোগ্রাফি বা এডিটিং দ্বারা নিজের ইনকাম ক্যারিয়ার এর শুরুটা আপনি করতে পারেন। আমি মনে করি, এমন টিপস নিশ্চই আপনাকে আগে কেও দেয়নি। অবশ্যই আর্টিকেলটা একটু মনোযোগ সহকারে পড়বেন, কেননা প্রশ্নটা যখন ইনকাম ক্যারিয়ার নিয়ে তখন একটু কষ্ট তো অবশ্যই করতে হবেই। তবে চলুন শুরু করা যাক।
ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং দ্বারা অর্থ উপার্জন করবেন কিভাবে?
শুরুতে বলি ফটোগ্রাফি সবসময়ের মতই একটি ভালো শখ এর পাশাপাশি অনেক ভালো প্রফেশন। যদি আপনি লক্ষ করেন তাহলে দেখবেন আজ অসংখ্য ফটোগ্রাফার তাদের শখ পূরণের পাশাপাশি আয় করছে। সত্যি বলতে আমি নিজেও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালোবাসি, পাশাপাশি ছবি এডিট, ভিডিও এডিট ইত্যাদি করতেও ভালোবাসি। প্রথম টিপস হচ্ছে ,ফটোগ্রাফি করে যেহেতু ইনকাম করার কথা আসছে তখন আপনার অবশ্যই একটি DSLR থাকতে হবে। তবে চিন্তার কারণ নেই আমি আপনাকে একা কিনতে বলছি না। আপনার নিশ্চই একটি ফ্রেন্ড সার্কেল আছে। যেখানে আপনারা সবাই আড্ডা দেন। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল মিলে একটি ক্যামেরা কিনতে পারেন।
দ্বিতীয়ত আপনার কাজ হচ্ছে যেকোনো ছবি তোলা, এই কাজটা আপনি ফ্রীতে করতে পারেন প্রথমত। আপনার কাজ হচ্ছে বিভিন্ন মডেল বা যেকোনো ছবি তুলে সেটিকে এডিট করে অনলাইন প্লাটফর্মে পাবলিশ করা। এক্ষেত্রে আপনি একটি ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো আমি কিন্তু বলছি না আমরা ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব দ্বারা আয় করবো। এটিকে আপনারা মার্কেটিং হিসেবে ধরতে পারেন। আপনি আপনার ফেসবুক পেজে আপনার এডিট করা ছবিগুলো পাবলিশ করতে পারেন, সাথে আপনার ফটোগ্রাফি লোগো এবং আপনার নাম্বার দিয়ে দিবেন লোগো আকারে। ছবির একপাশে লিখতে পারেন: For Premium Photo Edit Service, Call Me (আপনার নাম্বার)। একইসাথে আপনি আপনার এডিট করা ছবি বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করে দিতে পারেন আপনার পেজ থেকে। এতে সবার আপনার ছবি এডিট এবং ফটোগ্রাফি ভালো লাগলে আপনার সাথে যোগাযোগ করে আউটডোর শুট এর জন্য অর্ডার করবে। একটা সময় আপনার কাজে অনেক জায়গা থেকে কাজের অর্ডার আসতে থাকবে।
তৃতীয়ত ইউটিউব চ্যানেল আপনি আপনার পেজের নাম অনুসারে খুলবেন, এবং একটি ছবি এডিট করতে আপনি কি কি করেছেন সেগুলো টিউটোরিয়াল হিসেবে বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তে আপলোড করবেন।
সত্যি বলতে ফটোগ্রাফি, ছবি এডিট, ভিডিও এডিট সম্পর্কিত চ্যানেলগুলো ইউটিউবে দ্রুত রেঙ্ক করে। কেননা এসব বিষয় নিয়ে মানুষের বেশ চাহিদা আছে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকেও আয় করতে পারবেন। আসা করি পুরো বিষয়টা আপনাদের বুঝাতে পেরেছি।
সর্বশেষ পরামর্শ: বন্ধুরা আমি আপনাদের ফটোগ্রাফি এবং এডিটিং দ্বারা অর্থ আয় করার বিষয়ে ধারণা দিলাম। আমি আবারও বুঝিয়ে দিচ্ছি, শুরুতে আপনার বন্ধুদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করুন। যদি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চান কিছুটা ইনভেস্ট অবশ্যই করতে হবে। সবাই মিলে একটি ভালো ক্যামেরা নিয়ে নিন। পরবর্তীতে ছবি তুলুন, এবং সেগুলো সুন্দর ভাবে এডিট করুন। ফটো এডিট বা ভিডিও এডিট নিয়ে ইউটিউব তে অনেক ভিডিও পাবেন।
আপনার ফেসবুক পেজে মেম্বার ইনভাইট করুন, পাশাপাশি আপনার এডিট করা ছবিগুলো বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করুন। অবশ্যই আপনার লোগো থাকবে যেখানে আপনি পেইড এডিট এর জন্য নাম্বার দিয়ে দিবেন। ইউটিউব চ্যানেলটিতে আপনি আপনার এডিট গুলো ভিডিও হিসেবে তৈরি করে আপলোড করে দিন। এক্ষেত্রে ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে আপনি প্রচুর অর্ডার পাবেন। আর এই বিজনেসের ভালো উদাহরণ হচ্ছে চিত্রগল্প ফেসবুক পেজ। চিত্রগল্প পেজের সাথে অনেকে পরিচিত।
তারাও মূলত এই পদ্ধতিতে তাদের ইনকাম ক্যারিয়ার গড়তে সক্ষম হয়েছে। এমনকি আজ তারা সফল পর্যন্ত হয়েছে। পরিশেষে বলব, যেকোনো কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে আপনাদের অবশ্যই উক্ত কাজ করার ধৈর্য্য, মনমানসিকতা থাকতে হবে। নাহলে আপনারা কোনো কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। আর এখনকার সময়ে কাজ ছাড়া কেও আপনাকে এক টাকাও দিবে না। আজ শেষ করছি এইটুকুতে, আর্টিকেলটা নিয়ে যেকোনো মতামত অবশ্যই আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। আল্লাহ হাফেজ