ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে যা করণীয়। ফেসবুক একাউন্ট হাসিকেডি – আজকের দিনে ফেসবুক একটি সর্বাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম। সারা বিশ্বে, দৈনিক হিসেবে, ফেসবুক প্লাটফর্মে একটিভ ইউজারের সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন।আমরা প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহার করি ঠিকই কিন্তু ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ রাখতে আমরা কতটুকু সচেষ্ট?
একাউন্টকে হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে আমরা যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করছি কি? নিরাপদে ফেসবুক ব্যবহারের জন্য, ফেসবুক একাউন্টকে হ্যাকিং থেকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই পোস্টে আমরা জানব ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে কী কী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
ফেসবুক একাউন্ট হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে যা করণীয়। ফেসবুক একাউন্ট হাসিকেডি
১.শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারঃ
ফেসবুকে একাউন্ট তৈরি করতে গেলে আমরা আমাদের পছন্দমতো পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু আমাদের ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড কতটা নিরাপদ? পাসওয়ার্ড তখনই নিরাপদ হবে যখন এটি শক্তিশালী হবে। শক্তিশালী পাসওয়ার্ডে বড় ও ছোট হাতের অক্ষরের পাশাপাশি চিহ্ন ও সংখ্যা থাকে।
তবে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলেই যে ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ তেমন নয়। কেননা যদি প্রতিটি ওয়েবসাইটে সাইন আপ বা রেজিস্টার করার জন্য আমরা একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি তবে আমাদের তৈরিকৃত প্রতিটি একাউন্টের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
প্রতিটি একাউন্টে পৃথক পৃথক শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একাউন্টের নিরাপত্তা অনেকাংশে নিশ্চিত করা সম্ভব। কেননা, এখন এমন অনেক সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে পাসওয়ার্ড বের করে ফেলে। তাই পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হলে অনুমান বা যেকোনো কৌশলের মাধ্যমে তা বের করা এবং একাউন্টের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া উভয়ই কষ্টসাধ্য হবে।
২.মোবাইল নাম্বার ভেরিফিকেশনঃ
ইউজারের অনুমতি ব্যতীত কোনভাবে ফেসবুক একাউন্টে লগিন করা হলে ফেসবুক অপট-ইন ফিচারের মাধ্যমে অর্থাৎ টেক্সট মেসেজ অথবা ই-মেইলের মাধ্যমে ইউজারকে সতর্ক করে। এ কারণে একাউন্টে ইউজারের মোবাইল নাম্বার এড করে ভেরিফাই করে নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে ফেসবুক সেটিংসে প্রবেশ করে একাউন্ট ও পার্সোনাল ইনফরমেশন মেন্যু হতে কনট্যাক্ট ইনফো অপশনে ক্লিক করে ফেসবুক একাউন্টে মোবাইল নাম্বার এড করা যায়।
৩.সেফ ব্রাউজিং ফিচার ব্যবহারঃ
ফেসবুকে এমন অনেক পোস্ট পাওয়া যায় যেগুলোতে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া থাকে এবং আমরা অনেকেই মাঝে মাঝে সেই লিংকগুলোতে প্রবেশ করি। তবে সব সময় আমাদের ক্লিক করা লিংকগুলো যে নিরাপদ হবে অর্থাৎ লিংকগুলোর মাধ্যমে আমরা যে সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ ওয়েবসাইটেই পৌঁছে যাব এমন কোন নিশ্চয়তা নেই।
তবে ফেসবুকের “সেফ ব্রাউজিং” নামক ফিচারটি আমাদের সেই নিশ্চয়তা দিতে পারে। ফেসবুক সেটিংসে প্রবেশ করে পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি মেন্যু হতে সেফ ব্রাউজিং অপশন অন করে নিলে ফেসবুক হতে কোন ধরনের লিংকে প্রবেশকালে উক্ত লিংক স্প্যাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে ফেসবুক ওয়ার্নিং প্রদর্শন করবে।
৪.একটিভ সেশনস চেকিংঃ
বিভিন্ন ডিভাইস থেকে একই একাউন্টে লগিন করা হলে প্রতিটি ডিভাইসে একাউন্টটির লগিন সেশন একটিভ থেকে যায়। যাতে করে একাউন্টটি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।ফেসবুক সেটিংসে প্রবেশ করে পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি মেন্যুতে গিয়ে “হোয়্যার ইউ আর লগড ইন” অপশনের পাশে “সি অল” অপশনে ক্লিক করলে সকল একটিভ সেশন দেখা যাবে। সেখানে কোন অপরিচিত ডিভাইস বা ডিভাইসের নামের উপরে অপরিচিত জায়গার নাম দেখা গেলে নামের পাশে থ্রি ডট আইকনে ক্লিক করে ঐ ডিভাইস থেকে লগ আউট করা যাবে।
৫.ব্যবহারের পর লগ আউটঃ
নিজের ব্যক্তিগত ফোন বা ডিভাইস ছাড়া অন্য কোন ডিভাইস হতে একাউন্টে লগিন করলে উক্ত ডিভাইসটি অন্যের হাতে দেয়ার আগে অবশ্যই একাউন্ট থেকে লগ আউট করে নেয়া উচিত।এ কাউন্টকে হ্যাকিং থেকে বাঁচাতে এই সাধারণ কাজটি কখনোই অবহেলা করা উচিত নয়।
ফেসবুক একাউন্ট নিরাপদ রাখতে উপরিউক্ত সতর্কতাসমূহ অবশ্যই মেনে চলা উচিত। পাশে থাকুন, সাথেই থাকুন, আর পড়তে থাকুন Grathor । আর যুক্ত থাকুন গ্রাথোর ফেসবুক Group এ।