আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ। আশা করি সবাই ভাল আছেন।অবশ্য এই সময়ে আরো ভাল থাকার কথা।কারন পুরো দেশ এখন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে।তার যে একটাই কারন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতেছে।কি এই কথাটা বারবার শুনতে ইচ্ছা হচ্ছেনা? হ্যা বারবারই শুনতে ভাল লাগারই কথা।এ যেন এক স্বপ্নের বাস্তবে রুপান্তরিত হবার গল্প।হোকনা সেটা জুনিয়র দের বিশ্বকাপ।বিশ্বকাপের ছোয়া তো পেল পুরো বাংলাদেশ।এটা আমাদের কাছে এমন এক আবেগ যেটা বারবার বলতে ইচ্ছে করে,যে স্বপ্নটা ছিল আমাদের বহুদিনের। আজ সেই স্বপ্নের সাক্ষী হল পুরো দেশ। এবারেই অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম বারের মত ওঠে বাংলাদেশ। আইসিসির কোনো ইভেন্টে আমাদের প্রথম বার ফাইনালে ওঠা আর প্রথমবারেই বাজিমাত।গতকাল বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটাই শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচ।এ ম্যাচে আমাদের টস ভাগ্য ছিল ভাল,টসে জিতে ক্যাপ্টেন আকবর আলী বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। বোলিং এ এসে শুরু থেকেই চেপে ধরেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান দের।একমাত্র জয়স্বাল ছাড়া কেউ ই তেমন বলার মত রান করতে পারেনি।শেষ পর্যন্ত ১৭৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত।রানটা খুব কম মনে হলেও সেটা একসময় খুব কঠিন করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য শুরুটা খুব দুরন্ত হয় তারপর ৫০ রান পার হবার পরেই খেই হারায় বাংলাদেশ। পরপর ৪ টা উইকেট পড়াই ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। এরপর ক্যাপ্টেন আকবর আলী আসেন ক্রিজে।এক প্রান্ত থেকে উইকেট পড়ে গেলেও নিজে থাকেন কুল।লড়তে থাকেন একাই ঠান্ডা মাথায়।মাঝে কিছুসময় বৃষ্টি তে হানা দেয়।তারপর আবার খেলা শুরু হলে তখন আর মাত্র ৭ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের।তারপর জয়সুচক রানটি আসে রাকিবুলের ব্যাট থেকে।প্লেয়ার সহ পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট কে দেখা যায় আনন্দ দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করতে।এ যেন নতুন স্বপ্নের সুচনা,এই দিনটি দেখতেই যেন পুরো জাতি মুখিয়ে ছিল।
এ যেন চোখে জল এনে দেবার দৃশ্য। ছোট বাঘেরা বিশ্ব জয় করে ফেলেছে এটাই তো বড় প্রাপ্তি। কিছুক্ষন পর সব প্লেয়ার দের দেখা যায় গ্যালারি তে আসা বাংলাদেশী দর্শকদের সাথে উল্লাস করতে।তাদের এই উল্লাস ছিল দেখার মতন।কমেন্টেটর থেকে শুরু করে সবাই তখন বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করছে।বিশেষ করে ক্যাপ্টেন আকবর আলী এর কথা না বললেই নয়।তিনি বিপর্যয়ের সময় থেকে একদম শেষ পর্যন্ত যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে খেলে গেছেন তা ছিল আসলেই দুর্দান্ত। টাইগারদের ম্যাচ জয়ের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আরো বেশ কিছু কলেজের ছাত্রদের আনন্দ মিছিল বের করতে দেখা যায়।আরো একটা বিষয় সবার নজরে আসে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনকে ম্যাচ শেষে অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।আসলেই এটা যে কত বড় পাওয়া তা আমরা সবাই জানি।
এবার সবার প্রত্যাশা একদিন বড়দের দল ও বিশ্বকাপ নিয়ে আসবে।
সাকিব আল হাসান vs গ্লেন ম্যাক্সওয়েল!! কে সেরা?? 🙂🙂
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। আমরা সবাই জানি, সাকিব আল হাসান হলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু বর্তমানে তার সাথে তুলনা করা হয় অনেক...