সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা বন্ধুরা আশা করি ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ গন্তব্যের সাথে পরিচয় করাব। এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ এবং অত্যন্ত সৌন্দর্যময় স্থান। আপনি ভাবছেন এটা আবার কোথায় অবস্থিত একটি নেপালে অবস্থিত এটির নাম হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে ভালো খবর হচ্ছে এটি আপনি বাংলাদেশ থেকেই দেখতে পারছেন। সেটি এই লেখার মাধ্যমে আপনি জানবেন।
কাঞ্চনজঙ্ঘা! নেপালে অবস্থিত একটি সৌন্দর্যময় স্থান। একই সাথে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ। হঠাৎ করেই এটি দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে। আর এই কারণে ভ্রমণ প্রেমী মানুষে গুলো ছুটে যাচ্ছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এমনকি শুধু তেঁতুলিয়া থেকে না বরং নিলফামারী থেকেও নাকি দেখা যাচ্ছে এই কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতসৃঙ্গ।
ঝকমকে শুভ্র ও স্বচ্ছ কাচের ন্যয় নীল আকাশ ও পরিচ্ছন্ন প্রাকৃতিক সুন্দর আবহাওয়ার ঋতু শরৎ এই তো শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রায়। এই সুন্দর আবহাওয়ার সময়ে পঞ্চগড় থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বসবাস কারী মানুষেরা জানিয়েছে যে, দেখা যায় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত শীতের শুরুতে মেঘমুক্ত নীল আকাশে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে তুষার সাদা হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। বছরের এই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ থেকে দৃশ্যমান ওঠে হিমালয় পর্বত ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। এই অপরুপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতি বছরই অসংখ্য পর্যটক সেখানে যান।
কিন্তু কিছুদিনের বৃষ্টি এবং হঠাৎ করেই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া দুঃসংবাদে অনেক ক্ষেতে আশাহত হয়ে পড়ছেন পর্যটকরা। পরবর্তী তিন দিন পঞ্চগড় থেকে দেখা যাবে না কাঞ্চনজঙ্ঘা। আকাশের গায়ে লঘু চাপ ও মেঘ জমে থাকার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আবার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লঘু চাপের কারণে আজ সামান্যই দেখা গেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সমুদ্রে সামান্য নিম্নচাপ ঘটার কারণে আকাশে কিছু মেঘ সৃষ্টি হয়েছে। এই সমস্যার জন্য দৃষ্টিসীমা অনেকটা কমে আসছে। ধারণা করা যাচ্ছে যে দুই তিন দিনের মধ্যে এই সমস্যা কেটে গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘা আবারও দেখা যাবে।
বাংলাদেশ থেকে এমন সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ সকলের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমাদের উচিত নিশ্চয়ই এখানে ভ্রমণ করতে যাওয়া এবং এটাকে গ্রহণ করা। এই সুযোগটা কাজে লাগানোই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।