বর্তমানে খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো এবং খাদ্যদ্রব্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ এক ধরনের মহামারি আকার ধারণ করেছে বিশ্বজুড়ে । বাংলাদেশ কোন অংশে এর চেয়ে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশও আগে থেকে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে ।
কিন্তু দেখা যায় যে ,আজ থেকে প্রায় 20 বছর আগেও বাংলাদেশে সম্পূর্ণ টাটকা ভেজালমুক্ত এবং যেকোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বিহীন খাবার পাওয়া যেত ,যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ছিল ।
কিন্তু যখন থেকেই মানুষ ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে খাবার প্রক্রিয়াজাত শুরু করেছে ,ঠিক তখন থেকেই মানুষের স্বাস্থ্যহানি হতে শুরু করেছে । মানুষের দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করেছে ।
ফরমালিন জিনিসটার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত ।কেন এই জিনিসটাকে ব্যবহার করা হয় ,সেই সম্পর্কেও আমরা হয়তোবা সবাই অবগত। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সরকারের কঠোর পদক্ষেপের জন্য ফরমালিন জিনিসটাকে অনেকাংশে রোধ করা গিয়েছে ।তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা ফরমালিন জিনিসটাকে এখনো ব্যাবহার করে চলেছে। কেবলমাত্র তাদের ব্যবসায় মুনাফা বাড়ানোর কাজে ।
ফরমালিনের পাঠ উঠে গেলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বস্তু হয়তোবা আমাদের অনেকেরই নজর এড়িয়ে চলে। সেটি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন ধরনের স্ট্রীট ফুডে নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যের মিশ্রন। স্ট্রিটফুড শিশুদের বেশি পছন্দ হয়।
শিশু অথবা কিশোর সবাই স্ট্রিটফুড এর দিকে বেশি আসক্ত ।স্ট্রিডফুড গুলোর মধ্যে রয়েছে আইসক্রিম, বড়া, সিঙ্গারা, বেগুনি ইত্যাদি খাবার ।উচ্চ পরিমাণ এর বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য খাবারগুলোতে মিশিয়ে রাখা হয় ।এই দ্রব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রং, যেগুলো ফুড কালার এর মধ্যে অন্তর্গত নয় ।
আজকাল শুধু তৃতীয় শ্রেণীর রেস্টুরেন্টে নয় বরং প্রথম শ্রেণীর যে সকল রেস্টুরেন্ট রয়েছে, সে গুলোতে ও বিভিন্ন ধরনের ফুড কালার এর অন্তর্গত নয় এমন খাবার দিয়ে খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর তেল সহ আরো অনেক কিছু ।
ধর্মভেদে যে সকল খাবার গুলো নিষিদ্ধ সেই সকল খাবার গুলি দিয়ে রেস্টুরেন্টে চালিয়ে অর্থ উপার্জন করার খবর হয়তোবা আমরা অনেক সময় শুনে থাকবো। প্রথম শ্রেণীর রেস্টুরেন্টগুলোতে মূলত এসকল ঘটনাগুলি ঘটে থাকে ।শুনতে অবাক হলেও এটাই বাস্তব ।
আর তাই খাদ্য দ্রব্য সম্পর্কে সজাগ থাকা আপনার জন্য একান্ত প্রয়োজন। নিজে সজাগ থাকুন এবং এই আর্টিকেলটি শেয়ার করে দিয়ে অন্যদের সজাগ করতে সাহায্য করুন ।
কারণ আমরা চাই খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল রোধ করার মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধ করার । যাতে মানুষ বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও কেবলমাত্র খাদ্যের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে না ভোগে।