আগেই বলে রাখি আমি কোন কবি নই এবং ভালো কবিতাও লিখতে পারিনা। মনে যা আসে তাই লিখে ফেলি। ছন্দ কবিতার মাধুর্য ঠিক হল কিনা তা নিয়ে কখনো ভাবিনা। তবুও যদি আমার কবিতা আপনাদের ভালো লাগে তবে আমার সার্থকতা। ভুলত্রুটি হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
নবান্ন উৎসব গ্রাম বাংলার অতিপ্রাচীন উৎসব। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান কাটার পর নতুন ধানের চাল থেকে ভাত রান্না করার যে উৎসব পালন করা হয় তাকেই নবান্ন উৎসব বলে। কোথাও কোথাও মাঘ মাসে এই উৎসব পালনের প্রচলন আছে
কবিতা: নবান্নের দেশে।
সোনালী ধানের এইসব ছোট গ্রামে।
অজস্র ফসল ফলে কৃষকের লোনা ঘামে।
বড় সুখে তাই মন হাসে তার।
ভাঙাঘরে সুখের ঝড় বইবে যে আবার।
কৃষাণ-কৃষাণীর দগ্ধ প্রাণে তাই,
ব্যথা লাঞ্ছনা কোন কিছুই আর নাই।
সোনালী ধানের স্বপ্নে তাদের ঘুম আসেনা চোখে।
চাঁদের আলো খেলা করে কৃষানির মলিন মুখে।
মাটির রঙের দেহ তাদের মাটির মত মন।
মাটির সাথে মিশে থেকে তারা কাটায় সারাক্ষণ।
ধীরেধীরে কচি সবুজ ধান রৌদ্রের রং আসে।
কৃষকের কানে সে কথা ভেসে আসে বাতাসে।
সুখের হাসি হাসবে তারা, আর কষ্টের দিন নয়।
দখিনা বাতাসে দোলে দোলে নাচে সোনালী ধানের শীষ।
কৃষাণ-কৃষাণীর ঘুম নেই চোখে করে তাই ফিসফিস।
বড় সুখে ঘরে তোলে তারা সোনার রঙের ধান।
চারিধারে শোনা যায় শুধু কৃষানের জয় গান।
বাংলার বধু কার্তিক সাজে এক নব বেশে।
হিমেল হাওয়া হঠাৎ থেমে যায় নবান্নের এই দেশে।
অবাক নয়নে চেয়ে দেখে সে বাংলার এই রুপ।
শীতের স্পর্শে শত কোলাহল থেমে গিয়ে হয় চুপ।
আঁধারে সুখের রেখা ফুটে কষ্টে দিন শেষে।
কৃষানেরে বড় কাছে টেনে নেয় কৃষাণী ভালোবেসে।
আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ হাফেজ।
সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।ঘর থেকে বাহির হলে অবশ্যই মাক্স ব্যবহার করুন। নিজে সচেতন হোন অন্যকেও সচেতন করে তুলুন।