আজ বাংলা নববর্ষ।বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের দিন।সারা বছরের সমস্ত ক্লান্তি ঘুচে শুরু হয় নতুন বছরের।আনন্দ মেলা বয়ে যায় বাংলার ঘরে ঘরে।আজ বাঙালির প্রাণের নববর্ষ ।প্রতি বছর নতুন দিনের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে বাংলা নববর্ষ । আসে বিগত দিনের জীর্ণতা ও ক্লান্তিকে পেছনে ফেলে। আমাদের জাতীয় জীবনে বয়ে আনে উৎসবের আমেজ। সবাই মিলিত হই আনন্দের মিলন মেলায় ।এ দিনে আমরা কামনা করি সবার সুখ ও সমৃদ্ধি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা জাতি নানাভাবে নববর্ষ উদযাপন করে। বাঙালি, ইরানি, চিনা, জাপানি,ইংরেজ ফরাসি – সবাই পালন করে নিজ নিজ নববর্ষ উৎসব। ‘আমরা বাঙালিরা পয়লা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপন করি।
আমরা যে নববর্ষ পালন করি তা সাধারণ মানুষের কাছে পয়েলা বৈশাখ নামে পরিচিত।কিন্তু যখন থেকে এই নববর্ষ পালনের প্রচলন আসে তখন এটি অগ্রাহন মাসে পালিত হত।সেই সময় কৃষকেরা ধান কাটত এবং জমিদারদের সকল খাজনা মিটিয়ে দিত।তবে পরে এটি বৈশাখ মাসে স্থানান্তরিত করা হয়।তবে আমরা অনেকেই জানি না কেমন ভাবে শুরু হয় বঙ্গাব্দের ও নববর্ষের প্রচলন।চলুন জেনে নেওয়া যাক:
বাংলা সনের ইতিহাস সম্পর্কে সুস্পষ্টরূপে জানা যায়নি। তবে অধিকাংশ ঐতিহাসিক ও ‘পণ্ডিতের মতে মুঘল সম্রাট আকবর চন্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌরশনের সমন্বয় সাধন করে ১৫৫৬
সাল বা ৯১১ হিজরিতে বাংলা সন চালু করেন। আধুনিক গবেষকদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, মহামতি আকবরের অর্থমন্ত্রী টোডরমলের তত্ত্বাবধানে ফতেহ্ উল্লাহ সিরাজী বাংলা সনের প্রবর্তন করেন।
পহেলা বৈশাখ বাংলা বছরের প্রথম দিন। দিনটি বাংলাভাষী অঞ্চলে নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়। পহেলা বৈশাখ মানে পান্তা ইলিশ,মঙ্গল শোভা যাত্রা,হাজরা প্রদর্শনী,বৈশাখী মেলা,আরো অনেক কিছু।নববর্ষের দিন পান্তা ইলিশ খাওয়া বহু দিনের ঐতিহ্য।শহরের বিভিন্ন জায়গায় পান্তা ইলিশের স্টল বসানো হয়।চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গর শোভা যাত্রা বের করা হয়।গ্রামের মানুষদের এখনও বিশ্বাস যদি বছরের প্রথম দিনে ভালো খাবার। না খাওয়া হয় তাহলে সারা টা বছর ভালো যায় না। তারা নানা রকমের রীতি নীতি দিয়ে নতুন বছর শুরু করে।যেমন টা কি পয়েলা বৈশাখের আগের দিন একটি আমের ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়।এবং তাতে একমুঠো চাল ভিজিয়ে রাখা হত।পরের দিন ওই আমের ডাল দিয়ে ওই পানি ( যে পানিতে আমের ডাল ভিজিয়ে রাখা হয়)সারা ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং। যে চাল ভিজিয়ে রাখা হয় ওই চাল পরিবারের সবার মাঝে বিতরণ করে।এতে পরিবারের সকলের মঙ্গল হয়। এমন ভাব ধারা মানুষের মধ্যে আজও বিদ্যমান।
সম্প্রীতি,ভালোবাসা ,নতুন করে পথ কলার অনুপ্রেরণা নিয়ে আসে নববর্ষ।এটি বাঙালির সাংস্কৃতির সাথে এমন আছে যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল ফুটে আছে।
“ইলিশ মাছের ৩০ কাঁটা
“বোয়াল মাছের দাড়ি !!! ”
“বৈশাখ মাসের ১ তারিখে”
“আইসো আমার বাড়ি!!
!”ছেলে হলে পানজাবি”
“মেয়ে হলে শাড়ি!!!
“করব বরন বন্ধু তোমায়”
“আইসো আমার বাড়ি!!!
শুভ নববর্ষ!!!!!