একদা এক রাজা খুব চিন্তিত ছিলো। কারণ তার ছিলো সাত রানি তাদের কারো সন্তান হচ্ছিলো না। তারপর হঠাৎ দেখতে পেলো অনেক আলো। রাজা অবাক হয়ে গেল এতো আলো কিসের।
পরে দেখতে পেলো তার সামনে মনি রীষি সে বললো কিরে তোর চোখ মুখের এমন দশা কেনো এ। রাজা বলল আসলে অনেক দিন হয়ে গেল তো আমার রানিদের কোন সন্তান হচ্ছে না মনি বর।
মনি বর হাঁসি দিয়ে বলল এই কথা এই জন্য তুই কান মুখ সব ঝুলিয়ে বসে আছিস।
সোন, সোন তাহলে কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে উত্তর দিকে হাঁটা শুরু করবি।
তোর চোখের সামনে প্রথম যে আম গাছটা পাবি সেই আম গাছটা থেকে সাতটা আম পেরে নিয়ে আসবি।
কিন্তু আম নিয়ে চলে আশার সময় ভুলেও কখনো পিছনে তাকাবিনা।
তারপরে রাজা আম আনতে বের হলো। তার চোখের সামনে যে গাছটি পরলো সেটি থেকে সাতটি আম পেড়ে নিয়ে আশার সময় পেছন থেকে আম গাছটি তাকে বলে ওরে তুই যে আম নিয়ে যাচ্ছিস আমাকে দিবি না।
রাজা রেগে বলে কার এতো ভর সাহস আমাকে তুই করে ডাকে সে পিছনে তাকাতেই আম গুলো আবার গাছে উরে যায়। রাজার মনে পড়ে যায় মনি বরের সরতো। পরে আবার রাজা আম পেড়ে রাজ প্রাসাদে দিকে রহওনা দিলো।
আবার আম গাছটি ডাকতে লাগলো আর বলে যে আমগুলো পারলি সেগুলো তো পোকা ধরা। রাজা বললো আমি আর পেছনেই তাকাবো না। নেরা বেলতলা একবারই যায় বলে প্রসাদে গিয়ে রানিদের বলে তোমরা সাত খানা আম খোসা ছাড়িয়ে সাত জনে খেয়ে ফেলো দেখি।
তাঁরা ছয় রানি আম গুলো খেয়ে ফেলে ছোট রানিকে না দিয়ে। সেগুলো দেখতে পায় কাজের মে। পরে সে আমের বারা গুলো মিহি করে ছোট রানিকে দেয় রানি খেয়ে ফেলে। রাজা তো তা জানেনা। সে সন্তান হবার খুশিতে নাচতে থাকে। কাজের মেয়ে এসে তাকে বলতে লাগলো ছয় রানি একটি, একটি করে ছেলে জন্ম দিয়েছে শুধু ছোট রানি বানর ছেলে জন্ম দিয়েছে।
এই শুনে রাজা রেগে ছোট রানি ও তার ছেলেকে রাজ্যের বাইরে ফেলে দিয়ে আসেন।
আর ছয় রানির ছেলে নিয়ে রাজা উৎসব করেন।
আস্তে আস্তে বানর রাজপুত্র ভর হতে লাগলো। সে মানুষের মতো কথা বলতে পারে। রাজ্যের প্রজাদের কাজে সাহায্য করে। হঠাৎ একদিন দেখতে পেলো তার দাদারা পড়তে যাচ্ছে।
তাই দেখে বানর রাজপুত্র ছোট রানিকে গিয়ে বলে মা আমি আমার দাদাদের মতো পাড়বো। ছোট রানি বলে ঠিক আছে সে তার মায়ের কাছে পড়তে লাগলো।
পরে জানতে পারে রাজা এক বানর লেখা পড়া করে তার পুত্র দের হারা মানিয়েছে।
রাজা রেগে গিয়ে মন্ত্রী কে বলে বানর টিকে এনে আমার সামনে হাজির করো। বানর সে খবর শুনে নিজেই রাজার সামনে হাজির হয়।
রাজা বলে আমার ছেলেদের নাকি লেখা পড়া করে হারিয়ে দিচ্ছ। বানর উত্তর দিলো হ্যাঁ আমি আমার দাদাদের গবের বেলুন ফাটিয়ে দিয়েছি।
রাজা অবাক হয়ে বলে দাদা মানে বানর বলে আপনার ছয় পুত্র আমার দাদা আর আমিও রাজার ছেলে। বেটা বানর কি বলে কিছু তো বুঝতে আছি না।
দেখতে বানর হলেও আমিও যে রাজপুত্র না বোঝার তো কোনো কারণ নেই। কেননা আমি আপনার সপ্তম সন্তান।
আর আমার মা হলো আপনার সবচেয়ে ছোট রানি।
যাকে আপনি আমার জন্মের পর রাজ্যে থেকে তারিয়ে দিয়েছিলেন। রাজা বলে না, না এটা হতে পারে না।
বানর বলে এটাই সত্যি মহারাজ সত্যিটা গ্রহণ করার মতো সৎ সাহস আপনি রাখুন।
রাজা মনে, মনে বলে বানরটি তো মন্দ বলছে না। তাহলে এখন কি করি। রাজা বানর টিকে পুত্র হিসেবে মেনে নেয়। আর তার ছোট রানিকে রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
পরে তাঁরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে থাকেন। হঠাৎ একদিন বানর রাজপুত্র মানুষ হয়ে গেলো।
রাজা রানী তো দেখে অবাক এ কিভাবে সম্ভব বানর বলে মনি রীষি আমাকে বর দেয় যেদিন সব বিপদ কেটে যাবে সেদিন তুই বানর থেকে মানুষ হবি। এখন থেকে আমি মানুষ। তারপর তাদের আনন্দ আরো বেরে গেলো।