বাংলাদেশের হাজারো সুন্দর সুন্দর স্থান পিছনে ফেলে পর্যটকরা অনেক সময়েই চলে যায় বিদেশ ভ্রমণে | বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম সৌন্দর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বান্দরবনের থানচিতে |
নিজের চোখে দেখা থানচি নিয়েই আজ কিছু লিখতে বসেছি |
ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে বান্দরবন বাসস্ট্যান্ড এ নেমেই চাঁদের গাড়িতে চড়ে রওনা দিতে হবে থানচির উদ্দেশ্যে | চাঁদের গাড়িতে করে থানচিতে পৌঁছাবার পর রেমার্কি জলপ্রপাত আর নাফাখুম ঝর্ণা দেখতে রওনা দিতে হবে নৌকা নিয়ে | কিন্তু সবসময় নৌকা পাওয়াটা অনেক দুষ্প্রাপ্য তবে ভাগ্য ভালো থাকলে নৌকা পেয়েও যেতে পারেন |
এরপর নৌকা দিয়ে সরু নদী দিয়ে এগুতে এগুতে চোখে পর্বে থানচির অপরূপ সৌন্দর্য | সরু নদীতে চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অজস্র পাথর | এই পাথরের ফাঁকে ফাঁকে দিয়েই নৌকা এগিয়ে চলবে রেমার্কি জলপ্রপাতের দিকে | কিছু দূর গেলেই চোখে পড়বে প্রকান্ড পাথর যেগুলো থানচির স্থানীয় লোকের কাছে রাজা পাথর এবং রানী পাথর নামে পরিচিত | তবে এই রাজা পাথর এবং রানী পাথর কে স্থানীয়রা অনেক সম্মান করে থাকে |
এরপর আরেকটু এগুলেই চোখে পড়বে থানচির রেমার্কি জলপ্রপাত | সেখানে নৌকা থেকে নেমে একটি সিঁড়ি ধরে পার হতে হবে | ওই পারে উঠে একটি রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে হবে নাফাখুমের দিকে |
নাফাখুমে যাবার রাস্তাটি অসম্ভব পিচ্ছিল থাকে বর্ষাকালে | তাই খুব সাবধানে চলাচল করতে হবে কিন্তু রাস্তাটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর |
রাস্তাটি দিয়ে হাটতে হাটতে একসময় পৌঁছে যাওয়া যাবেন নাফাখুমে | এত এত জার্নির পর নাফাখুমে গিয়ে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে এক নিমিষে | অবাক চোখে সুদু চেয়ে দেখবেন নাফাখুম জলপ্রপাতের সৌন্দর্য | বেশি ক্লান্তি লাগলে নাফাখুমের স্নিগধ ঝর্ণার সাথে খেলায় মেতে উঠতে পারেন কিছুসময় |