আসসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন,প্রথমে সবার সুস্হতা কামনা করছি। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে সুস্হ রাখুক।আমি আজ আমার দেখা একটা মানুষের কস্টের কথা শেয়ার আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি তখন জব করতাম।একদিন গাড়ি করে চাকরিতে যাচ্ছিলাম।হটাৎ একটা সাতাশ কি আটাশ হবে মহিলা লিফট চাইলো আমি ড্রাইভারকে বললাম ভাইয়া ওনাকে নেন। ওনি ওঠে একটা হাসি দিল এ হাসির মাঝেও অনেক কস্ট লুকিয়ে ছিল।কস্টকে কাছ থেকে না দেখলে কখন বুঝা যায়না কস্ট কি জিনিস।ওনার সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম ওনি আর আমি একই ডিপার্টমেন্টে। শুনে ওনি আমি খুশি হলাম। পরিচয় নিলাম।এতটুকু পর্যন্ত খুশি ছিলাম। যখন শুনলাম ওনার হাজবেন্ড মারা গেছে বলার মত আর কিছু পাইনি।হা করে তাকিয়ে ছিলাম।কথা বলে জানতে পারলাম ওনার একটা ছেলে আর একটা মেয়ে আছে।
ছেলেকে হোস্টেলে রেখে পড়ালেখা করাচ্ছে আর মেয়ে দুবছর সাথে থাকে।মাঝে মাঝে মেয়েকে গাড়িতে ওঠার সময় দেখতাম পিছে পিছে কান্না করত যাবে যাবে বলে। অনেক কস্ট করে ছুটে আসত চকলেট এই সেই আনবে বলে। মাঝে মাঝে গাড়িতে ওঠে আমাদের কাছ থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে চোখ মুছত। আমি বুঝতাম কিন্তু সান্তনা দেওয়ার মত অবস্থা থাকতনা।একটা মা একটা বাচ্চার কাছ থেকে দূরে থাকা যে কত কস্ট তা মা হলে বুঝতাম না। ঈদের সময় মা ছেলে কথা বলছে।
ছেলে বলতছে মা তুমি কখন আসবে ছেলে জানেনা মা চাকরি করে। তো মা বলতেছে নতুন জামা নিয়ে আসবে। ছেলে বলতেছে জামা লাগবেনা তুমি আস একটা বাচ্চা কতটা অসহায় হলে মাকে খুজে। বলতেছে মা তুমি আসলে তোমার হাতে ভাত খাব। ওনি আর কথা বলতে পারছেনা কান্নার জন্য মাঝে মাঝে আল্লাহতায়ালার উপর অনেক রাগ হত কেন মানুষ কে এত কস্ট তিনি দেন আবার ভাবি হয়তো পরিক্ষা নিচ্ছেন।
ওনি কখন ভালো করে হাসতেন না। সবসময় হাসার চেস্টা করতেন। শুধু তাকিয়ে থাকতাম কিছু বলার ভাষা ছিলোনা। পৃথিবীতে কত রকম কস্ট নিয়ে মানুষ বেঁচে আছে তার হিসেব নেই। আমার জায়গায় আমি অসুখি ভাবি অন্য কেউ হয়তো সুখি।না আল্লাহ তায়ালা একেক জনকে একেক কস্ট দিয়ে রেখেছেন। তাও আমাদের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। এতে হয়তো মঙ্গল লিখে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালার দরবারে কিছুর অভাব নাই তাও আমরা অনেকে অভাবি। হয়তো এতেও মঙ্গল আছে।