আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা,কেমন আছেন?আশাকরি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই ভাল আছেন।আজকে আমি আপনাদের জানাব বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে কিছু বিষয়ের কথা।যেহেতু এই বিষয়টি অনেক বড় এবং এখানে অনেক ছোটবড় বিষয় রয়েছে আর আমাকে গ্রাথরের নিয়ম অনুযায়ী পোস্ট লিখতে হবে তাই আমি এটি কয়েকটি পর্বে ভাগ করেছি।আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পথিকৃৎ হচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ।দেশে সর্বপ্রথম ব্র্যাক ব্যাংক এই সেবাটি মানুষের কাছে নিয়ে আসে।যার ফলে মানুষ সহজেই ঘরে বসেই একজন থেকে আরেকজনের কাছে টাকা পাঠাতে পারছে।এই সেবাটি আরো ভালোভাবে নিশ্চিত করার জন্য বিকাশ তাদের নিজস্ব অ্যাপ এনেছে।তবে অনেকেই এই অ্যাপ ভালোভাবে ব্যবহার করতে না জানায় বিড়ম্বনায় পড়ে যায়।তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গেলে অবশ্যই কিছু বিষয় আপনাকে জানতে হবে।এই অ্যাপ ব্যবহারে আপনাকে যেসব বিষয় জানতে হবে-
১/সেন্ডমানি ও ট্রান্সফার মানিতে লিমিটঃবিকাশের বহুল ব্যবহৃত সেবা সেন্ডমানি ও ট্রান্সফার মানিতে রয়েছে কিছু শর্ত।এই শর্তগুলো না মানলে সেন্ডমানি ট্রান্সফার মানিতে গ্রাহককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।আর সেই শর্ত হলো লিমিট।এই অপশনগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত লিমিট সেট করা আছে।নির্ধারিত লিমিট অনুযায়ী বিকাশ গ্রাহক দিনে সর্বোচ্চ ৫০ বারে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ১০০ বারে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত পাঠাতে পারবেন।সেন্ডমানি করার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখা দিলে গ্রাহক অ্যাপ থেকে তার লিমিট অপশন চেক করতে পারেন।নির্ধারিত সংখ্যার বা নির্ধারিত কোটার যে কোন একটি শর্ত পূরণ হয়ে গেলেই গ্রাহক আর টাকা পাঠাতে পারবেন না।শুধু টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে নয়,যাকে টাকা পাঠাচ্ছেন তার লিমিটের বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে পারেন।এখন বিকাশ থেকে ব্র্যাক ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন গ্রাহক।তাই টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সেন্ডমানি ট্রান্সফার মানির লিমিট একসাথে মিলিয়ে দেখতে হবে।
২/অ্যাকাউন্টের ধরণঃবিকাশ এজেন্ট বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নাম্বারে সেন্ড মানি করা যায় না।তাই সেন্ড মানি না হলে অ্যাকাউন্টের ধরনও যাচাই করে দেখতে পারেন।অতি সম্প্রতি যেকোন মোবাইল নাম্বারে সেন্ড মানি করার সুবিধা চালু হয়েছে।তাই এখন বিকাশ অ্যাকাউন্ট না থাকলেও ঐ ধরনের মোবাইল নাম্বারে সেন্ড মানি করা যাবে।
বন্ধুরা,প্রথম পর্বটি এতটুকুই থাক।পরবর্তী আলোচনা “বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারে আপনাকে যা জানতে হবে-২” এটিতে পাবেন।